Monday, 23 July 2018
ঠাকুরাণীবাজার
সে যে কোন ঠাকুর আর ঠাকুরানী তা তো জানিনা।কে যে জানে।
মাত্র কয়েকটি ঘর। তাও তার নাম ঠাকুরানী বাজার। বুঝুন মজা। মৌজা নাম ও তাই। হয়তো ছিল একদিন।
হয়তো নয়। ছিল।ছিল একদিন। তো সে কত দিন আগে। হতে পারে তিন শো ; পাঁচ সাত বা হাজার বছর আগের কথা।
পাশের জামদহ গ্রামের মেয়ে চিন্তামণি। অজয় সাঁতরে বিল্বমঙ্গল আসছেন তাঁর কাছে। তাঁর প্রেমে বি ভোর কবি। লিখছেন
শ্রী কৃষ্ণকর্ণামৃত।
কোন রাজা যে হাট বসালেন গ্রামের পূবের বিশাল ডাঙ্গায়। কে জানে। গ্রামের নাম রাজ হাট।
প্রাচীন শিবমন্দির। শিব ঠাকুরের নাম টি মজার।
দণ্ডেশ্বর। না কি মূর্তি ছিল একসময়। দণ্ডায়মান। জৈন কিম্বা বৌদ্ধ প্রভাব। হ্যাঁ। ছিল এক প্রাচীন লিপি তে লেখা এক ফলক।
সে সব থাকা তো সোজা নয়। নাই ও। প্রত্নচোরেরা কবে ই নিয়ে পালিয়েছে।
রাজহাট হল। তো রাণী হাট। হ্যাঁ। তাও আছে।
কোন রাজা ; কোন রানী তা কেউ জানেন না। তবে ঐযে নাম। সেখানেই অনেক গল্প বোনা আছে।খুঁজতে হবে। খুঁজছি। উপাদান নাই।
আর রাজহাট এর জমিদার মোড়ল দের কি দাপট। এঁরা বাড়ুজ্জে বামুন। তেমনই তাদের
সাকরেদ হাঁড়ি রা। সাঙ্ঘাতিক। বড় বড় সব ডাকাত সর্দার। মানুষ কাটতে ও কোন দ্বিধা নাই। বহু পুরনো পুলিশ রেকর্ড তাই বলছে।
বিদবিহার। বৌদ্ধ বিহার এর অপভ্রংশ। তবে কোথায় ছিল সে বিহার তা এখনো কেউ খুঁজে দেখেনি।
বাঙ্গলার ইতিহাস বাঙ্গলার মাটির নীচে ই থেকে যাবে।
কার দায় পড়েছে তাকে খোঁজার।
কত কথা। কত কাহিনী। সব মাটির ই তো গল্প আছে। ইতিহাস আছে।
কাঞ্চন পুর ; শশী পুর; বিনোদপুর; বাসুদেবপুর; ইঁটেডাঙ্গাল ; সন্ধিপুর; দুবরাজপুর ; বেতা; শিবপুর ; বিষ্টুপুর এ মাটির সব গ্রামের পথে ঘাটে নালা য় ; পুকুরের নামে জড়িয়ে আছে ইতিহাস।
তানা হলে পুকুরের নাম হয় ' সন্ধান'?
----------------------------_----------- ------ প্রণব ভট্টাচার্য।
৷৷৷৷৷. ।।।।।।।।।।। ২১/৭/১৮
( আমার ব্লগ টি খুলে পড়ুন matirpradip.blogspot. com)
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Excellent Pranabbabu. I just love to read you writeups. Why not photographs ?
ReplyDeleteExcellent Panabbabu
ReplyDelete