Tuesday, 26 June 2018

এপার - ওপার

ওপারের সাথে এপারের সম্পর্ক বরাবরই নিকটে র। মাঝে নদীটা অবশ্য বর্ষা য় ভোগায়। কি আর করা যাবে ।খয়েরবুনি শিমুল তলার ঘাটে অবশ্য পারাপার এর নৌকো থাকে। আর জল কমেগেলে শীতের সময়ে এপার থেকে অনেকটা ; বালি ; পাথর ; মোরাম মাটি ফেলে উঁচু রাস্তা আর জলের উপরেকাঠ বাঁশের সাঁকো। বাকী জল্টুকু মোটা মোটা পাইপের উপর অস্থায়ী বালির বস্তা ফেলে আর পাশে বাঁশের গার্ড ওয়াল - পারাপারের চমৎকার রাস্তা।আর কি চাই। ইলামবাজার যেতে তো হবেই। গঞ্জ। বাজারহাট।বেচা কেনা। ধান চাল ; মুদিখানা; সোনারূপো ; ডাক্তার খানা ; হাসপাতাল; যন্ত্রপাতি মেরামতি ; শুকবাজারের তাঁতিদের বোনা গামছা কাপড় চোপড় ; ধামা কুলো সব হাটে পাওয়া যায়।ভাল সাইকেল মেরামতি র দোকান কানাই দার। কানাই দত্ত। মজাদার মানুষ। তাঁর দোকানেই আছে তিনকড়ি মিস্ত্রী। তাঁর মতো মিস্ত্রী এ তল্লাটে আর কেউ নেই। মেয়ের বিয়ের গয়না- সে হয় সাহাবাবুদের দোকান নয় হাজি সাহেব দের দোকান। তা ছাড়া আর কোথা। সাহা বাবুরা সিনেমা হল বানিয়েছেন। সামনে পুকুর পাড়ে গোরুগাড়ির ভিড় লেগে যায়।আশপাশের গ্রাম থেকে সব মেয়ে বৌ রা আসে। চব্বিশ প্রহরের মেলার খুব ধুম। কীর্তন গানের ভালো আসর বসে।এপার থেকে দলে দলে মানুষ যায় গান শুনতে। ভাল গান হলে এপারে অযোধ্যা র আসরের বায়না হবে।ইলামবাজারের একদল মানুষ এপারে র আসরে আসেন গান শুনতে। রূপাইচণ্ডী তলার কলকাতা দলের যাত্রা শুনতে ওপারের অনেক মানুষ আসেন। নানা ভাবে নানা বাহনে।এখানের যাত্রা গান না শুনলে চলে।

No comments:

Post a Comment