Saturday, 21 October 2017
আঞ্চলিক ইতিহাস : কাঁকসা জংগল মহল।
বিদবিহার : নাম কথা
প্রণব ভট্টাচার্য
বিদবিহার। একটি গ্রামের নাম। কয়েক ঘর মানুষের একটি ছোট্ট গ্রাম। আবার এই
নামেই গোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম ও।
বিদবিহার নাম টি এসেছে বৌদ্ধবিহার থেকে। অপভ্রংশ।
অর্থাৎ একদিন এখানে বৌদ্ধবিহার ছিল।
যা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশ্য
পণ্ডিত এরা বলেন ই বাংলার ইতিহাস আছে বাংলার মাটির নীচে।
উত্তরে অজয়। ওপারে উত্তর রাঢ়।বজ্রভুমি। বজ্জভুমি। একদা দূর্গম লাঢ় এর জংগলাকীর্ণ রুক্ষ পথহীন পথে হেঁটেছিলেন মহাবীর স্বামী। তাঁর জৈন ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। নানা ভাবে তিনি স্থানীয় রেঢ়ো মানুষ দের দ্বারা লাঞ্ছিত
হয়েছিলেন।
পরে কিন্তু রাঢ়দেশ জৈন দের কাছে পুণ্য ভুমি তে পরিণত হয়। রাঢ়দেশ এ জৈন ধর্ম বিকাশ লাভ করে।
কথিত আছে বুদ্ধদেব বীরভূম এর উপর দিয়ে পুণ্ড্রনগর এ গিয়েছিলেন।
বাংলার বিখ্যাত পাল রাজাদের সময়ে
সহজযানী বৌদ্ধধর্ম রাঢ়দেশে যথেষ্ট বিস্তার লাভ করে। সাধারণ মানুষ জাতপাত হীন এই ধর্মে আকৃষ্ট হয়।
প্রাচীন তন্ত্র ও বৌদ্ধতন্ত্র তখন মিলেমিশে
গেছে।নানা বৌদ্ধ দেবদেবী র মূর্তি পূজিত হচ্ছে নানা মঠ বিহার স্তুপে।
রাজহাট ; ঠাকুরানী বাজার ; দণ্ডেশ্বর; এসব নামে সেই যুগের প্রভাব আছে।
নানা ভাঙ্গা দেব দেবী র মূর্তি একসময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। গাছতলা য় পথের ধারে। সংরক্ষণ হয়নি।
প্রত্ন চোরে রা সব চুরি করে নিয়ে গেছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment