Tuesday, 26 June 2018

এপার- ওপার

দ্বিতীয় পাতা ---+------ আহা সত্যম্বর অপেরা। কে না এখানে এসেছেন। এত পুরোনো আসর।এখানেএকটা অন্য রকমের পরিবেশে গান শুনতে বেশ লাগে। ডাঙ্গাল গ্রামের ঘোষ বাবুরা সব দিক তদারকি করেন। সংগে অবশ্য ই বসুধা র মানুষেরা। প্রতিদিনের এপার- ওপার। এমন লোক ও এপারে আছে - যাঁদের একদিন না গেলেই চলবেনা। মানে ঐ যাকে বলে না পেটের ভাত হজম হবেনা। গোরু ছাগল কেনা বেচার হাট বসে শণিবারে সুখবাজারে।এপার থেকে অনেক মানুষ যায়। সত্যি কথা কি যে এপারের মানুষ জন না গেলে ওপারের বাজার হাট তেমন জমেনা।এপারের আদুরিয়া - অমরপুর ;মাজুরিয়া - রঘুনাথপুর ; চুয়া- রক্ষিতপুর ; অযোধ্যা- বনকাটি এতো বড় এলাকা থেকে কম মানুষ তো যায় না। আর ডাঙ্গাল- বসুধা ; অযোধ্যা- বনকাটি র মানুষের তো এক পা এপারে তো আর এক পা ওপারে। আর কালিকাপুর- মৌখিরার বাবুদের তো কাছারি বাড়ি রয়েছে। ইলামবাজারে তাঁদের অনেক সম্পত্তি। হাট বসে তাঁদের ই জায়গায়। তোলা আদায় হয়। কাছারি বাড়ী র দক্ষিণে পুকুর। দক্ষিণ পাড়ে তার তখনকার দিনের এম; ই স্কুল। প্রাইমারি স্কুল। এপার থেকেও ছেলেরা যায়। কেউ কেউ ওখানে থেকে পড়াশুনো করে। বসুধা র সব্জী ; না গেলে তো হাটে যেন কি নাই কি নাই ভাব। অবশ্য সে সব সব্জী গাড়ী বোলপুরপর্যন্ত গড়িয়ে যায়। ধান চালের গাড়িও যায়। এপারে কালিকাপুর- মৌখিরা য় বাবু দের দুর্গাপূজা দেখতে ওপারের অনেকে আসেন।তোপ দাগা হয়। নারকেল কাড়াকাড়ি খেলায় মস্ত ভিড়।ঠেলাঠেলি থেকে মারামারি নিয়মিত ঘটনা। তবু মানুষ যাবেই। আসবেই। গড়জঙ্গলে দেবী শ্যামারূপা র পূজা দেখতেও অনেকে সাইকেল নিয়ে যান। তখন গ্রামেগ্রামে শখের যাত্রাদল। ইলামবাজারের চাতোর পাড়ার যাত্রা দলেরবেশ সুনাম। স্থানীয় অভিনেতা সব। কিন্তু অভিনয় ক্ষমতা ভাল। তখনি অমর ব্যানার্জী ;দত্ত বাবু রা অভিনেতা হিসাবে ভাল নাম করেছেন।বিশাল চেহারা নিয়ে অমর দা র স্টেজ অ্যাপিয়ারেন্স ছিল দেখবার মতো। তেমনি ভরাট কণ্ঠস্বর। পেশাদার দলে গেলে খুব ই নাম করতেন। কিন্তু যান নি। এপার থেকে অনেকে যেতেন ওঁদের যাত্রা দেখতে।অযোধ্যা- বনকাটির যাত্রা দলের ও বেশ নাম ডাক। গ্রামীণ পেশাদার দলের মতো। আশেপাশের নানা গ্রামে তাদের বায়না হতো। নিজেদের সাজ পোষাক সব ই ছিল। এঁদের যাত্রা দেখতে ওঁরাও আসতেন। পরস্পর কে নিমন্ত্রণ ও করতেন তাঁরা। মানুষের দীর্ঘদিন এর আশা অজয় সেতুর কাজচলছে পুরোদমে। বিশাল কর্মযজ্ঞ। আদতে ডাঙ্গাল গ্রামের ঘোষ বাবুরা নানা মাল সরবরাহ করছেন ' চন্দ্র কোম্পানি ' কে।ঐ কোম্পানি ই সেতু তৈরি করছেন। গঁড়াই দের মুদিখানায় শ্রমিক দের ভিড় লেগেই আছে।আরো অনেকে নানা ভাবে ব্যবসা করে বেশ ধনী হয়ে উঠলেন। খুব শীঘ্র সেতু র উদ্বোধনহবে। মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিধান চন্দ্র রায় আসবেন।দিন রাত এক করে কাজ চলছে। যাতায়াত সহজ হবে। মানুষের মনে খুব আনন্দ। দুপারের সম্পর্ক আর ও সহজ ; সুন্দর ; ঘনিষ্ঠ হবে।

No comments:

Post a Comment