Saturday, 24 March 2018

গণেশ জননী

অযোধ্যা গ্রামের ( পো: বনকাটি থানা - কাঁকসা প: বর্ধমান) ' গণেশ জননী' পুজা -----+----------+----- প্রণব ভট্টাচার্য অযোধ্যা গ্রামের পুরোনো অংশ টির নাম পুরোনো হাটতলা। এখানে রয়েছে বিখ্যাত পঞ্চরত্ন শিবমন্দির। অপূর্ব টেরাকোটা র কাজ সমন্বিত এই মন্দির টির নির্মান কাল ১৭০৭ শকাব্দ। যদিও প্রতিষ্ঠা লিপি নাই। চুরি হয়ে গেছে। এই গ্রামের ময়রা- মোদক রা এই মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। পাশেই বেনে বাড়ির তৈরি শিবমন্দির। ধর্মরাজ মন্দির। চার দিকে রাস্তা চলে গেছে। এটি মোড় বা সংযোগ স্থল।এখানেই একদিন বসত হাট। মন্দির এর চারপাশে। রাস্তার উপর।পুরোনো একটা নাম আছে এই অংশের ' কীর্তি বাজার'। বর্ধমানের রাজা কীর্তি চাঁদের নামে। এখানেই পঞ্চরত্ন শিবমন্দির টির পাশে ই একটি এখনকার তৈরি মন্দির এ প্রতিবছর যথাসাধ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গনেশজননী নামে বাসন্তী দেবীর পূজা। পূজার আচার অনুষ্ঠান সবই দুর্গা পুজার মতো। দুর্গামন্ত্রে ই পূজা। এই পুজা প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন। আগে ছিল অষ্ট গ্রামী প্রথা।যে আটটি গ্রাম থেকে একদিন বীজিপুরুষেরা ছড়িয়ে গিয়েছিলেন নানা গ্রামে- সেই সব গ্রাম থেকে গোরুগাড়ি নিয়ে আত্মীয় স্বজনেরা এই পূজার সময় এসে একত্র হতেন। সম্পর্ক গুলি পুনর্জীবন লাভ করতো। খুব ই আনন্দে কাটতো একটা কি দুটো দিন। সেই প্রথা বজায় আছে এখনো। জনুবাজার ; কেন্দুলি; টিকরবেতা; আকম্বা; নারানপুর ; ভরতপুর ; ইলামবাজার ; অজয়ের ওপারে এই সব গ্রাম আর এপারের এই অযোধ্যা- বনকাটি; আদুরিয়া- অমরপুর ; সিলামপুর এই সব গ্রাম থেকে আজ আর মানুষ জন আত্মীয় সকল আসতে পারেন না। দূর আর ও দূর হয়ে গেছে। আত্মীয়তা র নৈকট্য ও ক্রম ক্ষীয়মান। তবে পুজার জন্য যথাসাধ্য চাঁদা এখন ও দেন।সংগ্রহের জন্য পরিবারের একজনকে বেশ ছোটা ছুটি করতেই হয়। যদি ও সংগ্রহ তেমন নয় বলেই জানালেন হারু দা ; অমর অজয় বহড়া রা। বাকীটা এই গ্রামের বাসিন্দা মোদক পরিবার গুলিকেই দেখতে হয়। অনেক গ্রামবাসী ও চাঁদা বা প্রণামী দেন।সকলের সহযোগিতা আছে। প্রতিবেশী তাম্বুলি সম্প্রদায় এবং চক্রবর্তী পরিবারগুলির। অযোধ্যা- বনকাটি গ্রাম দুটি তে অনেক গুলি দুর্গাপূজা হয়। কিন্তু গণেশ- জননী নামে এই বাসন্তী দুর্গা র পূজা এই একটি ই। এটি ও ইতিহাস। এলাকার ঐতিহ্য। বজায় থাক এলাকার সেই ঐতিহ্য। --------। ----------

No comments:

Post a Comment