Sunday, 24 September 2017
এলাকার দুর্গাপূজা। স্বর্ণকার কর্মকার বাড়ির পূজা।
অযোধ্যা - বনকাটি একটি পু রোনো গ্রামীণ গঞ্জ। অনেকদিন থেকে ই। চারপাশের অনেক গুলি গ্রামের মাঝখানে এর অবস্থান।এই অবস্থান গত সুবিধা গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে।
এখানকার হাট ও বেশ পুরোনো।
এখানকার তাঁতি ; স্বর্ণকার ; কর্মকার; সুত্রধর দের যথেষ্ট নামডাক। বনকাটির সদগোপ কৃষক দের উতপন্ন আনাজ এর যথেষ্ট খ্যাতি। বসুধা র চাষি দের মতো ই।
গোরু র গাড়ি তে চাপিয়ে বিক্রির জন্য ফসল যায় ইলামবাজার ;বোলপুর ; গোপালপুর ; সগড়ভাঙ্গা। পথেও বিক্রি হয়।
এখানকার কুমোর পাড়ার গোরুর গাড়ি জোড়া ই থাকে। দূরে দূরে কলসি হাঁড়ি যায়।সাতকাহনিয়া র কুমোর দের বানানো
মাটির বোতল তো ছিল খুব বিখ্যাত।
সে অনেক কথা। পরে আবার হবে।
স্বর্ণকার দের অবস্থা বেশ ভাল। তাদের হাতের কাজের খুব নাম ডাক। স্বর্ণবণিক রা ও আছেন। সোনা কেনা বেচা করেন।
যথেষ্ট বড়লোক। মূলত সোনা তাঁরা ই সরবরাহ করেন।
অযোধ্যা স্বর্ণকার বাড়ি।দুর্গাদাস স্বর্ণকারের পূর্বপুরুষ রা চালু করলেন দুর্গাপূজা। বেশ ধূম করে!প্রতিমা পূজা।
ছাগ বলি। ভোজ। যথেষ্ট আড়ম্বর।
বনকাটি তে কালী সাঁতরা র উদ্যোগে চালু হল দুর্গা পূজা। বাঁকুড়া থেকে এলেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। পুরোহিত।
এখানেও যথেষ্ট ধুমধাম।
মোটামুটি দেড়- দু শো বছর আগের কথা।
আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভাল না হলে তো আর দুর্গাপূজা চালু করা যায়না।
ঠিক এভাবেই বনকাটি র কর্মকার রাও চালু করলেন দুর্গাপূজা। মূল তিন টি পরিবার। একসাথে। এঁরাও সঙ্গতি সম্পন্ন।
উতসাহ জোগালেন বীরভুমের কোটা- শীর্ষা গ্রামের কর্মকার বাবুরা। তাঁরা তো জমিদার। অযোধ্যা গ্রামে তাঁরা তৈরী করিয়েছেন বিরাট বিরাট শিবমন্দির।
প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন এখানকার কর্মকার গণ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment