ছোট্ট কুনুর এর নামে পত্রিকা র নাম কুনুর কথা। সম্পাদক চূণীলাল মুখোপাধ্যায়। আঠারো বছর ধরে পত্রিকা চালাচ্ছেন। কি করে যে চালাতে হয় তা যাঁরা চালান তাঁরা ভালো জানেন। এই পত্রিকা টি তিনটি সংগ্রহ যোগ্য সংখ্যা করেছেন। একটি 'নদী '
নিয়ে আর একটি "রাঢ়ের শৈব ধর্মের 'উপরে ।আর একটি দুর্গাপুরের উপরে। ভালো সংখ্যা। এমনটা ই আমার মনে হয় ছোট পত্রিকা র করা উচিৎ। বছরে দুটি বা তিনটি সংখ্যা।
এই পত্রিকার দপ্তরে পৌঁছায় বা পাঠাতে বলা হয়
দুর্গাপুর মহকুমা সহ অন্যান্য এলাকার শারদীয়
ছোট পত্রিকা গুলিকে।
এঁদের এক বিচারক মণ্ডলী সেই সব পত্রিকা থেকে
সেরা লেখা গুলিকে নির্বাচন করেন। গল্প ; কবিতা
প্রবন্ধ থেকে।
খুব আন্তরিকতার সাথে কাঁকসা সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ তাঁদের " ডুবুরী " নামে পত্রিকা টি করেন।
সেই পত্রিকা আমার লেখা চায়। দিই। খুব চাপ থাকলেও না করতে পারিনা।
আপনারা জানেন আমি এক আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চাকারী। আমি লিখি আঞ্চলিক ইতিহাস বিষয়ক
প্রবন্ধ। প্রতিবার ই তাই লিখি। এবারেও তাই লিখেছি শেষ মূহুর্তে। ' প্রতিবেশী দুই এলাকার কথা' "। পরে কখনও আপনাদের শোনাব।
গত বারের লেখা প্রবন্ধ টির ভিত্তিতে " কুনুর কথা"
পত্রিকা আমাকে সম্মাননা প্রদান করলেন।
ভালো লাগে বৈকি। সেই কুনুর এর পাড়ে আছে এক মহা শ্মশান। " সতীর ঘাট "। জামগড়া গ্রামের এক গৃহ বধূ স্বামীর মৃত্যুর পর স্বেচ্ছায় সহ মরন
বরন করেন। জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু বরন
করেন। সেখানেই আয়োজন হয়েছিল অনুষ্ঠানে র।
এই ঘটনা টা ও শোনানোর দরকার আছে।
এসেছিলেন অনেক বিশিষ্ট মানুষ। কবি সাহিত্যিক সহ পত্রিকা সম্পাদক গন।
প্রশাসনিক ব্যক্তি গন উপস্থিত ছিলেন। এলেন এলাকার বিধায়ক ও।
এটা নাচন প্রতাপপুর জামগড়া লাউদোহা এলাকা।
চূণীবাবুর বয়স হলেও মাথায় তাঁর নানা পরিকল্পনা। তা তিনি পেশ ও করলেন বিধায়ক এর কাছে। বিধায়ক শ্রী জীতেন্দ্র তেওয়ারি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে জানালেন।
যাঁকে বাদ দিয়ে এই এলাকার কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভাবা যায়না সেই 'ঐক্য ' পত্রিকার সম্পাদক শ্রী তারাপদ হাজরা। তাঁর সাথে সঞ্চালনায় ছিলেন আর এক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
ভবানী ভট্টাচার্য।।
এলাকার বিশিষ্ট যাত্রাশিল্পী ; সংগীত শিল্পী দুজন কে এঁরা সম্মানিত করলেন।
বেশ মনোজ্ঞ এক অনুষ্ঠান। ভালো লাগল। আজ
২/১১ /২০২০।
No comments:
Post a Comment