অঞ্জনা নদী তীরে --------------------- প্রণব ভট্টাচার্য সেই কোন ছোটবেলা থেকে ই রবীন্দ্রনাথ এর এই কবিতাটি র প্রতি আমার এক আশ্চর্য দুখী ভালোবাসা আজ যখন পরিণত বয়সে কেন এই ভালোলাগা তার কারণ খুঁজি মনেরগভীরে গিয়ে মাটির প্রদীপ জ্বালি তার ক্ষুদ্র সামর্থের কুণ্ঠিত আলোয় পাঠ করি চিত্রলিপি পাণ্ডুরাজার ঢিবির তলদেশে কিম্বা চন্দ্রকেতুগড় টেরাকোটা নারী কে আদর করি এক আশ্চর্য আবেগে ভোলনি তো আমাকে আমি তো ছিলাম। এই তো আছি সব ছবি বেশ পুরোনো হয়ে এল সেতো অনেক দিন সেই সব বালিকারা অনেক খেলা সাঙ্গকরেছে নিজেদের আঙিনায় তাদের আর মনে নাই ভাঙ্গা মন্দিরের পাশে টগর গাছের তলার খেলাঘর মনে নাই পথের ধারে মন্দিরের দাওয়া থেকে বৃষ্টি শেষে পথের নদী তে জোড়া ঝাঁপ সেই পোড়ো মন্দির খানি পরপর চলচ্ছবি র মতো যেন চোখের সামনে দিয়ে চলে চলে যায়। আমার ভিতরেঅন্তর্লীন বিষাদের সাথে মিশে যায় এক ভাঙা মন্দিরের হাহাকার। বুঝি হে বিষাদ তুমিই এখানে আমাকেএনেছ। ভাঙ্গা একটা দেওয়াল বুকে পুরেই জন্ম যার--- তার সেই ভাঙ্গা দেওয়াল এর কালি পড়া কুলুঙ্গি তে তবু ম্লান দীপ জ্বলে।
অতি ক্ষুদ্র সামর্থে আলো ছড়ায়।
Tuesday, 26 June 2018
ভগ্ন মন্দির
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment