Friday, 22 December 2017

এরা অসহায়

এদের কষ্ট কে যে বোঝে -------------------- প্রণব ভট্টাচার্য এই সময় কালের মধ্যে আমাদের গাঁ ঘরের বাড়ি ঘর দোরের চেহারা অনেক বদলে গিয়েছে। বদল স্বাভাবিক। আর তা মানতেও হবে। কিন্তু- - চাষবাস করে বেঁচে থাকা গাঁ য়ের মানুষ দের গোয়াল ঘর ছিল। গোয়াল ঘরের পিছনে দিনের বেলায় গোরু ছাগল দের বেঁধে রাখার জন্য ছিল গোয়াল চালা। বর্ষা বাদলে বা শীতের রাতে সেখানেই আশ্রয় নিত কুকুর ছাগল ভেড়া ইত্যাদি রা। হঠাৎ বৃষ্টি এলে পথচারী রাও মাথা গুঁজত। গোয়ালঘর আর প্রায় নাই।পিছনের চালা তো নাই ই। গো চারন ভূমি ও আর নাই। ঘরে বলদ পুষে চাষ আর পোষায় না। সব ট্রাক্টর দিয়েই হচ্ছে। ঘরে বেঁধে ছাগল কে খাওয়ানো র লতা পাতা ডালপালা ই আর কোথা। চরে আর খাবে কি। একপাল ছানা পোনা নিয়ে মা কুকুর টার করুন দশা। কোথাও জায়গা পাচ্ছেনা। এই ঠাণ্ডা তে যে কোথায় একটু জায়গা মেলে।এদিক ওদিক করছে। ঠাঁই নাই।গাছতলাতে শুকনো পালা পাতা র উপরে কোন রকমে গুটিসুটি। বড় জাড়। অথচ এরাই রাত জেগে গাঁ ঘর পাহারা দেয়। দুটো খেতেও কেউ দেয়না। আবার জায়গা দেবে মাথা গোঁজার। অথচ সেই মানুষ কেই ভরসা করে। বহু বহু পুরনো বন্ধু। সেই যে প্রথম পোষ মেনেছিল মানুষের। কি করে ছেড়ে যায়। --------------+-----------------+-------------

Monday, 20 November 2017

গ্রাম - অযোধ্যা পো: বনকাটি প: বর্ধমান । কার্তিক পূজা।

অযোধ্যা গ্রামের অধিকারী বটতলার কার্তিক পূজা। ---------------------------- প্রণব ভট্টাচার্য ---- গৌর নাপিত। তাঁর সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায়না। পেশা তার ক্ষৌরকর্ম। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য নিশ্চয় ই ছিল। তা না হলে একটা পুকুর কাটানো সম্ভব হতনা। পুকুরের নাম নাপিত পুকুর। পুকুর পাড়ে ছোট্ট মাটির ঘর। খড়ের ছাউনি। সম্ভবত একা মানুষ। সংসার নেই। কিম্বা হয়তো স্ত্রী ছিলেন।ছেলেপুলে ছিলনা। ধর্মপ্রাণ মানুষ। চারদিকে ঝোপঝাড়। মাঝে এক প্রাচীন বট। তার নীচে র জংগল পরিষ্কার করে আনলেন কার্তিক পূজা। সেই শুরু। তারপর শেষ বয়সে এই পূজার দায়িত্ব ভার তুলে দিলেন তাম্বুলি পরিবারের উপর।সাথে দিলেন জমি জায়গা পুকুর ডাঙ্গা। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্যাম সুন্দর এরযুগল মুর্তি। তার দায়িত্বও তুলে দিলেন তাম্বুলি পরিবারের উপর।পরে তাঁরা চক্রবর্তী পরিবার কে পুরোহিত এর দায়িত্ব দেন। অযোধ্যা গ্রামের ( পোষ্ট - বনকাটি জেলা- প: বর্ধমান) সেই কার্তিক পুজা এখনো চলছে।কমপক্ষে একশো বছরের পুরনো। শ্যামসুন্দর ও নিত্য পূজা পাচ্ছেন। উৎসাহী যুবকেরা ধূমধামের সাথে ঐ পূজা করছেন। অনেক মানুষ কে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর আয়োজন হয়।গান বাজনার আসর ও বসে। এর উদ্যোক্তা পাড়ার ছেলে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুনীল রক্ষিত। তবে সমস্যা একটা ই। তা আর্থিক।তাই সব বৎসর আয়োজন হতে পারেনা। সকলের অধিকার। এই পূজার সং কল্প সকলের নামেই হয়। তাই অধিকারী বটতলার পূজা। প্রায় শত বর্ষ প্রাচীন পুজাকে কেন্দ্র করে এই সব আনন্দ অনুষ্ঠান যেন বন্ধ না হয়। এগুলি গ্রামের ঐতিহ্য। একে রক্ষা করতে হবে। --------+----------+---------+--------------

Sunday, 5 November 2017

তমিস্রা র দেবীর পূজা

তমিস্রার দেবীরপূজা : জংগল মহল বর্ধমানের জংগল মহল। পরগনা - সেনপাহাড়ী। গড় জংগল। হাজার বছর আগে ছিল মহামাণ্ডলিক ইছাই ঘোষের গড়।ঢেকুর বা ত্রিষষ্টি গড়। অনেক দিন পর প্রায় আড়াই শো বছর আগে গড়ের ধ্বংসাবশেষ এর উপর কেল্লা বানিয়েছিলেন বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন। তিনি ই তৈরি করিয়েছিলেন দেউল। বিখ্যাত ইছাই ঘোষের দেউল। জংগল এর সীমান্তে ছোটবড় নানা গ্রাম। জামডোবা ; সরস্বতীগঞ্জ; রক্ষিতপুর; লোহাগুড়ি; হরিকি; মলানদিঘি ; কুলডিহা হয়ে আরো দক্ষিণে আড়া ; বামুনাড়া; গোপালপুর ; বান্দরা। পশ্চিমে আকন্দারা; ধবনী ; বিজড়া - শোভাপুর ; কাঁটা বেড়ে ; জামবন জাঠগোড়ে ; শিবপুর ; বিষ্টুপুর ; নবগ্রাম। উত্তরে অজয়।ওপারে কেন্দুলী। উত্তরপূর্বে বনকাটি - অযোধ্যা ; সাতকাহনিয়া ; বসুধা ; রাধামোহনপুর। জংগলের গায়ে গায়ে বনগ্রাম ; নিমটিকুরি ; কোটালপুকুর ; গৌরাঙ্গ পুর ; দামোদরপুর; খেড়োবাড়ি। জংগল ভুমি র ভিতরে ভিতরে অনেক গুলি সাঁও তাল পাড়া। জংগল মানেই গা ছমছমে ভয়। গভীর জংগল। দিনে ই আঁধার। রাত বিভীষিকা র। তন্ত্রসাধনা ; কালী সাধনার ক্ষেত্র এই জংগল ভুমি। তমসার দেবীর পূজা না করে কি আর রণে যাওয়া যায়। ডাকাত রা তার পূজা করে। সেনপাহাড়ির ডাকাত রা কুখ্যাত। হাঁড়ি;ডোম; মুচি ; মেটে ; বাগদী ; মাল ; বাউরী। যারা ছিল একদিন ইছাই ঘোষের সৈনিক। তারা ই পরে ডাকাত হল। সেনপাহাড়ির মুচি রা তো বিখ্যাত। এরা সবাই কালীর পূজা না করে ডাকাতি তে যায়না। কালীপূজা হয় না এমন কোন গ্রাম নেই এই জংগল ভূমি তে। পরে গ্রামের ভূস্বামীরা ও চালু করলেন সাড়ম্বরে আঁধারনাশিনী ; মহাতমিস্রার দেবীর পুজা। ডাকাত দের যে বশ মানাতে হবে।

ইছাই ঘোষ -ঐতিহাসিক ব্যক্তি

প্রতিবাদী ইছাই ঘোষ মোটামুটি হাজার বছর আগের কথা। গৌড়ে তখন পাল রাজা দেবপাল। অজয় তীরে রাঢ়বঙ্গে সীমান্ত রক্ষার জন্য গড়। গড়ের দায়িত্বে কর্ণসেন। বাবার সাথে গড়ে যাতায়াত ছিল ইছাই এর। কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন ইছাই। গড়ে তুললেন নিজস্ব সৈন্যদল। বাউরী বাগদী হাঁড়ি ডোম ঘরের যুবক ছেলে দের নিয়ে। অতর্কিত আক্রমণে গড় দখল করে নিলেন। কর্ণসেন পালিয়ে বাঁচলেন। ইছাই গড়ে তুললেন তাঁর রাজত্ব। সমগ্র গোপভূমি জুড়ে। তিনি হলেন ' মহামাণ্ডলিক'। 'রাঢ়াধীপ'। ইছাই ছিলেন তান্ত্রিক। তাঁর আরাধ্যা দেবী ভগবতী শ্যামারূপা। দুর্গা মন্ত্রে এখন ও তাঁর পুজা হয়। এই দুর্গাপূজা র সময়। তিনি ' গড়ের দেবী'। ইছাই তাঁর গড়ের নাম রেখেছিলেন শ্যামারূপা গড়। তাই ' ঢেকুর গড়' বা ত্রিষষ্টি গড়। রামগঞ্জ তাম্রশাসন এর ঈশ্বরী ঘোষ ই ইছাই ঘোষ। তাঁকে আমরা ' ধর্ম্মমঙ্গল' কাব্যেও পাব। প্রণব ভট্টাচার্য

এলাকার দুর্গা পূজা

অযোধ্যা - বনকাটি এলাকার ( থানা- কাঁকসা : প বর্ধমান) দুর্গোৎসব অনেকগুলি ই পূজা। সব ই পারিবারিক। বা পাড়াগত। অযোধ্যা গ্রামের ঘটক বাড়ি ; মুখোপাধ্যায় ; চট্টোপাধ্যায় পরিবারে র প্রতিমা পূজা। বন্দোপাধ্যায় পরিবারে ঘট পূজা। তাঁতি পাড়ার প্রতিমা পূজা। একসময় স্বর্ণকার দের পূজা ধুমধামের সাথে হত। এখন ঘট পুজা হয়। তেমন ই আর একটি ঘট পূজা হত। এখন সেটা উঠে গেছে। একটি ছোট কিন্তু সুন্দর ধাতুমূর্তি র দুর্গাপূজা হয় ঘটক পাড়ার প্রান্তে। নবমী র দিন বনকাটির শ্মশান জঙ্গলে দেবী পাষাণচণ্ডী থানে ছাগ বলি হয়। ঘটক রা পুরোহিত। বনকাটি গ্রামে - মুখোপাধ্যায় ( ঘোষাল) চট্টোপাধ্যায় ; রায় বা ড়ি ; কর্মকার ; স্বর্ণকার পরিবারে প্র তিমা পূজা হয়। এক সময় দেড় দু শ বছর আগে এখানকার তাঁতি ; স্বর্ণকার ;কর্মকার দের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভাল ছিল। ব্রাহ্মণেরা উপনিবিষ্ট হয়েছিলেন। জমি জায়গা লাভ করেছিলেন। পূর্বপুরুষ এরা চালু করেছিলেন দুর্গাপূজা। কিন্তু আজ আর সে অবস্থা নাই।গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি বিপর্যস্ত। পারিবারিক পূজা গুলি আজ প্রায় দায়।

বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন এবং তাঁর কেল্লা

বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন এবং তাঁর কেল্লা পরগনা সেনপাহাড়ী। আবার সেই জংগল মহল। বীরভুম সীমান্ত পাহারা দেওয়া খুব জরুরী। একদিকে বর্গী আক্রমণ। লুঠতরাজ। অন্যদিকে বীরভুম জমিদারের আক্রমণ ভীতি। ইছাই ঘোষের গড় এর ধ্বংসাবশেষ এর উপর রাজা তৈরী করালেন সুরক্ষিত কেল্লা। কামান এনে বসালেন। কেল্লাদার হায়ার বা হায়াত সিং। রাজা চিত্রসেন এর উত্তরাধিকারী রাজা ত্রিলোক চাঁদ ছিলেন স্বাধীন চেতা। ইংরেজ দের তাঁর সম্পর্ক মোটেই ভাল ছিলনা। সিরাজের বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত হয়েছিল তাতে তিনি যোগ দেন নি। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ দের সাথে যুদ্ধ বাধল ই। রাজা আশ্রয় নিলেন দূরে গভীর জংগলের মধ্যে সেই কেল্লায়। ইংরেজ সেনাপতি মেজর হোয়াইট কেল্লাদ্বারে একদিন হাজির হলেন। ত্রিলোকচাঁদ অবশ্য তার আগে ই কেল্লা ছেড়ে পালিয়েছেন। ইংরেজ রা দখল করল কেল্লা। নিয়ে গেল কামান আর বহু ধনরত্ন। মৌজার নাম গড়কেল্লা খেরোবাড়ি। লক্ষ্য করুন গড় এবং কেল্লা মানে fort এক ই শব্দবন্ধে। ইতিহাসের দুটি সময় কাল। মানুষের স্মৃতি তে থেকে গেছে।

পরগনা - সেনপাহাড়ী

পরগনা- সেনপাহাড়ী বাংলা র সেন রাজারা ছিলেন বহিরাগত। তাঁরা ছিলেন কর্ণাটী ব্রহ্মক্ষত্রিয়। পেশায় সৈনিক বা অস্ত্রব্যবসায়ী। বাংলায় বারবার দক্ষিণী আক্রমন হয়েছে। রাজা ধ্বঙ্গ ; রাজা রাজেন্দ্র চোল বাংলা আক্রমণ করেছেন। রাঢ়াধীপ কে পরাজিত করেছেন। তাঁদের ধনরত্ন এবং স্ত্রী দের লুঠ করে নিয়ে গেছেন। খাজুরাহো মন্দির গাত্রে এবং তিরুমালায় পাহাড় গাত্রে সেসব কথা তাঁরা উৎকীর্ণ করিয়েছেন। সেন বংশের আদি কোন পুরুষ ভাগ্যান্বেষণ এ কোন এক দক্ষিণী আক্রমণ এর সাথে এই বাংলা য় এসেছিলেন। আদি বসতি তাঁরা যেখানে ই স্থাপন করুন না কেন পরে তাঁরা গঙ্গা তীরবর্তী স্থানে সরে যান। অজয় সীমান্তে পাল রাজাদের দুর্গ ছিল। সে দুর্গ পাহারার দায়িত্বে ছিলেন এক সেন। নাম - কর্ণসেন। তাঁর রাজত্ব ময়না য়।তিনি কি দক্ষিণী। রাজা ধর্ম পালের স্ত্রী দেদ্দা দেবী। মহামাত্য শ্যালক মহামদ। এঁরা তো দক্ষিণ এর মানুষ। অর্থাৎ দক্ষিণের সাথে ভাল যোগাযোগ ই গড়ে উঠেছিল। সেন রাজাদের আদি পূ র্বপুরুষ বলা হয়ে থাকে বিজয়সেন কে। গল্প -অতি দরিদ্র অবস্থা থেকে শিবের বরে তিনি রাজত্ব লাভ করেন। তিনি না কি তাঁর ও আগে অন্যকেউ এসেছিলেন? বাংলায় এসে তাঁরা অজয় এর দক্ষিণে ঘন জংগলাকীর্ণ স্থানে বসবাস শুরু করেন। সম্ভবত প্রাচীন রাঢ়া ভুমি র গড় রাজধানী ছিল বর্ত মানের আড়া গ্রাম এর সন্নিকটে। সেখানের দক্ষিণী নাগর রীতি র বিখ্যাত শিব মন্দির টি কে নির্মান করিয়ে ছিলেন জানা যায় না। আমার অনুমান সেন রাজাদের পূর্বপুরুষ দের ই কেউ করিয়ে ছিলেন। ধ্বঙ্গ বা রাজেন্দ্র চোলের অভিযান থেকে এই জায়গা সম্পর্কে একটা ধারণা তাঁদের থাকতে পারে। এই জংগল পরিবৃত স্থানে অনেক পরে বল্লাল সেন বা পরবর্তী তে লক্ষণ সেন ও বারবার এসেছেন। এই জংগল ভূমি তখন তন্ত্র সাধনার পীঠ স্থান। হিন্দু তান্ত্রিক ও বৌদ্ধ সহজিয়া সাধক রা প্রায় মিলেমিশে গেছেন। নারী সাধন সঙ্গিনী কে নিয়ে দেহভাণ্ডেই ব্রহ্মাণ্ড এর সাধনা করেন। পিতাপুত্র দুজনেই এই তন্ত্রসাধনায় মজেছিলেন। পণ্ডিত ও ছিলেন আবার নারীসঙ্গ লোলুপ ও ছিলেন। এখানেই কবি জয়দেব এর সাথে রাজা লক্ষণসেন এর দেখা হয়। ইছাই ঘোষের পূজিতা দেবী মূর্তি তে এক ই অঙ্গে শ্যম ও কালী রূপ কবি জয়দেব দেখিয়ে ছিলেন রাজা কে। তাই তখন থেকে দেবী শ্যামরূপা। শোনা যায় এখানেই রাজার অনুরোধে কবি জয়দেব লিখতে শুরু করেন শৃঙ্গার রসাসৃত অমর কাব্য গীতগোবিন্দ। এই রাঢ় মণ্ডলের একদিন রাজা ছিলেন ইছাই ঘোষ। যিনি দ্বিতীয় বারের যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হয়েছিলেন কর্ণসেনের পুত্র লাউসেন বা নবসেন এর হাতে। ধর্ম্মমঙ্গল কাব্যে আমরা তাঁকে পাই। তিনি ধর্মঠাকুর এর পুজারী। ইছাই তান্ত্রিক। ইছাই কে আমরা পাই রামগঞ্জ তাম্রশাসনে। তিনি ঈশ্বরী ঘোষ। মহামাণ্ডলিক। ' বভূব রাঢ়াধীপ লব্ধজন্মা- -' বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই রাঢ়মণ্ডল। এই জংগল ভূমি। বাংলার সেন রাজাদের নামে ই বিখ্যাত। পরগনা সেন পাহাড়ি। এখনকার থানা - কাঁকসা। প: বর্ধমান। রেনেল সাহেবের ম্যাপে ও এই সমগ্র ভূখণ্ড সেনপাহাড়ি । এখনো সরকারী খাতায় ; খাজাঞ্চি খানায় ; আবগারি দপ্তরে পরগনা - সেন পাহাড়ি। প্রণব ভট্টাচার্য
অযোধ্যা - বনকাটি এলাকার কালী পূজা ( পরগণা - সেনপাহাড়ী ; জঙ্গল মহল ; বর্দ্ধমান ; বর্তমানের থানা - কাঁকসা ) প্রণব ভট্টাচার্য জঙ্গল মানেই অন্ধকার। অন্ধকার মানেই ভয়। যেখানে অন্ধকার যেখানে ভয় সেখানে ই কালীপুজো। সে কয়লা খনি হোক আর থানা ই হোক। আর তমসার দেবীর পুজো না করে আর ডাকাত রা কবে রণে গিয়েছে। কালী শক্তি দায়িনী। আর জঙ্গল মহল। চির বিদ্রোহী। মানে চির উপদ্রুত। তকমা ও তেমন। অপরাধ প্রবণ। সরকার বাহাদুর এর সুতীক্ষ্ণ নজর। হলে কি হবে। চুরি ডাকাতি প্রায় প্রতি দিনে রাতে। সাতকাটার জংগলে দিনে ই কেটে দিচ্ছে। সেনপাহাড়ীর মুচি দের কথা কে না জানে। যেমন লম্বা চওড়া দেখতে। তেমনি দুর্ধর্ষ। নাম করা সব ডাকাত। ওদিকে জংগল এর গায়ে গায়ে গাঁ গুলো - জামডোবা - চুয়া - রক্ষিতপুর - লোহাগুড়ি - হরিকি - মলান দিঘি এই একটা বেল্ট। সব গাঁ য়েই ওস্তাদ রা আছে। এদের ও এলাকা ভাগ আছে। অবশ্য ভাড়া যেতে খুব আপত্তি নেই। যায় ও। ওদিকে কাঁটাবেড়ে র সৌ দের মদ শালে দেখা সাক্ষাত হয় বাবুদের। শিবপুর - জামবন - বিষ্টুপুর- জাঠগড়ে র সব মাল। ওদিকের গ্রুপ টার মানে বিজড়া - শোভাপুর - ধবনি লবনাপারা - আকন্দারা ওয়ালাদের সাথে খবরাখবর চালাচালি হয়। সৌ শুনে ও না শোনার ভান করে। আর খুব বড় ওস্তাদ রাজহাট এর হাঁড়ি দের কর্তার সাথে ও কথা হয়। কেউ কারো এরিয়ায় ঢোকেনা। বাঁটুল থেকে গুলি পাথর ছুঁড়ে জানান দেয়। জামডোবা র মুচি দের ডাকাতে কালী । সাধন পুজন করেন ব্রহ্মচারী কালীশংকর রায়। পরে এই পুজো ই এলো অযোধ্যা গ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। অযোধ্যা র মুচি দের বিরাট কালী। সর্দার দের পাড়া। বনকাটি র মুচি দের পুজো ও জাঁকালো। এছাড়া ডোম দের আছে। বাউড়ী দের ও। বাগদী দের ও। ভূস্বামী পরিবার গুলির মধ্যে বনকাটি রায় পরিবারের কালী পুজো খুবই পুরোনো। তান্ত্রিকমতে পূজা হয়। মুচিরা ছিল রায় দের লেঠেল। বশংবদ। তাদের আনুগত্য ধরে রাখতে রায় দের কালী র সাথে মুচিদের দুই কালীর হল বোন সম্পর্ক। অযোধ্যা - সাতকাহনিয়ার বাউরী সমাজের সম্পর্ক আছে ভালই। তাদের ও পুজো আছে। দু গাঁয়ের দু পাড়াতেই। সব এক রাতের কালী। তিমির নাশিনী - তমসার দেবী। তালপাতার কুঁড়েতে তাঁর অধিষ্ঠান হয়। সে হোত একসময়। এখন সব পাকা মন্দির। জাঁকজমক। মহোৎসব। এই জঙ্গল মহলের কোন গ্রামে আর কালীপুজো না হয়। বিরাট বিরাট কালীমূর্তি । জামদহ ; রাজ হাট; নবগ্রাম বিদবিহার ;বিনোদপুর; প্রভৃতি গ্রামে। গ্রামগুলি বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। আমাদের আজকের আলোচ্য নয়। অন্যসময় হবে। আমাদের বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অযোধ্যা - বনকাটি গ্রাম ছাড়া ও অন্যান্য গ্রাম গুলিতেও অনেক কালী পুজো। সমাজের তথাকথিত অন্ত্যজ স্তরের মানুষেরাই এই পুজোর আয়োজক। পুজো তাঁরা নিজেরাই করেন। বাংলায় তো এরাই যোদ্ধৃ জাতি। ডোম ; হাঁড়ি; মুচি ; বাগদী ; মাল ; বাউরী ; এরাই তো যুদ্ধ করেছে। ডোম সৈন্য রা তো খুব ই বিখ্যাত ছিল। বাইরেও যুদ্ধ করতে গেছে। আবার ডাকাতি ও করেছে। কোন স্থানীয় রাজা র পরাজয় এর পর সৈন্য দল ভেঙ্গে গেছে। সৈনিকের মর্যাদা চলে গেছে।অনেকে চাষবাসে আর ফিরতে পারেনি। ডাকাতি তে চলে গেছে।সামাজিক দূরবস্থাও অন্যতম কারন। অন্ধকারের দেবী র কাছে শক্তি প্রার্থনা করেছে। লড়াই এর শক্তি ; আত্মবিশ্বাস। আদিবাসী সাঁও তাল রাও কালী পুজো করে। মহিষাসুর কে যেমন তারা তাদের পুর্বপুরুষ নেতা বলে মনে করে - । কালী কি তাদের ঘরের মেয়ে। একদিন কি তার ই নেতৃত্বে উগ্রচণ্ডা নারী বাহিনী তাদের রক্ষার জন্য লড়াই এ নেমেছে। গলার নরমুণ্ড মালার সাদা হলুদ রঙের মাথাগুলি কাদের? ইতিহাস কি বলে?

বাবাজী বাউল বোষ্টম আখড়া সংগঠন

ঐ যে ছায়াঘন প্রাচীন তমাল তল টি। একদিন বুড়ো বাবাজী র আখড়া ছিল ওখানেই। সে তো অনেক দিন আগের কথা। কমপক্ষে দু শো বছরের। তার নাম কি ছিল? কে জানে। কে বলবে? তো ঐ বুড়ো বাবাজী। গাঁয়ের দক্ষিণে বুড়ো বট। প্রাচীন এক বটবৃক্ষ। কে তার চারা পুঁতেছিল। কে জানে। কে বলবে। নাম তার বাবাজী বটতলা। আরো দক্ষিণে গোপাল বাবাজী র আখড়া। পাশের ডোবা। নাম তার গোপাল সায়ের। আখড়ার সামনে দীর্ঘ এক খেজুর গাছ। একাই দাঁড়িয়ে আছে। সনাতন বাবাজী র বেড়া। অনেকটা জায়গা নিয়ে। নানা গাছপালা। খেজুর পলাশ। পলাশের ছোটখাটো বন। তখন সারা এলাকাজুড়েই পলাশ বন। লা মানে লাক্ষা মানে গালা র চাষ হয়। বসুধার লড়ি রা গালা বানায়। নানা রকম জিনিষ তৈরি করে। নদী মানে অজয়ের ওপারে ইলামবাজার গঞ্জ। নিলামের বাজার। তুলো রেশম গালা নীল। সাহেব দের বড় বড় কুঠি বাড়ি। যাক সে গল্প আবার অন্য সময় আবার হবে। এখন বাবাজী দের আখড়া র কথা। বয়সেও নবীন। নামেও তাই। নবীন বাবাজী র আখড়া জমে উঠল তার গানে। দেহতত্ত্ব এর সব গান। সেই গানের টানে কত জন এলো। সহজ সাধনা। দেহভান্ড ই ব্রহ্মাণ্ড।দেহসুখের মাধ্যমে চিত্তসুখের সন্ধান। তাঁর সাধন সঙ্গিনী -। না নাম জানা নেই। অনেক পরে তাঁর আখড়ায় এলেন বালকমাতা দাসী। জাত কুল হারানো এক বালবিধবা। জাতকুল না হারালে কি আর কেউ বোষ্টম হয়। এই জাত কুল মান হারানো এই মানুষ গুলো কোথায় যায় তাহলে। সমাজ আর তাদের জায়গা দিতে রাজী নয়। একেবারে পতিত। ঐ গাঁয়ের বাইরে ডোম বাগদী বাউরী মুচি পাড়ার ধারে কোনমতে একটু মাথা গোঁজার জায়গা হত। গাঁয়ের আখড়া তাই গাঁয়ের বাইরে। এই জাত কুল মান হারানো মানুষ গুলো বৌদ্ধ সহজ যানে জায়গা পেয়েছিল। জাতপাত নাই।শরীর নিয়ে শুচিবাই নাই।মান আছে। এই তো জায়গা। সমাজের তথাকথিত নীচু স্তরের মানুষ গুলো সব যোগ দিল এখানে। বাংলা র পাল রাজাদের সময় এই সহজযানী বৌদ্ধ ধর্ম বেশ ছড়াল। তারপর আবার সেন রাজাদের সময় ব্রাহ্মণ্য জাতপাত প্রবল হল। ব্রাহ্মণ রা হুঙ্কার ছাড়ল - সমাজে অনাচার বেড়ে গেছে। পরিষ্কার করতে হবে। ঠিক যে যৌন অনাচার খুবই বেড়ে গিয়েছিল। নজর পড়ল ওই মানুষ গুলোর উপরে। ন্যাড়া- নেড়ি গুলোর উপর লেলিয়ে দিল সমাজের বাকী মানুষ গুলোকে। খুব ই মার খেল। কত যে মরল। তার ঠিক নাই। কোথায় যায় এরা? পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পরে চৈতন্য মহাপ্রভু র পার্ষদ নিত্যানন্দ জীর ছেলে বীরভদ্র জী এঁদের দীক্ষা দিলেন ঠাঁই দিলেন বৈষ্ণবীয় সহজ সাধনার পরিমণ্ডলে। বীরভদ্র এর আদেশে তাঁর শিষ্যকুল ছড়িয়ে পড়লেন অজয়ের উভয় তীরদেশ এর গ্রামগুলিতে। বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারে। সহজিয়া সাধক দের আখড়া গড়ে উঠল গ্রামে গ্রামে। পারস্পরিক সংযোগে গড়ে উঠল একটা চমৎকার সংগঠন। এখনও কিছুটা বজায় আছে। পৌষসংক্রান্তি র কেন্দুলী র জয়দেব মেলায় বাবাজী মাতাজী বাউল দের দল নানা আখড়ায় বিশ্রাম নিতে নিতে পৌঁছে যান কেন্দুলী। আবার ফেরার পথে ঐ ভাবেই। আখড়া সংগঠন গত ভাবেই ঠিক করা আছে আসা যাওয়া র পথের আস্তানা। সাতকাহনিয়ার আশ্রম ফেরার পথের প্রথম বিশ্রাম স্থল।সহজ সাধনার দীক্ষাস্থল ও বটে। হাঁ। সে ছিল বটে একদিন। সারারাত দেহতত্ত্ব এর গান। বড় বড় সাধু বাবাজী দের মাঝেমাঝে হুঙ্কার গর্জন। গাঁজার নেশায় চোখ লাল। আখড়ার ঘরে গুহ্য সাধনার দীক্ষা। সহজ যোগে যদি তার সাক্ষাৎ মেলে। বাবাজী বাউল বোষ্টম আখড়া সংগঠন আঞ্চলিক ইতিহাস কাঁকসা জংগল মহল ; প: বর্ধমান প্রণব ভট্টাচার্য।

Wednesday, 25 October 2017

বিদবিহার : নাম কথা

আঞ্চলিক ইতিহাস : কাঁকসা জংগল  মহল।

বিদবিহার  : নাম কথা 
প্রণব ভট্টাচার্য

বিদবিহার।  একটি গ্রামের নাম। কয়েক ঘর মানুষের একটি ছোট্ট গ্রাম। আবার এই
নামেই গোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম ও।
বিদবিহার নাম টি এসেছে বৌদ্ধবিহার থেকে। অপভ্রংশ।
অর্থাৎ একদিন এখানে বৌদ্ধবিহার ছিল।
যা এখনো  খুঁজে পাওয়া  যায়নি। অবশ্য
পণ্ডিত এরা বলেন ই  বাংলার ইতিহাস আছে বাংলার মাটির নীচে।
উত্তরে অজয়। ওপারে উত্তর রাঢ়।বজ্রভুমি। বজ্জভুমি। একদা দূর্গম লাঢ় এর জংগলাকীর্ণ  রুক্ষ পথহীন পথে হেঁটেছিলেন মহাবীর স্বামী।  তাঁর জৈন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। নানা ভাবে তিনি স্থানীয় রেঢ়ো মানুষ দের দ্বারা লাঞ্ছিত 
হয়েছিলেন।
পরে কিন্তু রাঢ়দেশ  জৈন দের কাছে পুণ্য ভুমি তে পরিণত হয়। রাঢ়দেশ এ জৈন ধর্ম বিকাশ লাভ করে।
কথিত আছে বুদ্ধদেব  বীরভূম এর উপর দিয়ে পুণ্ড্রনগর এ গিয়েছিলেন।
বাংলার বিখ্যাত পাল রাজাদের সময়ে
সহজযানী বৌদ্ধধর্ম রাঢ়দেশে যথেষ্ট বিস্তার লাভ করে।  সাধারণ মানুষ জাতপাত হীন এই ধর্মে আকৃষ্ট হয়।
প্রাচীন তন্ত্র ও বৌদ্ধতন্ত্র তখন মিলেমিশে
গেছে।নানা বৌদ্ধ দেবদেবী র মূর্তি পূজিত হচ্ছে নানা মঠ বিহার স্তুপে।
রাজহাট ; ঠাকুরানী বাজার ; দণ্ডেশ্বর; এসব  নামে সেই যুগের প্রভাব আছে।
নানা ভাঙ্গা দেব দেবী র মূর্তি  একসময়  ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।  গাছতলা য়  পথের ধারে। সংরক্ষণ হয়নি।
প্রত্ন চোরে রা সব চুরি করে নিয়ে গেছে।

Saturday, 21 October 2017

আঞ্চলিক ইতিহাস : কাঁকসা জংগল মহল। বিদবিহার : নাম কথা প্রণব ভট্টাচার্য বিদবিহার। একটি গ্রামের নাম। কয়েক ঘর মানুষের একটি ছোট্ট গ্রাম। আবার এই নামেই গোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম ও। বিদবিহার নাম টি এসেছে বৌদ্ধবিহার থেকে। অপভ্রংশ। অর্থাৎ একদিন এখানে বৌদ্ধবিহার ছিল। যা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশ্য পণ্ডিত এরা বলেন ই বাংলার ইতিহাস আছে বাংলার মাটির নীচে। উত্তরে অজয়। ওপারে উত্তর রাঢ়।বজ্রভুমি। বজ্জভুমি। একদা দূর্গম লাঢ় এর জংগলাকীর্ণ রুক্ষ পথহীন পথে হেঁটেছিলেন মহাবীর স্বামী। তাঁর জৈন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। নানা ভাবে তিনি স্থানীয় রেঢ়ো মানুষ দের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছিলেন। পরে কিন্তু রাঢ়দেশ জৈন দের কাছে পুণ্য ভুমি তে পরিণত হয়। রাঢ়দেশ এ জৈন ধর্ম বিকাশ লাভ করে। কথিত আছে বুদ্ধদেব বীরভূম এর উপর দিয়ে পুণ্ড্রনগর এ গিয়েছিলেন। বাংলার বিখ্যাত পাল রাজাদের সময়ে সহজযানী বৌদ্ধধর্ম রাঢ়দেশে যথেষ্ট বিস্তার লাভ করে। সাধারণ মানুষ জাতপাত হীন এই ধর্মে আকৃষ্ট হয়। প্রাচীন তন্ত্র ও বৌদ্ধতন্ত্র তখন মিলেমিশে গেছে।নানা বৌদ্ধ দেবদেবী র মূর্তি পূজিত হচ্ছে নানা মঠ বিহার স্তুপে। রাজহাট ; ঠাকুরানী বাজার ; দণ্ডেশ্বর; এসব নামে সেই যুগের প্রভাব আছে। নানা ভাঙ্গা দেব দেবী র মূর্তি একসময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। গাছতলা য় পথের ধারে। সংরক্ষণ হয়নি। প্রত্ন চোরে রা সব চুরি করে নিয়ে গেছে।

Tuesday, 3 October 2017

অযোধ্যা -শ্যামবাজার এর তাঁতিপাড়া

তখন অযোধ্যা -শ্যামবাজার এর তাঁতিপাড়া সরগরম। ঘরেঘরে তাঁত। শাড়ী র পাড়ে চমৎকার সব ডিজাইন তুলছেন এখানকার দক্ষ তাঁতি রা।
বাইরে তার খুব কদর।পাকা রঙের সুতো আসে সুরুল ইলাম বাজার থেকে। নিলাম হয়। এখানে ও সুতো তে পাকা রঙ করা হয়।তাঁতিপাড়া - রাজনগর থেকে আসে তসর গরদ রেশম সুতো।এখানে বোনা হয় দামী শাড়ী।
তাঁতি দের অবস্থা ভাল হয়েছে।আরো ভাল হচ্ছে।
পুকুর কাটানো হচ্ছে।গোটা পাড়ার মালিকানা।নাম তাঁতি পুকুর। পাড়ে তার লাগানো হবে তাল গাছের সারি।
স্নান করে উঠে পুকুর পাড়ে গাছের গোড়ায় জল। লাগানো হল বটবৃক্ষ।
এখানকার তাঁতিরা গড়ে তুলছেন নিজস্ব পরিচিতি।
চাই দুর্গাপূজা। নিজেদের পাড়ার।
তাও চালু হল।ধুমধামের সাথে। বাড়ল মর্যাদা। আলাদা ইজ্জৎ।
এ হল সেই সময়।যখন এই এলাকা ধনেজনে পরিপূর্ণ। দেড় থেকে দু শো বছর আগে।
হাঁ। তাঁতি রা রয়েছেন এই গ্রামে।
কোন ঘরে আর তাঁত নাই।সে ই অবস্থা ও নাই।
মাঝে বন্ধ হয়ে যাবার পর - আবার কিছু মানুষের উদ্যোগে চালু হয়েছে দুর্গাপূজা। চলছে। পাড়াগত প্রচেষ্টা য়।
অধিকাংশ গরীব এর হাত থেকে মালিকানা বদল হয়ে গেছে পুকুরের।
নাম কিন্তু রয়ে গেছে সেই তাঁতিপুকুর।
পুকুর পাড়ের তাল গাছ সারি- সে কবেই শেষ হয়ে গেছে।

কোটালপুকুর গ্রামে সিং দের পুজো

জঙ্গল মহল।
উত্তরে অজয়। দক্ষিণে ঐ গড় জঙ্গল। গায়ে গায়ে গ্রাম। বনগ্রাম; নিমটিকুড়ি; দামোদরপুর: মসনা ; কোটালপুকুর।আর একটু দূরে গৌরাঙ্গপুর ; খেড়োবাড়ি।।আর একটু পশ্চিমে ' গড়ের মায়ের ' পুজো।দেবী শ্যামারূপা র।
এখানে সিং বা ড়িতে বিরাট ধুম।দুর্গাপূজো র। সিং রা ছত্রি বা ক্ষেত্রী রাজপুত।
তাঁদের পূর্বপুরুষ এক হায়াত সিং এসেছিলেন বর্ধমানের রাজা চিত্রসেনের আমলে। যুদ্ধনিপুণ। তাই কেল্লা পাহারার দায়িত্ব তাঁর। সে প্রায় দু- আড়াই শো বছর হচ্ছে।
চারপাশের গ্রামে সিং দের দারুন দাপট। বাঘে গরু তে একঘাটে জল খায়।সেই বাড়ির পুজো।
সেই পুজো এখন ও হয়। হচ্ছে।
তবে সে দিন তো আর নেই।
নানা জায়গা য় ছড়িয়ে আছেন এই সিং পরিবারের উত্তর পুরুষেরা।
তবে দুর্গাপুজার সময় অনেকে ই আসার চেষ্টা করেন।
অন্তত একটা দিন একসাথে কাটে।
কোটালপুকুর গ্রামে।
যদিও সেই গ্রাম আর নেই।

অযোধ্যা - বনকাটি এলাকার দুর্গোৎসব

অযোধ্যা - বনকাটি এলাকার ( থানা- কাঁকসা : প বর্ধমান) দুর্গোৎসব
অনেকগুলি ই পূজা। সব ই পারিবারিক। বা পাড়াগত।
অযোধ্যা গ্রামের ঘটক বাড়ি ; মুখোপাধ্যায় ; চট্টোপাধ্যায় পরিবারে র
প্রতিমা পূজা। বন্দোপাধ্যায় পরিবারে ঘট পূজা। পুজাগুলি প্রাচীন। 
তাঁতি পাড়ার প্রতিমা পূজা।
একসময় স্বর্ণকার দের পূজা ধুমধামের সাথে হত। এখন ঘট পুজা হয়। তেমন ই আর একটি ঘট পূজা হত। এখন সেটা উঠে গেছে।
একটি ছোট কিন্তু সুন্দর ধাতুমূর্তি র
দুর্গাপূজা হয় ঘটক পাড়ার প্রান্তে।
নবমী র দিন বনকাটির শ্মশান জঙ্গলে দেবী পাষাণচণ্ডী থানে ছাগ বলি হয়।
ঘটক রা পুরোহিত।
বনকাটি গ্রামে - মুখোপাধ্যায় ( ঘোষাল)
চট্টোপাধ্যায় ; রায় বা ড়ি ; কর্মকার ; স্বর্ণকার পরিবারে প্র তিমা পূজা হয়।
এক সময় দেড় দু শ বছর আগে এখানকার তাঁতি ; স্বর্ণকার ;কর্মকার দের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভাল ছিল।
ব্রাহ্মণেরা উপনিবিষ্ট হয়েছিলেন।
জমি জায়গা লাভ করেছিলেন।
পূর্বপুরুষ এরা চালু করেছিলেন দুর্গাপূজা। কিন্তু আজ আর সে অবস্থা নাই।গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি বিপর্যস্ত।
পারিবারিক পূজা গুলি আজ প্রায় দায়।

Sunday, 24 September 2017

এলাকার দুর্গাপূজা। স্বর্ণকার কর্মকার বাড়ির পূজা।

অযোধ্যা - বনকাটি একটি পু রোনো গ্রামীণ গঞ্জ। অনেকদিন থেকে ই। চারপাশের অনেক গুলি গ্রামের মাঝখানে এর অবস্থান।এই অবস্থান গত সুবিধা গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। এখানকার হাট ও বেশ পুরোনো। এখানকার তাঁতি ; স্বর্ণকার ; কর্মকার; সুত্রধর দের যথেষ্ট নামডাক। বনকাটির সদগোপ কৃষক দের উতপন্ন আনাজ এর যথেষ্ট খ্যাতি। বসুধা র চাষি দের মতো ই। গোরু র গাড়ি তে চাপিয়ে বিক্রির জন্য ফসল যায় ইলামবাজার ;বোলপুর ; গোপালপুর ; সগড়ভাঙ্গা। পথেও বিক্রি হয়। এখানকার কুমোর পাড়ার গোরুর গাড়ি জোড়া ই থাকে। দূরে দূরে কলসি হাঁড়ি যায়।সাতকাহনিয়া র কুমোর দের বানানো মাটির বোতল তো ছিল খুব বিখ্যাত। সে অনেক কথা। পরে আবার হবে। স্বর্ণকার দের অবস্থা বেশ ভাল। তাদের হাতের কাজের খুব নাম ডাক। স্বর্ণবণিক রা ও আছেন। সোনা কেনা বেচা করেন। যথেষ্ট বড়লোক। মূলত সোনা তাঁরা ই সরবরাহ করেন। অযোধ্যা স্বর্ণকার বাড়ি।দুর্গাদাস স্বর্ণকারের পূর্বপুরুষ রা চালু করলেন দুর্গাপূজা। বেশ ধূম করে!প্রতিমা পূজা। ছাগ বলি। ভোজ। যথেষ্ট আড়ম্বর। বনকাটি তে কালী সাঁতরা র উদ্যোগে চালু হল দুর্গা পূজা। বাঁকুড়া থেকে এলেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। পুরোহিত। এখানেও যথেষ্ট ধুমধাম। মোটামুটি দেড়- দু শো বছর আগের কথা। আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভাল না হলে তো আর দুর্গাপূজা চালু করা যায়না। ঠিক এভাবেই বনকাটি র কর্মকার রাও চালু করলেন দুর্গাপূজা। মূল তিন টি পরিবার। একসাথে। এঁরাও সঙ্গতি সম্পন্ন। উতসাহ জোগালেন বীরভুমের কোটা- শীর্ষা গ্রামের কর্মকার বাবুরা। তাঁরা তো জমিদার। অযোধ্যা গ্রামে তাঁরা তৈরী করিয়েছেন বিরাট বিরাট শিবমন্দির। প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন এখানকার কর্মকার গণ।

Wednesday, 13 September 2017

শ্যামারূপা

দুর্গাপূজা র সময় গড়জংগলের দেবীর পূজা দেখতে কখনো এসেছেন না কি।
ইছাই ঘোষের গড়। মোটামুটি হাজার বছর আগের।ইছাই এর আরাধ্যা দেবী শ্যামারূপা বা শ্যামরূপা।  দেবী ভগবতী- শ্যামারূপার পূজা হয় দুর্গা মন্ত্রে ই।সেই হিসাবে এটিই বাংলার প্রাচীন তম দুর্গাপূজা।

উখড়া প্রাচীন জায়গা

উখড়া প্রাচীন জায়গা। রেনেল সাহেবের ম্যাপ ১৭৭৯ তে উল্লিখিত। okhra।অন্ডাল থেকে উখড়া র পথে গ্রাম দক্ষিণখন্ড। এখন গঞ্জ।কয়লাখনি এলাকার একটি বর্ধিষ্ণু গঞ্জ। প্রাচীন শ্রীখণ্ড গ্রামের আর একটি নাম বৈদ্যখন্ড। সেখান থেকে কয়েকঘর কবিরাজ পদবী র বৈদ্য এই গ্রামে আসেন। অনেকদিন আগেই।এখন ও এঁ্রা আছেন। পেশায় অনেকে পিতল কাঁসার বাসন তৈরি ও তার ব্যবসা করেন। এঁদের কালীপূজা ও খুব বিখ্যাত। সমাজে এঁদের একটা বিশিষ্ট স্থান আছে।
                         উখড়া প্রাচীন জায়গা। তবে এর উন্নতি এখানকার জমিদার হাণ্ডা পরিবারব হাতে।বর্ধমানের রানী বিষ্ণু কুমারী এই পরিবারের সন্তান। সেই সুত্রে হাণ্ডা পরিবারের জমিদারী প্রাপ্তি। এঁরা উখড়া র উন্নতি র জন্য অনেক করেছেন।এখানকার ঝুলন মেলা পিতলের রথ কারুকার্য মণ্ডিত মন্দির দর্শনীয়। নিকটের খাঁন্দরা গ্রামটি ও প্রাচীন। হয়তো প্রাচীন খন্দ জাতীর মানুষ এর বসবাস ছিল।মাকড়া পাথরের তৈরি মন্দির গুলি নয়নাভিরাম।
দক্ষিণ খন্ড নিয়ে লিখেছি। এখানকার ধর্ম রাজ পূজা খুব বিখ্যাত। এই পূজার দীর্ঘ ইতিহাস আছে।

কাঁকসা

মাটির প্রদীপ। প্রণব ভট্টাচার্য এর লেখালেখি। আঞ্চলিক ইতিহাস।
কাঁকসা। নামটি এসেছে রাজা কণক সেন বা কঙ্কসেন রাও থেকে। ভবানীপতি কাঁকসা ছিলেন এই বংশ এর আদি পুরুষ।তাঁদের প্রতিষ্ঠিত কঙ্কেশ্বর শিব মন্দির এখনো রয়েছে। বক্তিয়ার খিলজী র এক সেনাপতি র হাতে এই বংশশেষ হয়। সেই সেনাপতি র ও সমাধি রয়েছে কাঁকসার প্রয়াগপুরে। সম্ভবত এই বংশ দক্ষিণী। সদগোপ রাজা মহেন্দ্র এর নাম ও এসেই যায়। অমরারগড় এর রাজার সাথে সম্পর্কিত। এঁর সময়কাল নিয়ে বিতর্ক আছে। এইসব ছোট ছোট অনেকগুলি রাজ্য নিয়ে ছিল গোপভূমি মহামন্ডল। আর মহামান্ডলিক ইছাই ঘোষ। জাতিতে গোপ। মানে গোয়ালা। কিন্তু তাঁ্র যুদ্ধকৌশল ছিল শিবাজীর মতো। আর সৈন্য স্থানীয় বাউরি - বাগদী - কোটাল- হাঁড়ি ডোম ঘরের যুবকেরা।ইছাই ছিলেন ত্রিষষ্ঠীগড়ের অধিপতি। ঢেকুর গড়্বের অধিপতি।
' বভূব রাঢ়াধীপ লব্ধজন্মা'
আসুন তেপান্তর এ। সব গল্প হবে।

সরস্বতীগঞ্জ

জংগলের গভীরে যাওয়া সহজ নয়। সংগে উপযুক্ত লোক চাই। বেশ কয়েকটি বড় বড় পুকুর আছে। আছে আদিবাসী সাঁও তাল পল্লী। আছে সম্পন্ন গ্রাম। নাম সরস্বতীগঞ্জ। বুঝুন জংগলের মধ্যে গঞ্জ। খয়রা নামের একটা জাত আছে। কাঠকয়লা তৈরি যাদের পেশা ছিল। গালা ও সোনা শিল্পে ভীষণ কাজে লাগত।বাইরে চালান যেতো। খয়রাবাড়ী থেকে খেরোবাড়ী। এই গ্রাম থেকে খয়রা সহ বেশ কিছু পরিবার অন্যগ্রামে চলে গেছেন। কোটাল দের গ্রাম কোটালপুর বা কোটালপুকুর।এখানে যেমন ইছাই ঘোষের সৈন্য বাস ছিল তেমন বর্ধমান রাজ চিত্রসেন বিহার ঝাড়খণ্ড থেকে এনেছিলেন ক্ষেত্রী সিং দের সেনাপতি হিসাবে। দারুন ছিল তাদের দাপট।বহুদিন ধরেই। তাঁ্রা দুর্গা পূজা করতেন। এখনো সে পূজা হয়। সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত বিরাট পরিবারের মানুষ জনএকদিনের জন্য হলেও দুর্গাপূজা র সময় এখানে আসেন।
বনের ধারে গোপ দের গ্রাম বনগ্রাম। নিম গাছে ভর্তি উঁচু টিকর এর উপর গ্রাম নিমটিকুরি। গৌ রাঙ্গ পুর দামোদরপুর এই দুটি গ্রাম উঠে গেছে।
নামে বৈষ্ণবী য় প্রভাব বুঝতেই পারছেন। এনিয়ে পরে কথা হবে।

মৌজা গড়কেল্লা- খেড়োবাড়ী

মৌজা গড়কেল্লা- খেড়োবাড়ী। লক্ষ করুন গড়- কেল্লা। মানে এক ই। fort. মোটামুটি হাজার বছর আগের গড়। আর দু আড়াই শো বছর আগের কেল্লা। ধর্ম্মমংগল কাব্যের অন্যতম নায়ক ইছাই ঘোষ ওই গড় দখল করে স্বাধীন মহাসামন্ত মহামান্ডলিক হয়ে উঠেছিলেন। দীর্ঘ সময় রাজত্ব করার পর বৃদ্ধবয়সে লাউসেন বা নবসেন এর কাছে পরাজিত এবং নিহত হন। রক্তনালা দিয়ে বয়ে গিয়েছিল রক্তের স্রোত।তাঁ্র আরাধ্যা দেবী শ্যামারূপা। চন্ডী। হয়তো আদিতে তিনি সূহ্মারূপা। এখনো গড়জংগলের গভীরে দুর্গাপূজা র সময় তাঁ্র পূজা হয়।ভাঙা গড়বাড়ীর চিহ্ন সব হারিয়ে গেল।এই জংগলের মধ্যেই বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন কেল্লা বানিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। ইংরেজ দের সাথে দ্বন্দ্ববেধেছিল। পরে হেরে গিয়ে এখান থেকে পালান। তিনি ই বানিয়েছিলেন দেউল। এটি ই বিখ্যাত ইছাই ঘোষ এর দেউল। কোনো দেবদেবী মন্দির নয়। অনেক কথা আছে। নানা বিতর্ক।আসুন তেপান্তরে। সব গল্প হবে।

পরগনা সেন পাহাড়ি

পরগনা সেন পাহাড়ি। আজকের থানা কাঁকসা। কাঁকসার ইতিহাসে পরে আসব। থানা কাঁকসার উত্তরসীমান্ত এলাকা জুড়ে গড়জংগল।আর ওই এলাকার একটি গ্রামীণ জনপদ অযোধ্যা - বনকাটি। অযোধ্যা নামে উত্তর ভারতীয় প্রভাব রয়েছে। তার ইতিহাস আছে। আর বন কেটে বসত কবে শুরু করেছিল মানুষ এখানে - তা বলা সম্ভব নয়। তবুও খুঁজছি। এখন একটি সমৃদ্ধ জনপদ। মূলত কৃষি প্রধান এলাকা। আর কুটিরশিল্পীরা ছিলেন। তাম্বুলি সম্প্রদায় এর হাত ধরেই ধান চাল মুদিখানা র ব্যবসার গঞ্জ হয়ে উঠে। মোটামুটি দুই শ থেকে তিনশ বছরের মধ্যে এই গড়ে ওঠা। প্রাচীন মন্দির ; টেরাকোটা সমৃদ্ধ রয়েছে বেশ কয়েকটি। বিশাল চারটি শিব মন্দির। বিষ্ণু মন্দির। বনকাটির বিখ্যাত পিতলের রথ। বিখ্যত গোপালেশ্বর শিব মন্দির। রায় বাড়ী র বিখ্যত কালী পুজা। কালী মন্দির সংলগ্ন শিব মন্দির গুলি - সব ই দেখবার। তেপান্তর এর পাশেই এই সব কিছু। আসুন সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে গল্প শোনাব।

অজয় নদে এল বান

অজয় নদে এল বান

তেপান্তর এর পাশেই

তেপান্তর এর পাশেই শালজংগল।লাল মোরামের রাস্তা দিয়ে পূবে একটু হাঁটলে ডাঙ্গাল গ্রাম।উঁচু ডাঙ্গা জমির উপরে মানুষ বসতি গড়েছিল বসুধা গ্রাম থেকে উঠে এসে। মৌজা বসুধা। বন্যার ভয়ে। অজয়ের বন্যায় বারবার ভেসেছে বসুধা। ধর্ম্ম মঙ্গল এর অন্যতম কবি নরসিংহ বসু র পৈতৃক গ্রাম।বসুধাম থেকে বসুধা। নাকি বৌদ্ধ দেবী বসুধারা থেকে প্রশ্ন আছে।থাক পরে হবে। বৃদ্ধনদী- কালী দহ দেবী রূপাই চণ্ডী রূপাই দহ রাজা পোতা এসব নাম নিশ্চয় ই কৌতূহল তৈরি করছে। স্বাভাবিক। এসবের পিছনে আছে গাঢ় ইতিহাস। আসুন তেপান্তর এ। সব কথা শোনাব। আসবেন কিন্তু। '

কথা তার কাহন সাতেক। নামটি সাতকাহন

কথা তার কাহন সাতেক। নামটি সাতকাহন।এইটি আমার গাঁ। উত্তরে অজয়। ভেঙে ভেঙে গাঁ কে খেয়েছে। খাচ্ছে এখনো। বহু পুরোনো এই গাঁ। ছিল বিরাট কারিগর দের গ্রাম। তিনটি অংশ সাতটি পাড়া। বিশাল বিস্তার। তাই সাতকাহন। সাতকাহানি। সাতকাহনিয়া। অসুর কাহানি র প্রভাব। এই এই গ্রামে কল্লোল রা গড়ে তুলেছে তেপান্তর নাট্যগ্রাম।এই বঙ্গ এ প্রথম। সারা বছর ধরে চলছে নাটক নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা। সাং স্কৃতিক অনুষ্ঠান। যদি না এসে ছেন অবশ্য ই একবার আসুন।তেপান্তর মেলা বা দোল উৎসব এর সময়। আশেপাশে অনেক কিছু আছে। প্রত্নস্থল মন্দির পিতলের রথ ইছাই ঘোষের দেউল। সব গল্প বলব আমি । কথক ঠাকুর। আসুন। দীর্ঘ ইতিহাস। সব দেখাব। সব শোনাব। গড় জঙ্গল এর মধ্যদিয়ে যাবার সময় গা শিরশির করবে। তখনি তো জমবে গল্প।

বনকাটি র জমিদার বাড়ী

এই হল বনকাটি র জমিদার বাড়ী র ভগ্নাবশেষ। একদা এঁরা বসুধায় বাস করতেন। পুজারী ব্রাহ্মণ। পরে বনকাটি আসেন। গালার ব্যবসা করে বিরাট ধনী হন। জমিদারী ক্রয় করেন। বিখ্যাত গোপালেশ্বর শিব মন্দির এবং ওই মন্দির এর অঅনুরূপ পিতলের রথ টি নির্মাণ করান।



বনকাটি র জমিদার বাড়ী

এই হল বনকাটি র জমিদার বাড়ী র ভগ্নাবশেষ। একদা এঁরা বসুধায় বাস করতেন। পুজারী ব্রাহ্মণ। পরে বনকাটি আসেন। গালার ব্যবসা করে বিরাট ধনী হন। জমিদারী ক্রয় করেন। বিখ্যাত গোপালেশ্বর শিব মন্দির এবং ওই মন্দির এর অঅনুরূপ পিতলের রথ টি নির্মাণ করান।

অযোধ্যা বনকাটি গ্রামীণ জনপদের দীর্ঘ ইতিহাস আছে।আমার একটি পুস্তিকা * অযোধ্যা - বনকাটি - সাতকাহনিয়া র* কথা ও কাহিনী
তেপান্তর নাট্যগ্রামে পাওয়া যায়।সেখানে বনকাটির পিতলএররথ তো আছেই। ছোট্ট আকারে অনেক কিছু।

Monday, 11 September 2017

অন্তর সত্তা

হে আকাঙ্ক্ষা
তুমি কার

হে নিবিড় পরমাণু
আদি আকাঙ্ক্ষা রচনা ভূমি
হে দ্বৈত সত্তা
অর্ধ নারীশ্বর
হে আদি বিন্দু
আশ্চর্য অন্তর বুনন
দ্বি বেণী র নিয়ত মুগ্ধ প্রবাহ।

Sunday, 10 September 2017

আমার আঁকা কিছু ছবি





অযোধ্যা গ্রামের ধর্মরাজ তলার স্থাপিত বট বৃক্ষ

প্রাচীন বৃক্ষ সিরিজ।
অযোধ্যা গ্রামের ধর্মরাজ তলার স্থাপিত বট বৃক্ষ।
বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যে ১৫-২০ টি শত বর্ষ প্রাচীন বৃক্ষ এখনো রয়েছে এটি তাদের অন্যতম। অনেকে বলেন গ্রাম প্রতিষ্ঠা র সময়ে ই এর স্থাপনা।
উঁচু ভিতের উপর চারকোনা মন্দির।
ভিতরে তিনটি গোলাকৃতি শিলা।
বৈশাখী পূর্ণিমায় ধর্মরাজ নামে ই এঁ্র পূজা। ভিন্ন নামে আষাঢ় ও শ্রাবণ পূর্ণিমা য় তঁাদের পূজা।
মন্দির এর পাশে অশ্বত্থ ও আছে। থাকার ই কথা।
পোস্ট করা সত্ত্বেও এই পোস্ট টি কেন
গেলনা জানিনা।

অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়

অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা র ইতিহাস আগেও লিখেছি। এবারো কুনুর কথা পত্রিকার শারদ সংখ্যায় স্বাধীনতা পূর্ব একটি শিক্ষা চিত্র( কাঁকসা ব্লক) এ ও লিখেছি।
অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়। এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা র দীর্ঘ ইতিহাস আছে।এই বিদ্যালয় এর মাধ্যমে এলাকায় শিক্ষা সংস্কৃতির আলো ছড়িয়েছিল সমগ্র এলাকায়।৮৫ বছর আগে। প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ননীগোপাল চট্টোপাধ্যায় মহাশয়।
এলাকার প্রবীণ মানুষ দের কাছে তিনি আজও বড় মাষ্টার।
তাঁকে স্কুল প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত সকল কে তাঁর সহশিক্ষক দের সকল কে এই শিক্ষক দিবসে জানাই প্রণতি।

দুর্গাপুর

গিয়েছিলাম দুর্গাপুর। পারিবারিক কাজে। জায়গাটা আড়া কালীগঞ্জ মোড়ের কাছে টেটিখোলা। এখন জমজমাট এলাকা। বড় বড় বাড়ী। অনেক উঁচুতে মাথা তোলা ফ্ল্যাট বাড়ী।
আমার কথা ঐ নামটা নিয়ে।
সময়টা ধরুন মোটামুটি হাজার বছর আগে।এখন কার দুর্গাপুর তখন ঘন জংগলে ঢাকা।জংগলের পূর্বে উত্তরে। বিস্তৃত ডাঙা জমি। গড় দুয়ারের বাইরে এই মাঠ।
ঢেকুর গড় বা ত্রিষষ্টি গড়ে তখন মহা মান্ডলিক ইছাই ঘোষের রাজত্ব।
সৈন্য রা টেঁটি ( বর্শার মতো সুচীমুখ অস্ত্র) খেলে ঐ মাঠে। ভাল ছোঁড়া অভ্যাস করে।
নাম তাই টেঁটি খেলার মাঠ।
আজ হল টেটি খোলা।

গাঁয়ের মাঝখানে ঐ বিরাট বুড়ো বট

গাঁয়ের মাঝখানে ঐ বিরাট বুড়ো বট। কোন বাবাজী যে চারা পুঁতেছিল তা জানা শিবের ও অসাধ্যি। বয়েস কমকরে দু শো। নাম তার বাবাজী বটতলা। কাল তার একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম। প্রিয় রামানুজ বললে এক ছিলিম কথকতা হবেনা। আরে হবে তো বটে ই।আমি তো বলার জন্যে বসেই আছি। শুনতে পারলেই হল।
এক সময় এই গ্রাম ছিল বিশাল। তিন অংশ। সাত পাড়া। বিরাট বিস্তৃত। কথা তার ফুরনো র নয়। কথা তার কাহন সাতেক নামটি সাতকাহন।
গ্রামের উত্তরে বুড়ো বাবাজী র আশ্রম। প্রাচীন সে তমাল তলা।
দক্ষিনে গোটা একটা পাড়া। চারটি আশ্রম। নবীন গোঁসাই সনাতন বাবাজী গোপাল গোঁসাই দের আখড়া আশ্রম।
জয়দেব কেন্দুলী মেলা ফেরত বাবাজী বোষ্টম দের দিন রাতের বিশ্রাম এই সব আখড়ায়।বটতলা তে আসর বসে। মাঝ রাত পার করা সে আসর। একতারা দোতারা বাজে। বোষ্টমী দের গলায় গান জমে। বাবাজী দের চোখ লাল। এর মধ্যে কত ছিলিম উড়ে গেছে। মাঝে মাঝে হুংকার ছাড়ে।
দেহভান্ড ই ব্রহ্মাণ্ড। সহজ সাধনার কত গুহ্য ক্রিয়াদি চলে রাত গভীর হলে।
পরদিন আবার একপাত পেড়ে বাবা গোঁসাই মাতাজী দের চলে যায় আরো পুবে। অন্য আখড়ায়।
আবার এক বছরের অপেক্ষা।

তেপান্তর এ এসেছেন কখনো?

কখনো কি তেপান্তর এ এসেছেন। আসুন না একবার।আসুন এখানে নিরিবিলি তে বসে গল্প করি। অনেক গল্প আছে। রাত ভোর হয়ে যাবে।এলাকার। গড় জংগল এর ইছাই ঘোষ এর দেউল শ্যামা রূপা দেবী বনকাটির মন্দির পিতলের রথ কালিকাপুর - মৌখিরার মন্দির মালা ভগ্ন জমিদার বাড়ি রাজাপোতা - রূপাই চণ্ডী তলা বৃদ্ধনদী আশপাশের এলাকার কত ইতিহাস কত গল্প।
তেপান্তর - পশ্চিমবঙ্গ এর একমাত্র নাট্যগ্রাম।
আজ দেশে বিদেশে অনেকের জানা চেনা। 
আসুন। এখানে এলে অন্য রকম অভিজ্ঞতা হবে।

ডাকাত দল

ওপারে নদী র ধারে ধারে অনেক গ্রাম। গঙ্গাপুর ভরতপুর নারান পুর নহনা কানুর জনুবাজার কেন্দুলি। উত্তরে মাঠ পেরিয়ে বড় গ্রাম ঘুড়িষা। আর পুবে গঞ্জ ইলামবাজার। মো টামুটি এই এলাকাজুড়ে ঐ ডাকাত দল দাপিয়ে বেড়ায়।
ডাকাতি সেরে ভোররাতে ফিরেছে। মালের ভাগ হয় ঐ পাকুড় গাছের তলায় বসে।ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে লাগল বিবাদ।
রাগের মাথায় সর্দার রাম দায়ের এক কোপ বসিয়ে দিল সঙ্গী একজনের ঘাড়ে। ব্যস। একেবারে শেষ।
এই ঘটনার পরে ডাকাত সর্দার পাগল হয়ে গেল। ভুলে গেল সবকিছু।
দিন যায়। মাস যায়। - - -( তারপর)
( যাঁরা গোড়া থেকে আমার এই লেখা পড়ছেন তাঁ্রা কিছুটা আনন্দ পেতে পারেন। এসব তো আঞ্চলিক গল্প)

তমসার দেবী

তমসার দেবী কে পূজা না করে কি আর ঘোর নিশীথে রণে যাওয়া যায়।
পূজা সেরে ডাকাত দল চলেছে নদী পেরিয়ে ওপারে। বীরভূমএর কোন গ্রামে।ডাঙ্গাল- বসুধা গ্রামের মেটে বাউরী মাল দের ডাকাত দল। ডাঙ্গাল এর মেটে দের এক পূর্বপুরুষ দলের
মাথা।
অমাবস্যা র ঘোর অন্ধকার। নদী পেরুচ্ছে সাবধানে। ওপারে ভরতপুরে
দুজন যোগ দেবে। ওরাই নিয়ে যাবে।
মাঠের আলপথ দিয়ে চলেছে- - ( তারপর)

ভুলো কালী

অজয় এর পাশে পাশে যে মাটির বাঁধ - তার পাশেই ছিল বিরাট অশ্বত্থ গাছটি। তার নীচেই ডাকাতে কালীতলা। ডাক নাম ভুলো কালী।
জল নাই ঝড় নাই আশ্চর্যজনক ভাবে ঐ গাছটি এই অমাবস্যা র দিনে মাটি থেকে সম্পূর্ণ উপড়ে পড়ে গেলো।
তৈরী হলো এক বিরাট শূণ্যতা।
কেন কিভাবে গাছটি উপড়ে গেলো সে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
সাধারণ মানুষ ভাবছে অলৌকিক ঘটনা।

আসানসোল

এসেছি আসানসোল। এখন তো বড় শহর।পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর। একদিন তো ছিল গ্রাম। আসন গাছে ( বড় বৃক্ষ -অর্জুন গাছের জাত)
ভরতি নীচু এঁটেল মাটির চাষযোগ্য জমির জায়গা।
রেল এল রানীগঞ্জ পর্যন্ত। তারপর আসানসোল। রেলের বিভাগীয় অফিস হল এখানে। মহকুমা। রানীগঞ্জ তার গৌরব হারালো ধীরে ধীরে।ইংরেজ দের হাতে গড়ে উঠছে। চার্চ। বেকারী। চার্চের অধীনে স্কুল। কিছু চীনা মানুষ অবাঙালী মুসলিম হিন্দি ভাষী মানুষ
সকলের সমন্বয়ে আজ এক মেট্রোপলিটান সিটি। এর গড়ে ওঠার দীর্ঘ ইতিহাস।

আসুন তেপান্তরে

শাল বনের উপর ঝমঝম বৃষ্টি। আসবেন নাকি দেখতে।আসতে পারেন। বৃষ্টি তে ভিজতে যদি ইচ্ছে করে ভিজুন না একটু। ধরুন তেপান্তর এ আসছেন। বোলপুর হয়ে। স্টেশন এ নেমেছেন। স্টেশন থেকে বাসস্ট্যাণ্ড এ যেতে হবে। বলা থাকলে তেপান্তর থেকে গাড়ি পাঠানো হয়। বোলপুর এর একটা প্রাচীন নাম বলিপুর।আসার পথে সুরথ রাজার শিব মন্দির তলা হয়ে আসুন। এই সুরথ রাজা দুর্গা পুজার সময় এতো বলি দিয়েছিলেন যে রক্তস্রোত গড়িয়ে গিয়েছিল বোলপুর পর্যন্ত।এর নাম হয়েছিল বলিপুর। আর একটা - অনেক প্রাচীন বকুল গাছ ছিল। বকুল কে গ্রামের মানুষ কথ্য ভাষায় বোল বলে। এখান থেকেও হতে পারে। সুপুর রাইপুর নিয়ে অনেক কথা আছে।পরে বলবো। বনভিলা র পর ই জংগল শুরু। জংগল এর নাম চৌপাহারী। নামকরণ এ মজা আছে। চৌপর দিনভর পার হতে সময় লাগে হয়তো তাই।যাই হোক অনেক গল্প। সব হবে। আসুন তেপান্তরে।

তেপান্তরের যাত্রাপথ

হয়তো তেপান্তর এ আসছেন। পানাগড় স্টেশন এ নেমেছেন। ছোট্ট স্টেশন। একটু চোখ বুলিয়ে নিন। মনে করুন সেই১৮৫৫ সাল। এই রেল পথেই প্রথম রেল গাড়ি চলেছিল। হাওড়া- রানীগঞ্জ। যাইহোক বাসস্টপ এ আসুন। দুর্গাপুর- বোলপুর বাসে চাপুন।বা দার্জিলিং মোড় এ আসুন। পানাগড় - মোরগ্রাম হাইওয়ে। স্টেট বাসে চাপুন।১১ মাই ল স্টপেজ এ নামবেন। পানাগড় পার হয়ে কিছু পরেই জংগল শুরু। ধোবারুর জংগল। আর একটা নাম ; সাত কাটার জংগল। এক সময় তো চোর ডাকাত ঠ্যাঙারে দের উতপাত ছিল।জংগল এর ভিতর পশ্চিম দিকে গ্রাম গাড়াদহ; রাজ কুসুম । কি সুন্দর নাম বলুন রাজকুসুম। পুবে গ্রাম ধোবারু।সব নামের মানে আছে।ইতিহাস লুকিয়ে আছে। এরপর গ্রাম ত্রিলোকচন্দ্রপুর। বর্ধমানের রাজার নামে।দোমড়া। সুন্দিয়ারা।প্যারীগঞ্জ। বর্ধমানের এক রানী র নামে। তেলিপাড়া। বেলডাঙা।আবার একটু জংগল। মাজুরিয়া- রঘুনাথপুর ব্রাহ্মণ গ্রাম। তারপর ১১ মাইল। পানাগড় থেকে ১১ মাইল দূরে।সেই ১১ মাইল। অনেক গল্প আছে। আসুন তেপান্তর এ।

পানাগড়

পানাগড় একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখন পশ্চিম বর্ধমানে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর সময় পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় সামরিক ছাউনি।এরোড্রাম রয়েছে।অটোমোবাইল পার্টস এর বড় বাজার। বাজার এর মধ্য দিয়েই জি টি রোড।এখন বাইপাস হয়েছে।এই বৃহৎ গঞ্জটিকে মিউনিসিপালিটি র মর্যাদা দেওয়া দরকার।পানাগড় থেকেই শুরু হচ্ছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল।
নামকরণ নিয়ে নানামত। আগে পান পাতার বেশ চাষ হত। পান ঘর থেকে পানাগড়। পানা মানে কচুরিপানায় ভর্তি ছোটোবড়ো অনেক গোড়ে মানে ছোট পুকুর। সেখান থেকেও হতে পারে। কাঁকসার রাজাদের গড় ছিল। তাই পানাগড়।১৯০১ সালের সরকারি প্রতিবেদনে দেখছি পানিঘর।১৮৬০ এর দশকে জিটি রোড এর সংস্কার এর সময় বানানো হয় ডাকবাংলো। জলাহার বিশ্রাম এর ব্যবস্থা সহ। পুরাতন চটিগুলির ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। বুদবুদ চটি - রাজবাঁধচটি। এই রকম মোটামুটি ১১ মাই ল দূরে দূরে।আর হাঁ আস্তাবল। ঘোড়ার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা তো চাই।ডাকচলাচলের মাধ্যম ঘোড়া তো সেই শের শাহ এর সময় থেকেই।
কথা তো অনেক। পানাগড় হয়ে যদি তেপান্তর এ আসেন - তাই কিছু শুনিয়ে রাখলাম।পরে তো গল্প হবেই। কখন আসছেন।

বনকাটির বিখ্যাত পিতলের রথ

বনকাটির বিখ্যাত পিতলের রথ।গায়ের কারুকাজ দেখুন।একটু বড় করে নিন।ইতিহাস পরে বলছি।







একটি কবিতা।

একটি কবিতা।
জেগে থাকে ভয়
সুপ্রাচীন তুঁষ উন্মুখ
চিনি ধিকিধিকি
জানি হে কেলাস জল
তুমি বিস্ফোরক।
ভূমি বিষ
অতিভুজ বৃদ্ধি
শীর্ষবিন্দু স্থানাঙ্ক বিহীন