অজয় রে
তোর এই শিমূল তলার ঘাটে
কোন নৌকো আজ আর লাগেনা
অথচ একদিন এই ঘাটে কত নৌকো র
আনাগোনা।
সেনপাহাড়ী র জঙ্গল মহলের নাম তখন ' লা মহল' মানে লাক্ষা মহল। নদীর এপার ওপারে র নদীতীরের হাজার হাজার বিঘে জমিতে নীল চাষ।
বাবু রা সব নীল চাষ করাচ্ছেন। তবে চাষযোগ্য কিন্তু পতিত জমিতেই বেশী। ভালো নীল গাছের জন্য ভালো বীজ চাই। চীপ সাহেব ব্যবস্থা করছেন।
বিরাট তাঁর সুরুল কুঠি। ইলামবাজারে আরস্কিন সাহেবের সাথে ভালো সম্পর্ক।
দ্বারোন্দায় ভালো ব্যবসা করে ; অনেক বেশী ধনী হয়ে দ্বারোন্দার কুঠি বাড়ি ছেড়ে তিনি এসেছেন এই বাজারে।সেই কুঠিবাড়ী - যার বাইরে মোটা মোটা থামে হাতি বাঁধা থাকত। এলেন ইলামবাজারে। অবস্থান গত সুবিধা র কথা তিনি ভেবেছেন। লাক্ষা র কথা ভেবেছেন।
সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন বেশ কয়েক বার। ফরাসি কুঠি আছে বটে। তবে তত বড় নয়।
বড়। আরও বড়। হতে হবে সেরা। এই আরস্কিন এর মনোবাসনা। এলাকার সব জমিদার বাবুদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের কে সঙ্গে চাই
মাল উঠছে নামছে
যাচ্ছে ইলামবাজারে আরস্কিন সাহেবের কুঠি বাড়িতে।
লাক্ষা মানে গালা কাঠকয়লা ধুনো নানা বনজ দ্রব্য। আর নীলগাছ নীল আরও কত কি।
কুঠিবাড়ি কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য থেকে
গড়ে উঠছে গঞ্জ ইলাম বাজার।
এলেম বাজার। যে বাজারের এলেম আছে মানে দাম। যত সম্ভ্রান্ত মানুষ জনের আনাগোনা
বাজারে এলাম গো। ইলামবাজার। আবার ইলম মানে ও গালা বা লাক্ষা। সেখান থেকে ও ইলামবাজার। এখানের গালাশিল্প অনেক পুরনো।
' লরি' রা ও আজকের নয়।
বসুধার ' লরি রাও ' খুব নামকরা ছিল।
শুনেছি মারাত্মক ; দুর্ধর্ষ ছিল।
ইলামবাজার। বাজার ; গঞ্জ। পাঁচ গাঁ এখানে এসে জোটে।।
বীরভূমের প্রবেশ দ্বার।
No comments:
Post a Comment