Sunday, 24 September 2017
এলাকার দুর্গাপূজা। স্বর্ণকার কর্মকার বাড়ির পূজা।
অযোধ্যা - বনকাটি একটি পু রোনো গ্রামীণ গঞ্জ। অনেকদিন থেকে ই। চারপাশের অনেক গুলি গ্রামের মাঝখানে এর অবস্থান।এই অবস্থান গত সুবিধা গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে।
এখানকার হাট ও বেশ পুরোনো।
এখানকার তাঁতি ; স্বর্ণকার ; কর্মকার; সুত্রধর দের যথেষ্ট নামডাক। বনকাটির সদগোপ কৃষক দের উতপন্ন আনাজ এর যথেষ্ট খ্যাতি। বসুধা র চাষি দের মতো ই।
গোরু র গাড়ি তে চাপিয়ে বিক্রির জন্য ফসল যায় ইলামবাজার ;বোলপুর ; গোপালপুর ; সগড়ভাঙ্গা। পথেও বিক্রি হয়।
এখানকার কুমোর পাড়ার গোরুর গাড়ি জোড়া ই থাকে। দূরে দূরে কলসি হাঁড়ি যায়।সাতকাহনিয়া র কুমোর দের বানানো
মাটির বোতল তো ছিল খুব বিখ্যাত।
সে অনেক কথা। পরে আবার হবে।
স্বর্ণকার দের অবস্থা বেশ ভাল। তাদের হাতের কাজের খুব নাম ডাক। স্বর্ণবণিক রা ও আছেন। সোনা কেনা বেচা করেন।
যথেষ্ট বড়লোক। মূলত সোনা তাঁরা ই সরবরাহ করেন।
অযোধ্যা স্বর্ণকার বাড়ি।দুর্গাদাস স্বর্ণকারের পূর্বপুরুষ রা চালু করলেন দুর্গাপূজা। বেশ ধূম করে!প্রতিমা পূজা।
ছাগ বলি। ভোজ। যথেষ্ট আড়ম্বর।
বনকাটি তে কালী সাঁতরা র উদ্যোগে চালু হল দুর্গা পূজা। বাঁকুড়া থেকে এলেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। পুরোহিত।
এখানেও যথেষ্ট ধুমধাম।
মোটামুটি দেড়- দু শো বছর আগের কথা।
আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভাল না হলে তো আর দুর্গাপূজা চালু করা যায়না।
ঠিক এভাবেই বনকাটি র কর্মকার রাও চালু করলেন দুর্গাপূজা। মূল তিন টি পরিবার। একসাথে। এঁরাও সঙ্গতি সম্পন্ন।
উতসাহ জোগালেন বীরভুমের কোটা- শীর্ষা গ্রামের কর্মকার বাবুরা। তাঁরা তো জমিদার। অযোধ্যা গ্রামে তাঁরা তৈরী করিয়েছেন বিরাট বিরাট শিবমন্দির।
প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন এখানকার কর্মকার গণ।
Wednesday, 13 September 2017
শ্যামারূপা
দুর্গাপূজা র সময় গড়জংগলের দেবীর পূজা দেখতে কখনো এসেছেন না কি।
ইছাই ঘোষের গড়। মোটামুটি হাজার বছর আগের।ইছাই এর আরাধ্যা দেবী শ্যামারূপা বা শ্যামরূপা। দেবী ভগবতী- শ্যামারূপার পূজা হয় দুর্গা মন্ত্রে ই।সেই হিসাবে এটিই বাংলার প্রাচীন তম দুর্গাপূজা।
ইছাই ঘোষের গড়। মোটামুটি হাজার বছর আগের।ইছাই এর আরাধ্যা দেবী শ্যামারূপা বা শ্যামরূপা। দেবী ভগবতী- শ্যামারূপার পূজা হয় দুর্গা মন্ত্রে ই।সেই হিসাবে এটিই বাংলার প্রাচীন তম দুর্গাপূজা।
উখড়া প্রাচীন জায়গা
উখড়া প্রাচীন জায়গা। রেনেল সাহেবের ম্যাপ ১৭৭৯ তে উল্লিখিত। okhra।অন্ডাল থেকে উখড়া র পথে গ্রাম দক্ষিণখন্ড। এখন গঞ্জ।কয়লাখনি এলাকার একটি বর্ধিষ্ণু গঞ্জ। প্রাচীন শ্রীখণ্ড গ্রামের আর একটি নাম বৈদ্যখন্ড। সেখান থেকে কয়েকঘর কবিরাজ পদবী র বৈদ্য এই গ্রামে আসেন। অনেকদিন আগেই।এখন ও এঁ্রা আছেন। পেশায় অনেকে পিতল কাঁসার বাসন তৈরি ও তার ব্যবসা করেন। এঁদের কালীপূজা ও খুব বিখ্যাত। সমাজে এঁদের একটা বিশিষ্ট স্থান আছে।
উখড়া প্রাচীন জায়গা। তবে এর উন্নতি এখানকার জমিদার হাণ্ডা পরিবারব হাতে।বর্ধমানের রানী বিষ্ণু কুমারী এই পরিবারের সন্তান। সেই সুত্রে হাণ্ডা পরিবারের জমিদারী প্রাপ্তি। এঁরা উখড়া র উন্নতি র জন্য অনেক করেছেন।এখানকার ঝুলন মেলা পিতলের রথ কারুকার্য মণ্ডিত মন্দির দর্শনীয়। নিকটের খাঁন্দরা গ্রামটি ও প্রাচীন। হয়তো প্রাচীন খন্দ জাতীর মানুষ এর বসবাস ছিল।মাকড়া পাথরের তৈরি মন্দির গুলি নয়নাভিরাম।
উখড়া প্রাচীন জায়গা। তবে এর উন্নতি এখানকার জমিদার হাণ্ডা পরিবারব হাতে।বর্ধমানের রানী বিষ্ণু কুমারী এই পরিবারের সন্তান। সেই সুত্রে হাণ্ডা পরিবারের জমিদারী প্রাপ্তি। এঁরা উখড়া র উন্নতি র জন্য অনেক করেছেন।এখানকার ঝুলন মেলা পিতলের রথ কারুকার্য মণ্ডিত মন্দির দর্শনীয়। নিকটের খাঁন্দরা গ্রামটি ও প্রাচীন। হয়তো প্রাচীন খন্দ জাতীর মানুষ এর বসবাস ছিল।মাকড়া পাথরের তৈরি মন্দির গুলি নয়নাভিরাম।
দক্ষিণ খন্ড নিয়ে লিখেছি। এখানকার ধর্ম রাজ পূজা খুব বিখ্যাত। এই পূজার দীর্ঘ ইতিহাস আছে।
কাঁকসা
মাটির প্রদীপ। প্রণব ভট্টাচার্য এর লেখালেখি। আঞ্চলিক ইতিহাস।
কাঁকসা। নামটি এসেছে রাজা কণক সেন বা কঙ্কসেন রাও থেকে। ভবানীপতি কাঁকসা ছিলেন এই বংশ এর আদি পুরুষ।তাঁদের প্রতিষ্ঠিত কঙ্কেশ্বর শিব মন্দির এখনো রয়েছে। বক্তিয়ার খিলজী র এক সেনাপতি র হাতে এই বংশশেষ হয়। সেই সেনাপতি র ও সমাধি রয়েছে কাঁকসার প্রয়াগপুরে। সম্ভবত এই বংশ দক্ষিণী। সদগোপ রাজা মহেন্দ্র এর নাম ও এসেই যায়। অমরারগড় এর রাজার সাথে সম্পর্কিত। এঁর সময়কাল নিয়ে বিতর্ক আছে। এইসব ছোট ছোট অনেকগুলি রাজ্য নিয়ে ছিল গোপভূমি মহামন্ডল। আর মহামান্ডলিক ইছাই ঘোষ। জাতিতে গোপ। মানে গোয়ালা। কিন্তু তাঁ্র যুদ্ধকৌশল ছিল শিবাজীর মতো। আর সৈন্য স্থানীয় বাউরি - বাগদী - কোটাল- হাঁড়ি ডোম ঘরের যুবকেরা।ইছাই ছিলেন ত্রিষষ্ঠীগড়ের অধিপতি। ঢেকুর গড়্বের অধিপতি।
' বভূব রাঢ়াধীপ লব্ধজন্মা'
কাঁকসা। নামটি এসেছে রাজা কণক সেন বা কঙ্কসেন রাও থেকে। ভবানীপতি কাঁকসা ছিলেন এই বংশ এর আদি পুরুষ।তাঁদের প্রতিষ্ঠিত কঙ্কেশ্বর শিব মন্দির এখনো রয়েছে। বক্তিয়ার খিলজী র এক সেনাপতি র হাতে এই বংশশেষ হয়। সেই সেনাপতি র ও সমাধি রয়েছে কাঁকসার প্রয়াগপুরে। সম্ভবত এই বংশ দক্ষিণী। সদগোপ রাজা মহেন্দ্র এর নাম ও এসেই যায়। অমরারগড় এর রাজার সাথে সম্পর্কিত। এঁর সময়কাল নিয়ে বিতর্ক আছে। এইসব ছোট ছোট অনেকগুলি রাজ্য নিয়ে ছিল গোপভূমি মহামন্ডল। আর মহামান্ডলিক ইছাই ঘোষ। জাতিতে গোপ। মানে গোয়ালা। কিন্তু তাঁ্র যুদ্ধকৌশল ছিল শিবাজীর মতো। আর সৈন্য স্থানীয় বাউরি - বাগদী - কোটাল- হাঁড়ি ডোম ঘরের যুবকেরা।ইছাই ছিলেন ত্রিষষ্ঠীগড়ের অধিপতি। ঢেকুর গড়্বের অধিপতি।
' বভূব রাঢ়াধীপ লব্ধজন্মা'
আসুন তেপান্তর এ। সব গল্প হবে।
সরস্বতীগঞ্জ
জংগলের গভীরে যাওয়া সহজ নয়। সংগে উপযুক্ত লোক চাই। বেশ কয়েকটি বড় বড় পুকুর আছে। আছে আদিবাসী সাঁও তাল পল্লী। আছে সম্পন্ন গ্রাম। নাম সরস্বতীগঞ্জ। বুঝুন জংগলের মধ্যে গঞ্জ। খয়রা নামের একটা জাত আছে। কাঠকয়লা তৈরি যাদের পেশা ছিল। গালা ও সোনা শিল্পে ভীষণ কাজে লাগত।বাইরে চালান যেতো। খয়রাবাড়ী থেকে খেরোবাড়ী। এই গ্রাম থেকে খয়রা সহ বেশ কিছু পরিবার অন্যগ্রামে চলে গেছেন। কোটাল দের গ্রাম কোটালপুর বা কোটালপুকুর।এখানে যেমন ইছাই ঘোষের সৈন্য বাস ছিল তেমন বর্ধমান রাজ চিত্রসেন বিহার ঝাড়খণ্ড থেকে এনেছিলেন ক্ষেত্রী সিং দের সেনাপতি হিসাবে। দারুন ছিল তাদের দাপট।বহুদিন ধরেই। তাঁ্রা দুর্গা পূজা করতেন। এখনো সে পূজা হয়। সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত বিরাট পরিবারের মানুষ জনএকদিনের জন্য হলেও দুর্গাপূজা র সময় এখানে আসেন।
বনের ধারে গোপ দের গ্রাম বনগ্রাম। নিম গাছে ভর্তি উঁচু টিকর এর উপর গ্রাম নিমটিকুরি। গৌ রাঙ্গ পুর দামোদরপুর এই দুটি গ্রাম উঠে গেছে।
নামে বৈষ্ণবী য় প্রভাব বুঝতেই পারছেন। এনিয়ে পরে কথা হবে।
বনের ধারে গোপ দের গ্রাম বনগ্রাম। নিম গাছে ভর্তি উঁচু টিকর এর উপর গ্রাম নিমটিকুরি। গৌ রাঙ্গ পুর দামোদরপুর এই দুটি গ্রাম উঠে গেছে।
নামে বৈষ্ণবী য় প্রভাব বুঝতেই পারছেন। এনিয়ে পরে কথা হবে।
মৌজা গড়কেল্লা- খেড়োবাড়ী
মৌজা গড়কেল্লা- খেড়োবাড়ী। লক্ষ করুন গড়- কেল্লা। মানে এক ই। fort. মোটামুটি হাজার বছর আগের গড়। আর দু আড়াই শো বছর আগের কেল্লা। ধর্ম্মমংগল কাব্যের অন্যতম নায়ক ইছাই ঘোষ ওই গড় দখল করে স্বাধীন মহাসামন্ত মহামান্ডলিক হয়ে উঠেছিলেন। দীর্ঘ সময় রাজত্ব করার পর বৃদ্ধবয়সে লাউসেন বা নবসেন এর কাছে পরাজিত এবং নিহত হন। রক্তনালা দিয়ে বয়ে গিয়েছিল রক্তের স্রোত।তাঁ্র আরাধ্যা দেবী শ্যামারূপা। চন্ডী। হয়তো আদিতে তিনি সূহ্মারূপা। এখনো গড়জংগলের গভীরে দুর্গাপূজা র সময় তাঁ্র পূজা হয়।ভাঙা গড়বাড়ীর চিহ্ন সব হারিয়ে গেল।এই জংগলের মধ্যেই বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন কেল্লা বানিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। ইংরেজ দের সাথে দ্বন্দ্ববেধেছিল। পরে হেরে গিয়ে এখান থেকে পালান। তিনি ই বানিয়েছিলেন দেউল। এটি ই বিখ্যাত ইছাই ঘোষ এর দেউল। কোনো দেবদেবী মন্দির নয়। অনেক কথা আছে। নানা বিতর্ক।আসুন তেপান্তরে। সব গল্প হবে।
পরগনা সেন পাহাড়ি
পরগনা সেন পাহাড়ি। আজকের থানা কাঁকসা। কাঁকসার ইতিহাসে পরে আসব। থানা কাঁকসার উত্তরসীমান্ত এলাকা জুড়ে গড়জংগল।আর ওই এলাকার একটি গ্রামীণ জনপদ অযোধ্যা - বনকাটি। অযোধ্যা নামে উত্তর ভারতীয় প্রভাব রয়েছে। তার ইতিহাস আছে। আর বন কেটে বসত কবে শুরু করেছিল মানুষ এখানে - তা বলা সম্ভব নয়। তবুও খুঁজছি। এখন একটি সমৃদ্ধ জনপদ। মূলত কৃষি প্রধান এলাকা। আর কুটিরশিল্পীরা ছিলেন। তাম্বুলি সম্প্রদায় এর হাত ধরেই ধান চাল মুদিখানা র ব্যবসার গঞ্জ হয়ে উঠে। মোটামুটি দুই শ থেকে তিনশ বছরের মধ্যে এই গড়ে ওঠা। প্রাচীন মন্দির ; টেরাকোটা সমৃদ্ধ রয়েছে বেশ কয়েকটি। বিশাল চারটি শিব মন্দির। বিষ্ণু মন্দির। বনকাটির বিখ্যাত পিতলের রথ। বিখ্যত গোপালেশ্বর শিব মন্দির। রায় বাড়ী র বিখ্যত কালী পুজা। কালী মন্দির সংলগ্ন শিব মন্দির গুলি - সব ই দেখবার। তেপান্তর এর পাশেই এই সব কিছু। আসুন সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে গল্প শোনাব।
তেপান্তর এর পাশেই
তেপান্তর এর পাশেই শালজংগল।লাল মোরামের রাস্তা দিয়ে পূবে একটু হাঁটলে ডাঙ্গাল গ্রাম।উঁচু ডাঙ্গা জমির উপরে মানুষ বসতি গড়েছিল বসুধা গ্রাম থেকে উঠে এসে। মৌজা বসুধা। বন্যার ভয়ে। অজয়ের বন্যায় বারবার ভেসেছে বসুধা। ধর্ম্ম মঙ্গল এর অন্যতম কবি নরসিংহ বসু র পৈতৃক গ্রাম।বসুধাম থেকে বসুধা। নাকি বৌদ্ধ দেবী বসুধারা থেকে প্রশ্ন আছে।থাক পরে হবে। বৃদ্ধনদী- কালী দহ দেবী রূপাই চণ্ডী রূপাই দহ রাজা পোতা এসব নাম নিশ্চয় ই কৌতূহল তৈরি করছে। স্বাভাবিক। এসবের পিছনে আছে গাঢ় ইতিহাস। আসুন তেপান্তর এ। সব কথা শোনাব। আসবেন কিন্তু। '
কথা তার কাহন সাতেক। নামটি সাতকাহন
কথা তার কাহন সাতেক। নামটি সাতকাহন।এইটি আমার গাঁ। উত্তরে অজয়। ভেঙে ভেঙে গাঁ কে খেয়েছে। খাচ্ছে এখনো। বহু পুরোনো এই গাঁ। ছিল বিরাট কারিগর দের গ্রাম। তিনটি অংশ সাতটি পাড়া। বিশাল বিস্তার। তাই সাতকাহন। সাতকাহানি। সাতকাহনিয়া। অসুর কাহানি র প্রভাব। এই এই গ্রামে কল্লোল রা গড়ে তুলেছে তেপান্তর নাট্যগ্রাম।এই বঙ্গ এ প্রথম। সারা বছর ধরে চলছে নাটক নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা। সাং স্কৃতিক অনুষ্ঠান। যদি না এসে ছেন অবশ্য ই একবার আসুন।তেপান্তর মেলা বা দোল উৎসব এর সময়। আশেপাশে অনেক কিছু আছে। প্রত্নস্থল মন্দির পিতলের রথ ইছাই ঘোষের দেউল। সব গল্প বলব আমি । কথক ঠাকুর। আসুন। দীর্ঘ ইতিহাস। সব দেখাব। সব শোনাব। গড় জঙ্গল এর মধ্যদিয়ে যাবার সময় গা শিরশির করবে। তখনি তো জমবে গল্প।
Monday, 11 September 2017
অন্তর সত্তা
হে আকাঙ্ক্ষা
তুমি কার
হে নিবিড় পরমাণু
আদি আকাঙ্ক্ষা রচনা ভূমি
হে দ্বৈত সত্তা
অর্ধ নারীশ্বর
হে আদি বিন্দু
আশ্চর্য অন্তর বুনন
দ্বি বেণী র নিয়ত মুগ্ধ প্রবাহ।
Sunday, 10 September 2017
অযোধ্যা গ্রামের ধর্মরাজ তলার স্থাপিত বট বৃক্ষ
অযোধ্যা গ্রামের ধর্মরাজ তলার স্থাপিত বট বৃক্ষ।
বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যে ১৫-২০ টি শত বর্ষ প্রাচীন বৃক্ষ এখনো রয়েছে এটি তাদের অন্যতম। অনেকে বলেন গ্রাম প্রতিষ্ঠা র সময়ে ই এর স্থাপনা।
উঁচু ভিতের উপর চারকোনা মন্দির।
ভিতরে তিনটি গোলাকৃতি শিলা।
বৈশাখী পূর্ণিমায় ধর্মরাজ নামে ই এঁ্র পূজা। ভিন্ন নামে আষাঢ় ও শ্রাবণ পূর্ণিমা য় তঁাদের পূজা।
মন্দির এর পাশে অশ্বত্থ ও আছে। থাকার ই কথা।
পোস্ট করা সত্ত্বেও এই পোস্ট টি কেন
গেলনা জানিনা।
অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়
অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা র ইতিহাস আগেও লিখেছি। এবারো কুনুর কথা পত্রিকার শারদ সংখ্যায় স্বাধীনতা পূর্ব একটি শিক্ষা চিত্র( কাঁকসা ব্লক) এ ও লিখেছি।
অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়। এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা র দীর্ঘ ইতিহাস আছে।এই বিদ্যালয় এর মাধ্যমে এলাকায় শিক্ষা সংস্কৃতির আলো ছড়িয়েছিল সমগ্র এলাকায়।৮৫ বছর আগে। প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ননীগোপাল চট্টোপাধ্যায় মহাশয়।
এলাকার প্রবীণ মানুষ দের কাছে তিনি আজও বড় মাষ্টার।
তাঁকে স্কুল প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত সকল কে তাঁর সহশিক্ষক দের সকল কে এই শিক্ষক দিবসে জানাই প্রণতি।
অযোধ্যা প্রাথমিক বিদ্যালয় শুধুমাত্র একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়। এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা র দীর্ঘ ইতিহাস আছে।এই বিদ্যালয় এর মাধ্যমে এলাকায় শিক্ষা সংস্কৃতির আলো ছড়িয়েছিল সমগ্র এলাকায়।৮৫ বছর আগে। প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ননীগোপাল চট্টোপাধ্যায় মহাশয়।
এলাকার প্রবীণ মানুষ দের কাছে তিনি আজও বড় মাষ্টার।
তাঁকে স্কুল প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত সকল কে তাঁর সহশিক্ষক দের সকল কে এই শিক্ষক দিবসে জানাই প্রণতি।
দুর্গাপুর
গিয়েছিলাম দুর্গাপুর। পারিবারিক কাজে। জায়গাটা আড়া কালীগঞ্জ মোড়ের কাছে টেটিখোলা। এখন জমজমাট এলাকা। বড় বড় বাড়ী। অনেক উঁচুতে মাথা তোলা ফ্ল্যাট বাড়ী।
আমার কথা ঐ নামটা নিয়ে।
সময়টা ধরুন মোটামুটি হাজার বছর আগে।এখন কার দুর্গাপুর তখন ঘন জংগলে ঢাকা।জংগলের পূর্বে উত্তরে। বিস্তৃত ডাঙা জমি। গড় দুয়ারের বাইরে এই মাঠ।
ঢেকুর গড় বা ত্রিষষ্টি গড়ে তখন মহা মান্ডলিক ইছাই ঘোষের রাজত্ব।
সৈন্য রা টেঁটি ( বর্শার মতো সুচীমুখ অস্ত্র) খেলে ঐ মাঠে। ভাল ছোঁড়া অভ্যাস করে।
নাম তাই টেঁটি খেলার মাঠ।
আজ হল টেটি খোলা।
আমার কথা ঐ নামটা নিয়ে।
সময়টা ধরুন মোটামুটি হাজার বছর আগে।এখন কার দুর্গাপুর তখন ঘন জংগলে ঢাকা।জংগলের পূর্বে উত্তরে। বিস্তৃত ডাঙা জমি। গড় দুয়ারের বাইরে এই মাঠ।
ঢেকুর গড় বা ত্রিষষ্টি গড়ে তখন মহা মান্ডলিক ইছাই ঘোষের রাজত্ব।
সৈন্য রা টেঁটি ( বর্শার মতো সুচীমুখ অস্ত্র) খেলে ঐ মাঠে। ভাল ছোঁড়া অভ্যাস করে।
নাম তাই টেঁটি খেলার মাঠ।
আজ হল টেটি খোলা।
গাঁয়ের মাঝখানে ঐ বিরাট বুড়ো বট
গাঁয়ের মাঝখানে ঐ বিরাট বুড়ো বট। কোন বাবাজী যে চারা পুঁতেছিল তা জানা শিবের ও অসাধ্যি। বয়েস কমকরে দু শো। নাম তার বাবাজী বটতলা। কাল তার একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম। প্রিয় রামানুজ বললে এক ছিলিম কথকতা হবেনা। আরে হবে তো বটে ই।আমি তো বলার জন্যে বসেই আছি। শুনতে পারলেই হল।
এক সময় এই গ্রাম ছিল বিশাল। তিন অংশ। সাত পাড়া। বিরাট বিস্তৃত। কথা তার ফুরনো র নয়। কথা তার কাহন সাতেক নামটি সাতকাহন।
গ্রামের উত্তরে বুড়ো বাবাজী র আশ্রম। প্রাচীন সে তমাল তলা।
দক্ষিনে গোটা একটা পাড়া। চারটি আশ্রম। নবীন গোঁসাই সনাতন বাবাজী গোপাল গোঁসাই দের আখড়া আশ্রম।
জয়দেব কেন্দুলী মেলা ফেরত বাবাজী বোষ্টম দের দিন রাতের বিশ্রাম এই সব আখড়ায়।বটতলা তে আসর বসে। মাঝ রাত পার করা সে আসর। একতারা দোতারা বাজে। বোষ্টমী দের গলায় গান জমে। বাবাজী দের চোখ লাল। এর মধ্যে কত ছিলিম উড়ে গেছে। মাঝে মাঝে হুংকার ছাড়ে।
দেহভান্ড ই ব্রহ্মাণ্ড। সহজ সাধনার কত গুহ্য ক্রিয়াদি চলে রাত গভীর হলে।
পরদিন আবার একপাত পেড়ে বাবা গোঁসাই মাতাজী দের চলে যায় আরো পুবে। অন্য আখড়ায়।
আবার এক বছরের অপেক্ষা।
এক সময় এই গ্রাম ছিল বিশাল। তিন অংশ। সাত পাড়া। বিরাট বিস্তৃত। কথা তার ফুরনো র নয়। কথা তার কাহন সাতেক নামটি সাতকাহন।
গ্রামের উত্তরে বুড়ো বাবাজী র আশ্রম। প্রাচীন সে তমাল তলা।
দক্ষিনে গোটা একটা পাড়া। চারটি আশ্রম। নবীন গোঁসাই সনাতন বাবাজী গোপাল গোঁসাই দের আখড়া আশ্রম।
জয়দেব কেন্দুলী মেলা ফেরত বাবাজী বোষ্টম দের দিন রাতের বিশ্রাম এই সব আখড়ায়।বটতলা তে আসর বসে। মাঝ রাত পার করা সে আসর। একতারা দোতারা বাজে। বোষ্টমী দের গলায় গান জমে। বাবাজী দের চোখ লাল। এর মধ্যে কত ছিলিম উড়ে গেছে। মাঝে মাঝে হুংকার ছাড়ে।
দেহভান্ড ই ব্রহ্মাণ্ড। সহজ সাধনার কত গুহ্য ক্রিয়াদি চলে রাত গভীর হলে।
পরদিন আবার একপাত পেড়ে বাবা গোঁসাই মাতাজী দের চলে যায় আরো পুবে। অন্য আখড়ায়।
আবার এক বছরের অপেক্ষা।
তেপান্তর এ এসেছেন কখনো?
কখনো কি তেপান্তর এ এসেছেন। আসুন না একবার।আসুন এখানে নিরিবিলি তে বসে গল্প করি। অনেক গল্প আছে। রাত ভোর হয়ে যাবে।এলাকার। গড় জংগল এর ইছাই ঘোষ এর দেউল শ্যামা রূপা দেবী বনকাটির মন্দির পিতলের রথ কালিকাপুর - মৌখিরার মন্দির মালা ভগ্ন জমিদার বাড়ি রাজাপোতা - রূপাই চণ্ডী তলা বৃদ্ধনদী আশপাশের এলাকার কত ইতিহাস কত গল্প।
তেপান্তর - পশ্চিমবঙ্গ এর একমাত্র নাট্যগ্রাম।
আজ দেশে বিদেশে অনেকের জানা চেনা।
আসুন। এখানে এলে অন্য রকম অভিজ্ঞতা হবে।
তেপান্তর - পশ্চিমবঙ্গ এর একমাত্র নাট্যগ্রাম।
আজ দেশে বিদেশে অনেকের জানা চেনা।
আসুন। এখানে এলে অন্য রকম অভিজ্ঞতা হবে।
ডাকাত দল
ওপারে নদী র ধারে ধারে অনেক গ্রাম। গঙ্গাপুর ভরতপুর নারান পুর নহনা কানুর জনুবাজার কেন্দুলি। উত্তরে মাঠ পেরিয়ে বড় গ্রাম ঘুড়িষা। আর পুবে গঞ্জ ইলামবাজার। মো টামুটি এই এলাকাজুড়ে ঐ ডাকাত দল দাপিয়ে বেড়ায়।
ডাকাতি সেরে ভোররাতে ফিরেছে। মালের ভাগ হয় ঐ পাকুড় গাছের তলায় বসে।ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে লাগল বিবাদ।
রাগের মাথায় সর্দার রাম দায়ের এক কোপ বসিয়ে দিল সঙ্গী একজনের ঘাড়ে। ব্যস। একেবারে শেষ।
এই ঘটনার পরে ডাকাত সর্দার পাগল হয়ে গেল। ভুলে গেল সবকিছু।
দিন যায়। মাস যায়। - - -( তারপর)
ডাকাতি সেরে ভোররাতে ফিরেছে। মালের ভাগ হয় ঐ পাকুড় গাছের তলায় বসে।ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে লাগল বিবাদ।
রাগের মাথায় সর্দার রাম দায়ের এক কোপ বসিয়ে দিল সঙ্গী একজনের ঘাড়ে। ব্যস। একেবারে শেষ।
এই ঘটনার পরে ডাকাত সর্দার পাগল হয়ে গেল। ভুলে গেল সবকিছু।
দিন যায়। মাস যায়। - - -( তারপর)
( যাঁরা গোড়া থেকে আমার এই লেখা পড়ছেন তাঁ্রা কিছুটা আনন্দ পেতে পারেন। এসব তো আঞ্চলিক গল্প)
তমসার দেবী
তমসার দেবী কে পূজা না করে কি আর ঘোর নিশীথে রণে যাওয়া যায়।
পূজা সেরে ডাকাত দল চলেছে নদী পেরিয়ে ওপারে। বীরভূমএর কোন গ্রামে।ডাঙ্গাল- বসুধা গ্রামের মেটে বাউরী মাল দের ডাকাত দল। ডাঙ্গাল এর মেটে দের এক পূর্বপুরুষ দলের
মাথা।
অমাবস্যা র ঘোর অন্ধকার। নদী পেরুচ্ছে সাবধানে। ওপারে ভরতপুরে
দুজন যোগ দেবে। ওরাই নিয়ে যাবে।
মাঠের আলপথ দিয়ে চলেছে- - ( তারপর)
পূজা সেরে ডাকাত দল চলেছে নদী পেরিয়ে ওপারে। বীরভূমএর কোন গ্রামে।ডাঙ্গাল- বসুধা গ্রামের মেটে বাউরী মাল দের ডাকাত দল। ডাঙ্গাল এর মেটে দের এক পূর্বপুরুষ দলের
মাথা।
অমাবস্যা র ঘোর অন্ধকার। নদী পেরুচ্ছে সাবধানে। ওপারে ভরতপুরে
দুজন যোগ দেবে। ওরাই নিয়ে যাবে।
মাঠের আলপথ দিয়ে চলেছে- - ( তারপর)
ভুলো কালী
অজয় এর পাশে পাশে যে মাটির বাঁধ - তার পাশেই ছিল বিরাট অশ্বত্থ গাছটি। তার নীচেই ডাকাতে কালীতলা। ডাক নাম ভুলো কালী।
জল নাই ঝড় নাই আশ্চর্যজনক ভাবে ঐ গাছটি এই অমাবস্যা র দিনে মাটি থেকে সম্পূর্ণ উপড়ে পড়ে গেলো।
তৈরী হলো এক বিরাট শূণ্যতা।
কেন কিভাবে গাছটি উপড়ে গেলো সে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
সাধারণ মানুষ ভাবছে অলৌকিক ঘটনা।
জল নাই ঝড় নাই আশ্চর্যজনক ভাবে ঐ গাছটি এই অমাবস্যা র দিনে মাটি থেকে সম্পূর্ণ উপড়ে পড়ে গেলো।
তৈরী হলো এক বিরাট শূণ্যতা।
কেন কিভাবে গাছটি উপড়ে গেলো সে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
সাধারণ মানুষ ভাবছে অলৌকিক ঘটনা।
আসানসোল
এসেছি আসানসোল। এখন তো বড় শহর।পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর। একদিন তো ছিল গ্রাম। আসন গাছে ( বড় বৃক্ষ -অর্জুন গাছের জাত)
ভরতি নীচু এঁটেল মাটির চাষযোগ্য জমির জায়গা।
রেল এল রানীগঞ্জ পর্যন্ত। তারপর আসানসোল। রেলের বিভাগীয় অফিস হল এখানে। মহকুমা। রানীগঞ্জ তার গৌরব হারালো ধীরে ধীরে।ইংরেজ দের হাতে গড়ে উঠছে। চার্চ। বেকারী। চার্চের অধীনে স্কুল। কিছু চীনা মানুষ অবাঙালী মুসলিম হিন্দি ভাষী মানুষ
সকলের সমন্বয়ে আজ এক মেট্রোপলিটান সিটি। এর গড়ে ওঠার দীর্ঘ ইতিহাস।
ভরতি নীচু এঁটেল মাটির চাষযোগ্য জমির জায়গা।
রেল এল রানীগঞ্জ পর্যন্ত। তারপর আসানসোল। রেলের বিভাগীয় অফিস হল এখানে। মহকুমা। রানীগঞ্জ তার গৌরব হারালো ধীরে ধীরে।ইংরেজ দের হাতে গড়ে উঠছে। চার্চ। বেকারী। চার্চের অধীনে স্কুল। কিছু চীনা মানুষ অবাঙালী মুসলিম হিন্দি ভাষী মানুষ
সকলের সমন্বয়ে আজ এক মেট্রোপলিটান সিটি। এর গড়ে ওঠার দীর্ঘ ইতিহাস।
আসুন তেপান্তরে
শাল বনের উপর ঝমঝম বৃষ্টি। আসবেন নাকি দেখতে।আসতে পারেন। বৃষ্টি তে ভিজতে যদি ইচ্ছে করে ভিজুন না একটু। ধরুন তেপান্তর এ আসছেন। বোলপুর হয়ে। স্টেশন এ নেমেছেন। স্টেশন থেকে বাসস্ট্যাণ্ড এ যেতে হবে। বলা থাকলে তেপান্তর থেকে গাড়ি পাঠানো হয়। বোলপুর এর একটা প্রাচীন নাম বলিপুর।আসার পথে সুরথ রাজার শিব মন্দির তলা হয়ে আসুন। এই সুরথ রাজা দুর্গা পুজার সময় এতো বলি দিয়েছিলেন যে রক্তস্রোত গড়িয়ে গিয়েছিল বোলপুর পর্যন্ত।এর নাম হয়েছিল বলিপুর। আর একটা - অনেক প্রাচীন বকুল গাছ ছিল। বকুল কে গ্রামের মানুষ কথ্য ভাষায় বোল বলে। এখান থেকেও হতে পারে। সুপুর রাইপুর নিয়ে অনেক কথা আছে।পরে বলবো। বনভিলা র পর ই জংগল শুরু। জংগল এর নাম চৌপাহারী। নামকরণ এ মজা আছে। চৌপর দিনভর পার হতে সময় লাগে হয়তো তাই।যাই হোক অনেক গল্প। সব হবে। আসুন তেপান্তরে।
তেপান্তরের যাত্রাপথ
হয়তো তেপান্তর এ আসছেন। পানাগড় স্টেশন এ নেমেছেন। ছোট্ট স্টেশন। একটু চোখ বুলিয়ে নিন। মনে করুন সেই১৮৫৫ সাল। এই রেল পথেই প্রথম রেল গাড়ি চলেছিল। হাওড়া- রানীগঞ্জ। যাইহোক বাসস্টপ এ আসুন। দুর্গাপুর- বোলপুর বাসে চাপুন।বা দার্জিলিং মোড় এ আসুন। পানাগড় - মোরগ্রাম হাইওয়ে। স্টেট বাসে চাপুন।১১ মাই ল স্টপেজ এ নামবেন। পানাগড় পার হয়ে কিছু পরেই জংগল শুরু। ধোবারুর জংগল। আর একটা নাম ; সাত কাটার জংগল। এক সময় তো চোর ডাকাত ঠ্যাঙারে দের উতপাত ছিল।জংগল এর ভিতর পশ্চিম দিকে গ্রাম গাড়াদহ; রাজ কুসুম । কি সুন্দর নাম বলুন রাজকুসুম। পুবে গ্রাম ধোবারু।সব নামের মানে আছে।ইতিহাস লুকিয়ে আছে। এরপর গ্রাম ত্রিলোকচন্দ্রপুর। বর্ধমানের রাজার নামে।দোমড়া। সুন্দিয়ারা।প্যারীগঞ্জ। বর্ধমানের এক রানী র নামে। তেলিপাড়া। বেলডাঙা।আবার একটু জংগল। মাজুরিয়া- রঘুনাথপুর ব্রাহ্মণ গ্রাম। তারপর ১১ মাইল। পানাগড় থেকে ১১ মাইল দূরে।সেই ১১ মাইল। অনেক গল্প আছে। আসুন তেপান্তর এ।
পানাগড়
পানাগড় একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখন পশ্চিম বর্ধমানে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর সময় পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় সামরিক ছাউনি।এরোড্রাম রয়েছে।অটোমোবাইল পার্টস এর বড় বাজার। বাজার এর মধ্য দিয়েই জি টি রোড।এখন বাইপাস হয়েছে।এই বৃহৎ গঞ্জটিকে মিউনিসিপালিটি র মর্যাদা দেওয়া দরকার।পানাগড় থেকেই শুরু হচ্ছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল।
নামকরণ নিয়ে নানামত। আগে পান পাতার বেশ চাষ হত। পান ঘর থেকে পানাগড়। পানা মানে কচুরিপানায় ভর্তি ছোটোবড়ো অনেক গোড়ে মানে ছোট পুকুর। সেখান থেকেও হতে পারে। কাঁকসার রাজাদের গড় ছিল। তাই পানাগড়।১৯০১ সালের সরকারি প্রতিবেদনে দেখছি পানিঘর।১৮৬০ এর দশকে জিটি রোড এর সংস্কার এর সময় বানানো হয় ডাকবাংলো। জলাহার বিশ্রাম এর ব্যবস্থা সহ। পুরাতন চটিগুলির ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। বুদবুদ চটি - রাজবাঁধচটি। এই রকম মোটামুটি ১১ মাই ল দূরে দূরে।আর হাঁ আস্তাবল। ঘোড়ার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা তো চাই।ডাকচলাচলের মাধ্যম ঘোড়া তো সেই শের শাহ এর সময় থেকেই।
কথা তো অনেক। পানাগড় হয়ে যদি তেপান্তর এ আসেন - তাই কিছু শুনিয়ে রাখলাম।পরে তো গল্প হবেই। কখন আসছেন।
নামকরণ নিয়ে নানামত। আগে পান পাতার বেশ চাষ হত। পান ঘর থেকে পানাগড়। পানা মানে কচুরিপানায় ভর্তি ছোটোবড়ো অনেক গোড়ে মানে ছোট পুকুর। সেখান থেকেও হতে পারে। কাঁকসার রাজাদের গড় ছিল। তাই পানাগড়।১৯০১ সালের সরকারি প্রতিবেদনে দেখছি পানিঘর।১৮৬০ এর দশকে জিটি রোড এর সংস্কার এর সময় বানানো হয় ডাকবাংলো। জলাহার বিশ্রাম এর ব্যবস্থা সহ। পুরাতন চটিগুলির ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। বুদবুদ চটি - রাজবাঁধচটি। এই রকম মোটামুটি ১১ মাই ল দূরে দূরে।আর হাঁ আস্তাবল। ঘোড়ার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা তো চাই।ডাকচলাচলের মাধ্যম ঘোড়া তো সেই শের শাহ এর সময় থেকেই।
কথা তো অনেক। পানাগড় হয়ে যদি তেপান্তর এ আসেন - তাই কিছু শুনিয়ে রাখলাম।পরে তো গল্প হবেই। কখন আসছেন।
একটি কবিতা।
একটি কবিতা।
জেগে থাকে ভয়
সুপ্রাচীন তুঁষ উন্মুখ
চিনি ধিকিধিকি
জানি হে কেলাস জল
তুমি বিস্ফোরক।
ভূমি বিষ
অতিভুজ বৃদ্ধি
শীর্ষবিন্দু স্থানাঙ্ক বিহীন
সুপ্রাচীন তুঁষ উন্মুখ
চিনি ধিকিধিকি
জানি হে কেলাস জল
তুমি বিস্ফোরক।
ভূমি বিষ
অতিভুজ বৃদ্ধি
শীর্ষবিন্দু স্থানাঙ্ক বিহীন
Subscribe to:
Posts (Atom)