Sunday, 10 September 2017

গাঁয়ের মাঝখানে ঐ বিরাট বুড়ো বট

গাঁয়ের মাঝখানে ঐ বিরাট বুড়ো বট। কোন বাবাজী যে চারা পুঁতেছিল তা জানা শিবের ও অসাধ্যি। বয়েস কমকরে দু শো। নাম তার বাবাজী বটতলা। কাল তার একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম। প্রিয় রামানুজ বললে এক ছিলিম কথকতা হবেনা। আরে হবে তো বটে ই।আমি তো বলার জন্যে বসেই আছি। শুনতে পারলেই হল।
এক সময় এই গ্রাম ছিল বিশাল। তিন অংশ। সাত পাড়া। বিরাট বিস্তৃত। কথা তার ফুরনো র নয়। কথা তার কাহন সাতেক নামটি সাতকাহন।
গ্রামের উত্তরে বুড়ো বাবাজী র আশ্রম। প্রাচীন সে তমাল তলা।
দক্ষিনে গোটা একটা পাড়া। চারটি আশ্রম। নবীন গোঁসাই সনাতন বাবাজী গোপাল গোঁসাই দের আখড়া আশ্রম।
জয়দেব কেন্দুলী মেলা ফেরত বাবাজী বোষ্টম দের দিন রাতের বিশ্রাম এই সব আখড়ায়।বটতলা তে আসর বসে। মাঝ রাত পার করা সে আসর। একতারা দোতারা বাজে। বোষ্টমী দের গলায় গান জমে। বাবাজী দের চোখ লাল। এর মধ্যে কত ছিলিম উড়ে গেছে। মাঝে মাঝে হুংকার ছাড়ে।
দেহভান্ড ই ব্রহ্মাণ্ড। সহজ সাধনার কত গুহ্য ক্রিয়াদি চলে রাত গভীর হলে।
পরদিন আবার একপাত পেড়ে বাবা গোঁসাই মাতাজী দের চলে যায় আরো পুবে। অন্য আখড়ায়।
আবার এক বছরের অপেক্ষা।

No comments:

Post a Comment