Sunday, 5 August 2018
দুই প্রাচীন শিব
Friday, 27 July 2018
বিদবিহারের দুই শিব
Monday, 23 July 2018
ঠাকুরাণীবাজার
Tuesday, 26 June 2018
ভগ্ন মন্দির
অঞ্জনা নদী তীরে --------------------- প্রণব ভট্টাচার্য সেই কোন ছোটবেলা থেকে ই রবীন্দ্রনাথ এর এই কবিতাটি র প্রতি আমার এক আশ্চর্য দুখী ভালোবাসা আজ যখন পরিণত বয়সে কেন এই ভালোলাগা তার কারণ খুঁজি মনেরগভীরে গিয়ে মাটির প্রদীপ জ্বালি তার ক্ষুদ্র সামর্থের কুণ্ঠিত আলোয় পাঠ করি চিত্রলিপি পাণ্ডুরাজার ঢিবির তলদেশে কিম্বা চন্দ্রকেতুগড় টেরাকোটা নারী কে আদর করি এক আশ্চর্য আবেগে ভোলনি তো আমাকে আমি তো ছিলাম। এই তো আছি সব ছবি বেশ পুরোনো হয়ে এল সেতো অনেক দিন সেই সব বালিকারা অনেক খেলা সাঙ্গকরেছে নিজেদের আঙিনায় তাদের আর মনে নাই ভাঙ্গা মন্দিরের পাশে টগর গাছের তলার খেলাঘর মনে নাই পথের ধারে মন্দিরের দাওয়া থেকে বৃষ্টি শেষে পথের নদী তে জোড়া ঝাঁপ সেই পোড়ো মন্দির খানি পরপর চলচ্ছবি র মতো যেন চোখের সামনে দিয়ে চলে চলে যায়। আমার ভিতরেঅন্তর্লীন বিষাদের সাথে মিশে যায় এক ভাঙা মন্দিরের হাহাকার। বুঝি হে বিষাদ তুমিই এখানে আমাকেএনেছ। ভাঙ্গা একটা দেওয়াল বুকে পুরেই জন্ম যার--- তার সেই ভাঙ্গা দেওয়াল এর কালি পড়া কুলুঙ্গি তে তবু ম্লান দীপ জ্বলে।
অতি ক্ষুদ্র সামর্থে আলো ছড়ায়।
হে অমা- মহা নিশা
গ্রাম নাম কথা
নাম কথা
বিখ্যাত সেই যাত্রার আসর
আরও কতকি
এপার- ওপার
এপার- ওপার
পরপৃষ্ঠা / নদীগর্ভ
নদীগর্ভ
শ্যাওড়া গাছে ভয়
শ্যাওড়া গাছে ভয়
এপার- ওপার
জঙ্গলমহলের শিবপূজা
জঙ্গলমহলের শিব পূজা
বীরপূজা ২
বীর পূজা
এপার- ওপার
এপার - ওপার
ইছাই ঘোষ
Friday, 8 June 2018
অমানিশা র দেবীর পূজা
মন্দিরময় অয্যোধ্যা - বনকাটি
Friday, 1 June 2018
বীর কালু এবং নদীর এপারওপার
Saturday, 19 May 2018
সিংহ দরজা
এক ই খিদে
এক ই কষ্ট
Saturday, 24 March 2018
গণেশ জননী
গণেশ জননী পূজা
অযোধ্যা গ্রামের ( পো: বনকাটি থানা - কাঁকসা প: বর্ধমান) ' গণেশ জননী' পুজা -----+----------+----- অযোধ্যা গ্রামের পুরোনো অংশ টির নাম পুরোনো হাটতলা। এখানে রয়েছে বিখ্যাত পঞ্চরত্ন শিবমন্দির। অপূর্ব টেরাকোটা র কাজ সমন্বিত এই মন্দির টির নির্মান কাল ১৭০৭ শকাব্দ। যদিও প্রতিষ্ঠা লিপি নাই। চুরি হয়ে গেছে। এই গ্রামের ময়রা- মোদক রা এই মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। পাশেই বেনে বাড়ির তৈরি শিবমন্দির। ধর্মরাজ মন্দির। চার দিকে রাস্তা চলে গেছে। এটি মোড় বা সংযোগ স্থল।এখানেই একদিন বসত হাট। মন্দির এর চারপাশে। রাস্তার উপর।পুরোনো একটা নাম আছে এই অংশের ' কীর্তি বাজার'। বর্ধমানের রাজা কীর্তি চাঁদের নামে। এখানেই পঞ্চরত্ন শিবমন্দির টির পাশে ই একটি এখনকার তৈরি মন্দির এ প্রতিবছর যথাসাধ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গনেশজননী নামে বাসন্তী দেবীর পূজা। পূজার আচার অনুষ্ঠান সবই দুর্গা পুজার মতো। দুর্গামন্ত্রে ই পূজা। এই পুজা প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন। আগে ছিল অষ্ট গ্রামী প্রথা।যে আটটি গ্রাম থেকে একদিন বীজিপুরুষেরা ছড়িয়ে গিয়েছিলেন নানা গ্রামে- সেই সব গ্রাম থেকে গোরুগাড়ি নিয়ে আত্মীয় স্বজনেরা এই পূজার সময় এসে একত্র হতেন। সম্পর্ক গুলি পুনর্জীবন লাভ করতো। খুব ই আনন্দে কাটতো একটা কি দুটো দিন। সেই প্রথা বজায় আছে এখনো। জনুবাজার ; কেন্দুলি; টিকরবেতা; আকম্বা; নারানপুর ; ভরতপুর ; ইলামবাজার ; অজয়ের ওপারে এই সব গ্রাম আর এপারের এই অযোধ্যা- বনকাটি; আদুরিয়া- অমরপুর ; সিলামপুর এই সব গ্রাম থেকে আজ আর মানুষ জন আত্মীয় সকল আসতে পারেন না। দূর আর ও দূর হয়ে গেছে। আত্মীয়তা র নৈকট্য ও ক্রম ক্ষীয়মান। তবে পুজার জন্য যথাসাধ্য চাঁদা এখন ও দেন।সংগ্রহের জন্য পরিবারের একজনকে বেশ ছোটা ছুটি করতেই হয়। যদি ও সংগ্রহ তেমন নয় বলেই জানালেন হারু দা ; অমর অজয় বহড়া রা। বাকীটা এই গ্রামের বাসিন্দা মোদক পরিবার গুলিকেই দেখতে হয়। অনেক গ্রামবাসী ও চাঁদা বা প্রণামী দেন।সকলের সহযোগিতা আছে। প্রতিবেশী তাম্বুলি সম্প্রদায় এবং চক্রবর্তী পরিবারগুলির। অযোধ্যা- বনকাটি গ্রাম দুটি তে অনেক গুলি দুর্গাপূজা হয়। কিন্তু গণেশ- জননী নামে এই বাসন্তী দুর্গা র পূজা এই একটি ই। এটি ও ইতিহাস। এলাকার ঐতিহ্য। বজায় থাক এলাকার সেই ঐতিহ্য। --------। ----------
Saturday, 13 January 2018
যেওনা পৌষ
Tuesday, 9 January 2018
কার কি এসে যায়
কে বোঝে কার কষ্ট
যা কিছু হারায়
আর কি হারালো -------------------------- প্রণব ভট্টাচার্য । গাঁ ঘরে রাস্তা বলতে তো কিছু ছিলনা। সে তো এই চল্লিশ বছর আগে মাত্র। ছিল কুলি। তাই পথ। আবার বর্ষা য় জল যাবার চওড়া নালা। যাই হোক - তাই সই।তাতেই গাঁয়ের লোকের চলে যেত। আর না গিয়েই বা উপায় কি। গাঁয়ের ভিতরে উঁচু পাকা রাস্তা আর বানাচ্ছে কে। অতএব গরমে ধুলো ওড়া। আর বর্ষায় কাদা মাখা পা। তাই এক বালতি জল পা ধোয়ার জন্য দরজার পাশে নামানো ই থাকতো। হাঁ তবে গাঁয়ের ছেলেদের একটা ভাল খেলা হত বর্ষার সময়ে।কুলি দিয়ে অবিরল জলের স্রোত। আর পাশের শিব মন্দির এর উঁচু দাওয়া থেকে সেই জলে ঝাঁপ। পুকুর গোড়ে ভাসিয়ে জল। মাছ ও ভেসে যাচ্ছে। ওস্তাদ রা ছেড়ে দেবে। ধরছে। মাথায় চটের বস্তার টোপা চাপিয়ে মেয়েরা কুলি থেকেই জল নিয়ে যাচ্ছে। যাই হোক এ নিয়েই গাঁ ছিল। বড় রাস্তা বা কুলি র ধারে মানে ঠিক মোড়ের উপরে সম্পন্ন গৃহস্থ বাড়ি। মূল ঘর রাস্তার দিকে পিছন করে হলেও রাস্তার দিকে মুখ করে একটা বৈঠক খানা ঘর থাকতো। সামনে বারান্দা।হয়তো দু দিকে বসার জন্য বান্ধানো ধাপ। গল্প তো চাই। আড্ডা। পরচর্চা পরনিন্দা র মতো জমাটি বিষয় আরকি হতে পারে। অন্য গপ্পোও যে হতো না তা বলা যাবেনা। তাস পাশা ও হত। সন্ধ্যায় অনেকে ই গলা ভেজাতেন। হারমনিয়াম তবলা ও কোথাও কোথাও বেজে উঠত। সংগে কন্ঠসাধন। এই বৈঠক খানা গুলি ই ছিল গাঁয়ের গপ্পকথার উৎস কেন্দ্র। পরদিন সব আসর ই সব আসরের খবর নিত।খবর লেন দেন এর লোক ও ছিল ঠিকঠাক। ভালো খবরে তাদের একটু বেশী ডোজ পাওনা হতো। সারা গাঁ ই মোটামুটি সব আসরের খবরা খবর নিয়ে তারপর মেতে থাকত। এই ই ষোলআনা বিনোদন।