Tuesday, 26 June 2018
জঙ্গলমহলের শিবপূজা
পরপৃষ্ঠা
রক্ষিত পুরের শিবের গাজন
কথিত আছে সে প্রায় চারশো বছর আগে
স্ব্ররূপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির গাই গোরু টি বাড়িতে দুধ দিতনা। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল সে দুধ দেয় একটি পাথরের মাথায়।
স্বপ্নাদেশ পেলেন যে কাশী বিশ্বনাথের ই অংশ
ইনি।তাঁকে প্রতিষ্ঠা র এবং পূজার্চনার আদেশ পেলেন। গ্রামের মানুষের সহযোগিতা য় মাটির ঘরে তাঁ্র প্রতিষ্ঠা হল।
লোহাগুড়ি গ্রামের জগবন্ধু সরকার মশাই স্বপ্নাদেশ পেয়ে অতি চমৎকার আধুনিক মন্দির বানিয়ে দিয়েছেন।
পাশাপাশি ছয় সাত টি গ্রামের মানুষ এই শিবের
গাজনে সাহায্য সহযোগিতা করেন।
কুড়ি- পঁচিশ টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ উৎসব এ অংশ গ্রহন করেন।
এখানে চরক কাঠ টি ২০-২৫ ফুট উঁচু।
দড়ি বেয়ে উঠে ভক্তারা পাক খান।
চরক কাঠ টি যে পুকুরে রাখা হয় সেখান থেকে সেটিকে আর পাওয়া যায়না।
কলকাতার দলের যাত্রাপালা সহ গান বাজনার অনুষ্ঠান হয়।
শ্রী গুরুপদ রায় এবং শ্রী তারাচরন রায় এই শিবের পুজার্চনা সহ গাজন অনুষ্ঠান টি পরিচালনা করেন।
বাঙ্গালী র মূল কিন্তু তন্ত্রে। তাই তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্ম পাল রাজাদের রাজত্ব কালে বাঙ্গলায় যথেষ্ট প্রসার লাভ করেছিল।এই কদিনে শিব সবার। সকলের অধিকার।সমাজ বিন্যাসের নীচের তলার মানুষ গুলি কে আবার কাছে নেওয়া হল। এঁরা ই তো সব জাতপাত হীন বৌদ্ধধর্ম এ যোগ দিয়েছিলেন।
পাল পর্বের পর বা এঁরা আবার ফিরতে বাধ্য হলেন। স্ব গোত্র ছেড়ে শিব গোত্রে নাম লেখালেন।আর শিব তো এক অসাধারণ দেবতা।তিনি সবার ই হতে পারেন।প্রাচীন ধর্ম ; ধর্মরাজ ; বুদ্ধ; শিব সবাই এই বাঙ্গলায় মিশে গেছেন।
সামাজিক প্রয়োজনেই এই মিলন মিশ্রণ।
আর বাঙ্গালীর সাধনা তো মিলন মিশ্রনের ই।
এই আমাদের ঐতিহ্য।
-----------------------------------------------
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment