Saturday, 1 March 2025

দুবরাজপুর। মন্দির সমূহ

।। দুবরাজপুর এর মন্দির সমূহ।। 

 এরা কি বিশিষ্টতা য় উজ্জ্বল নয়? 
ইতিহাস কি এতই অনুজ্জ্বল! 
কত মণিহারে বিভূষিতা ছিলে গো মা 
বঙ্গজননী 
 আমাদের সীমাহীন অবহেলা, অক্ষমতা 
ভাবনার দীনতা  নিজেদের নিষ্ঠুর ভেঙে যাওয়া 

হায়  আমরা রক্ষা করতে পারিনি 
 ক্ষমা চাইবার  অধিকার ও  হারিয়েছি 
সে কবেই 

দুবরাজপুর
 অনেক গুলি মন্দির। সবগুলি ই ইঁটের তৈরী। 
  বক্রেশ্বর এর দক্ষিণে এই দুবরাজপুরে পাথরের কোন মন্দির নাই। অথচ পাথর খণি যে খুব দূরে ছিল তা ও নয়। তবে হয়তো পাথরের কাজ করার মিস্ত্রি ছিলনা।বোধহয় রসা - বড়রা য় ছিল। সেখানে হাঁসা পাথরের কাজ এখনও হয়। 
মাকড়া পাথরের বোল্ডার দিয়েও। না  হয়নি। 
 পাকুড়তলা বাজার বা হাটতলার কাছে  তেরো চূড়ার এক মন্দির। মন্দির টি আয়তনে বা উচ্চতায় তেমন বড় নয়। 
 অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকায় মন্দির টি। একদিন মন্দিরের প্রধান দ্বারপার্শ্বে ছিল " খোদিত কারিগর গোপীনাথ হাড়ি। দুবরাজপুর। আর একজনের নাম শ্রীনন্দ বাগতি। সন ১২৯৬ 
 বা ১৭৯৬ (!) । বেশ কিছু টেরাকোটা অলংকরণ ছিল। 
 আজ সব ঢেকে গেছে সিমেন্ট প্লাস্টারে। এখানে বৃষ বাহন শিবলিঙ্গ আছে। 
 উল্লেখযোগ্য যে সমাজের নিম্নবর্গের মানুষেরা, হাঁড়ি, বাগদি রাও মন্দির নির্মানে দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। 
 ময়রা পাড়া ঃ এখানে তিনটি মন্দির। দক্ষিণ মুখী। একটি ত্রয়োদশ রত্ন। বাকী দুটি শিখর রীতির। এখানেও সংস্কার এর কাজ হয়েছে। তবে বেশ কিছু টেরাকোটা প্লাক অবশিষ্ট আছে। 
 নায়ক পাড়া ঃ পাশাপাশি তিনটি মন্দির। একটি চালা রীতির।
 অসামান্য জ্যামিতিক ডিজাইন আছে এখানে। একটি নবরত্ন।
 অপর টি দেউল রীতি র। ধ্বংসপ্রাপ্ত। শিবের বিবাহ, কালী, মহিষাসুরমর্দিনী ইত্যাদি টেরাকোটা র কাজ  ছিল। 
 নামো পাড়া বা ওঝা পাড়ার "' পঞ্চ শিবালয় " ঃ এখানকার পাঁচটি শিবমন্দির। দুটির সিমেন্ট প্লাস্টার হয়ে গেছে। বাকী তিনটির একটি তেরো চূড়া, এবং দেউল রীতি র। 
 চমৎকার টেরাকোটা অলংকরণে সমৃদ্ধ। 
 এই ওঝা, পাণ্ডে, নায়ক রা সকলেই কেউ মৈথিলী, কেউ  কনৌজ ব্রাহ্মণ। তাঁদের ও ইতিহাস রয়েছে।

No comments:

Post a Comment