Wednesday, 19 January 2022

সাতকাহনিয়া নবীন দাস বাবাজী র আশ্রমের ৩রা মাঘের মহোৎসব

সাতকাহনিয়া নবীন দাস বাবাজী আখড়া র ৩ রা মাঘের মহোৎসব। 
  
নবীন দাস বাবাজী যে কবেকার তা জানা নেই। 
আর আজ আমার মাতামা বা অন্নপূর্ণা মাসীমা তারাও কেউ নেই। 
এই আখড়ায় ছোট বেলায় যাদের দেখেছি সেই সব সাধু বাবাজী ; বৈষ্ণব বৈষ্ণবী তারা আর কেউ বেঁচে নেই। কত মানুষ এখানে এসেছে গেছে। আসা যাওয়ার পথের ধারে। তাদের কথা খুব  মনে পড়ে।  এই দিনটা এলে। 
 কেন্দুলী ফেরত সাধু বাবাজী রা এই আশ্রমে এসে 
 দুদিন বিশ্রাম নিয়ে আবার অন্য আখড়ায় চলে যেতেন। এই ভাবে আশ্রমে আশ্রমে ঘুরতে ঘুরতে 
 সেই দধিয়া - বৈরাগী তলার মেলা। 
 বাউল বাবাজী বোষ্টম দের ছিল এই  আখড়া সংগঠন। আখড়ায় আখড়ায় বিশ্রাম নিতে নিতে জয়দেব - কেন্দুলী যাওয়া আবার এই ভাবেই অন্য 
 আখড়ায় আখড়ায় বিশ্রাম নিতে নিতে ফেরা। 
 দধিয়া বৈরাগী তলা শেষ করে নিজেদের আখড়ায় ফেরা। বাৎসরিক পরিক্রমা। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ। ভাবের আদান প্রদান। মিলন। মনের মানুষের সন্ধান 
 তখন এঁরা সবাই হেঁটে ই পথ পরিক্রমা করতেন। 
 কাঁথা  কম্বল  সব থাকত বাবাজী র কাঁধে। আর ব্যক্তিগত চলন্ত সংসার এর টুকিটাকি যাবতীয় থাকত মাতাজী র ঝোলায়। 
বটতলা য় খড়ের উপরে চট বিছানো। তার উপর কম্বল পেতে নিজের নিজের বিছানা। সামনে দু তিন টে ধুনি। সারারাত জ্বলে।শাল কাঠের ধুনির ধুনো গন্ধ ময় ধোঁয়া আর গাঁজা র ধোঁয়া মিলে মিশে একাকার।  রাত বাড়ে আর দেহতত্বের গান ও জমে ওঠে। গান বলা হয়  বটে কিন্তু এই গানই বাউলদের মন্ত্র। তাঁরা গাইতেন তন্ময় হয়ে। সেই সব বাউলদের আজ আর দেখিনা। না। কেন্দুলী তে ও না। দু এক জন যাঁরা 
আছেন তাঁরা নিজেদের সংগোপনে ই রাখেন। 
 গতকাল ৩ রা মাঘ পার হল। 
 মহোৎসবে এখন প্রচুর মানুষ আসেন। 
 গ্রামের মানুষ -   মূলত যুব ছেলেরা পার করেন 
 ঐতিহ্যবাহী  এই মহোৎসব  টিকে।

No comments:

Post a Comment