Tuesday, 26 June 2018

বীর পূজা

বীরপূজা ----------------------- প্রণব ভট্টাচার্য সমাজ বিন্যাসের নীচুতলার মানুষেরা বা তথাকথিত নিম্নবর্গীয় মানুষজন নিজেদের আত্মপরিচয় এর শিকড়ে যেন ফিরতে চাইছেন। নীচু বলে নিজেদের ভাবতে কার ভালো লাগে। অথচ এ দেশে জাতপাত তো খুব ভারী পাথর। খুব সহজে যে সে পাথর টাকে সরানো যাবেনা। তাও খুব না জানা নয়। সবাই বুঝি যে এ এক বিরাট ব্যবসা। বিরাট রাজ নীতি র খেলা আছে এখানে। অথচ কেউ মসিহা নয়।তবু- - এই সব মানুষ দের ঘর থেকে উঠে গেছে যে সব যুবকেরা - যারা শিক্ষিত হয়েছে। ডাক্তার ; বিদ্যালয় ; মহাবিদ্যালয় এর শিক্ষক হয়েছে। তাদের কারোর ই নিজেদের জাত পরিচয় দিতে ভালো ও লাগেনা। নিজেদের পদবী গুলোকে ব্যবহার করতে ও ভালো লাগেনা। না -। লাগেনা। কিন্তু কতটা আর পদবী র বানান বদলানো যায়। কার ভালো লাগবে জানিনা লিখতে পদবী- অসুর; বাগদী ; হাঁড়ি ; ডোম ; চণ্ডাল ; বাউরী ; মুচি; মাল এই সব পদবী লিখতে সত্যি ভালো লাগেনা। এমনকি আদিবাসী সাঁও তাল কোন ডাক্তারের পদবী মূর্মূ কি মাড্ডি লিখতে আর ভালো লাগেনা। 'আমি আদিবাসী সাঁওতাল ডাক্তার কি শিক্ষক - আমার নিজের মনেই প্রশ্ন কি জানি আমাকে কতটা কি মানবে ' - মধ্যবিত্ত শিক্ষিত উচ্চস্তরীয় সমাজ। অথচ উপায় ই বা কি। এখানেই আসে আত্মশ্লাঘা ; গর্ব অনুভবের একটা প্রয়াসপ্রচেষ্টা। লাগে নিজেদের সমাজের একজন বীর। এক icon। অনেক লড়াই ই তো হয়েছে। আছে বীর আছে। আমরা ও ক্ষত্রিয়।কেউ ব্যগ্রক্ষত্রিয়। কেউ বীরবংশী। কেউ বলছি রায়। কেউ বলছি বাউরী নয় ক্ষত্রিয়। মুনি র ছেলে।বাহক মুনি। আমরা ক্ষেত্রপাল।রাঢ়মণ্ডলের রাজা ছিলাম। আরে বাবা শিবের বিয়েতে পাল্কী বইছিলাম।একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম। মদ্যপান ছাড়া একাজ করা যায় নাকি। তাছাড়া বিয়েবাড়ি বলে কথা। তাছাড়া শিবের বিয়ে। তো নেশার ঘোরে ভুলভাল করে কিছুটা ফেলেছি। গেলাম অধঃ পতিত হয়ে। ------------- পরপৃষ্ঠা য়----

No comments:

Post a Comment