।। রাজনগর।।
নামই তার রাজনগর।
বা ছোট্ট করে নগর।
একদা বীরভূমের রাজধানী।
সীমান্ত এলাকা। পশ্চিমে ঝাড়খণ্ড। এই পথ দিয়ে কত
আক্রমণকারী ঝড়ের বেগে ঢুকেছে। স্বাভাবিক ভাবেই
এই সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত করার প্রয়োজন অনুভব করেছেন এখানকার শাসকরা।
রাজনগর এর ইতিহাস এর অনেক গুলি কালপর্ব।
বীরভূমের বীর রাজাদের রাজধানী।
এই বীর রাজাদের সম্যক পরিচয় এখনও পরিষ্কার নয়।
এই সেই লক্ষৌনুর।
বাংলার বিখ্যাত সেন রাজাদের নামাঙ্কিত। রাজা লক্ষনসেনের
নামে রাজা বল্লালসেন স্থাপন করেছিলেন এই নগরের।
গড়, গড়খাত, ইত্যাদি নির্মিত হয়েছিল।
হিন্দু রাজাদের পরে এখানকার শাসক হন পাঠানরা।
তাঁদের সময়ে বীরভূম অনেক বিস্তৃত।
পাঠানরাজারাও ছিলেন বিখ্যাত।
এই রাজনগর এর পাঠান রাজাদের উকিল, আইনী পরামর্শ দাতা, মুর্শিদাবাদ রাজদরবারের প্রতিনিধি ছিলেন
ধর্মমঙ্গল কাব্যের অন্যতম কবি নরসিংহ বসুর পূর্ব পুরুষ রা।
এঁদের পৈত্রিক বাসস্থান ছিল আমাদের এখনকার কাঁকসা থানা এলাকার বসুধা গ্রামে।
এই বসুধা ছেড়ে শাঁখারী গ্রামে চলে যান মথুরা বসু।
" বাঙ্গালায় বীরভূম বিখ্যাত অবণী।
শ্রী আসফুল্লা খান রাজা শিরোমণি "।
রাজনগর এর কথার শেষ নাই।
আনুমানিক ষোড়শ শতকে নির্মিত এখানকার বিখ্যাত
মোতি চূড় বা মোতি মসজিদ।
ছয় গম্বুজের এই মসজিদের গম্বুজ গুলি ভেঙে পড়েছে।
নির্মিত হয়েছিল চমৎকার এক ধর্মীয় স্থাপত্য।
অসাধারণ তার টেরাকোটা র অলংকরণ।
হিন্দু মুসলিম উভয় ধারার মিশ্রিত " মোটিফের "ব্যবহার হয়েছে। টেরাকোটা অলংকরণ যুক্ত কোন মসজিদ আর
বীরভূমে নাই।
যদিও এই মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি বা নমাজ পাঠ হয়নি।
এটি একটি অবহেলিত ঐতিহাসিক স্থাপত্য।
------------ ------------ ------------ ------------ ------------
সকলকে আমার ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।
সৌভ্রাতৃত্ব বজায় থাক। মনুষ্যত্ব ই মানুষের শ্রেষ্ঠ পরিচয়।
No comments:
Post a Comment