Monday, 31 January 2022

ইছাই ঘোষের দেউল ছাড়িয়ে - কিছু কথা

কোনদিকে কতটা যান 
আমি জানিনা। 
ইছাই ঘোষের দেউল এর 
অবস্থান টি ভালো করে লক্ষ্য করবেন। 
অজয় এখানে পশ্চিম থেকে উত্তর পূর্বে বাঁক নিয়েছে। 
ইছাই ঘোষের দেউল এর উত্তর দিকে যে 
রাস্তা চলে গেছে দিঘীর পাশ দিয়ে খেড়োবাড়ি
গ্রামের দিকে 
যেতে পারেন একটি আদিবাসী পল্লী দেখতে 
 আবার পল্লী ছাড়িয়ে একটু উত্তরে যান 
 মাটির বাঁধ। পলাশ বন। প্রাচীন বৃহৎ শিমূল 
 গুলিকে দেখতে পারেন। 
 পলাশের সময় আসছে। তখন দেখবেন 
পলাশে শিমূলে রাঙা 
 গড়কেল্লা খেড়োবাড়ি মৌজা। 
দেখুন গড় আর কেল্লা মিশে আছে একই শব্দবন্ধে। 
 গড় । সে ছিল প্রায় হাজার বছর আগে। 
 আর কেল্লা বানিয়েছিলেন বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন।   ত্রিলোকচন্দ্র এখানে এই কেল্লায় 
গোপনে অবস্থান করেছেন। ইংরেজ দের সাথে দ্বন্দ্ব।  
অনেক কথা আছে। নানা লেখায় বলেছি। 
এই দেউল কিন্তু ইছাই ঘোষের স্মৃতি দেউল। 
তাঁর স্মৃতিতে নির্মিত। 
কে বানালেন?  স্বাভাবিক প্রশ্ন। 
 অনেক দিন আগে ই একটা ছোট্ট পত্রিকায় আমি লিখেছিলাম যে বর্ধমানের রাজাদের দ্বারাই নির্মিত। 
 সেই ছোট পত্রিকাটি খুঁজছি। 
 সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায় মশাই ও তাই বলেছেন। 
 উনি তো বলেইছেন সোনামুখি র মিস্ত্রিরা বানিয়েছিল। 
ওপারে জয়দেব কেন্দুলী র বিখ্যাত রাধাবিনোদ  মন্দির নির্মান সেই বর্ধমানের রাজ বংশের দ্বারাই। 
 প্রায় সেই সময়কালে ই এই দেউলের নির্মান। 
 পাতলা ইঁটের তৈরী। টালির মতো ইঁট। 
 সেই ইঁট কেটে অলংকরণ। 
 পশ্চিম বঙ্গে যে ছয় - সাতটি ইঁটের তৈরী দেউল আছে এই ইছাই ঘোষের দেউল তার অন্যতম। 
 এটি যেমন স্মৃতি দেউল আবার সৈন্য চলাচলের 
উপর নজর রাখার জন্য ও ওয়াচ টাওয়ার হিসাবেও ব্যবহৃত হয়েছে। সেই সময়ে। 
সে সময় কাল বড়ই উত্তাল। 
 পরে শুনবেন।

No comments:

Post a Comment