।। শিক্ষক দিবস।।
আমার দাদু দিদিমা আমাকে মানুষ করেছিলেন।
আমার দাদু প্রয়াত ননীগোপাল চট্টোপাধ্যায় এর মতো আদর্শ শিক্ষক খুব কমই দেখা যায়।
অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয় টিকে গড়ে তোলার জন্য প্রাণপাত পরিশ্রম করেছেন।
তখন এই অযোধ্যা বনকাটি এলাকা য় কেন আশেপাশের কোন গ্রামে বিদ্যালয়ই নাই।
সে টা ১৯৪০ নাগাদ।
এই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল তাঁর নেতৃত্বে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
সরকারী অনুমোদন মিলেছিল ১৯৪৪ সালে।
আমার মা ছিলেন প্রথম ছাত্রবৃত্তি পরীক্ষার প্রথম ব্যাচ। তাঁর সাথে ছিলেন আরও তিন চার জন।
সুখ্যাত গ্রাম্য চিকিৎসক ষষ্ঠীপদ দে এখনও বেঁচে আছেন। আমার ফুল মা পারুলবালা সাহা মারা গিয়েছেন। তিনিও সেই প্রথম ব্যাচের ছাত্রী।
অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা র ইতিহাস অনেক জায়গায় লিখেছি।
যা শিখেছি যতটুকু সব সেই তাঁর হাত ধরেই।
আজকের এই দিনে সেই আদর্শ শিক্ষক ; এলাকায় এখনও প্রবীনদের কাছে ' বড় মাষ্টার '।
আর কেউ 'বড় মাষ্টার 'হন নি।
কোন সরকারি পুরস্কার তাঁরা পাননি। কিন্তু তাঁর মতো শিক্ষক খুব কমই জন্মান। একাধারে শিক্ষক ; সঙ্গীত গুণী। এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল।
আজ তাঁর প্র্য়াণ দিবস ও।
তাঁকে এবং তার সাথে আমার সকল শিক্ষক কে
আজকের এই ' শিক্ষক দিবসে ' আমার প্রণাম।
No comments:
Post a Comment