একদিন ছিল। বিশাল সে দুর্গাদালান। স্তম্ভে খিলানে তার রাজকীয় ঐশ্বর্য। ছিল অপূর্ব ভিতর বারান্দা। বিরাট বাহির বারান্দা। তারপর তার সু-উচ্চ প্রবেশ দ্বার। ভিতরে হাতি ঢুকতে পারে এমনই তার উচ্চতা বা প্রস্থ। এবং তার কারুকার্য।
ইলামবাজার সে এক প্রাচীন জনপদ।
গঞ্জ ইলামবাজার। ' এলেম বাজার '। যে বাজারের ' এলেম' আছে - অর্থাৎ দাম আছে। আবার ' নীলাম বাজার '। কত ব্যবসায়ী পরিবার এখানে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। কোন কোন পরিবার প্রায় ছয় - সাতশো বছর আগে ও এসেছেন।
আজ বসেছিলাম সুখ্যাত ' দত্ত ' ( দালাল) পরিবারের মাননীয় শ্রী গুরুদাস দত্ত মশাই এর সাথে। অনেক কথা হল। বয়স এখন তাঁর ৯০ +।
হয়তো বা প্রবীণতম মানুষ ইলামবাজারের।
এই দত্ত পরিবার এর কথা পরে আলাদা ভাবে বলতে হবে। ইলামবাজারের প্রাচীন ইতিহাস এর কথা বলার লোক আর তেমন নাই।
ব্যবসায়ী পাল পরিবারের এই দুর্গা দালানের কথা
ওঁর কাছ থেকে ই শুনলাম। সম্ভবত প্রাচীণতম দুর্গাদালান। অন্যান্য অনেকগুলি কে মাথায় রেখেই
বলছি। আরও মেলাতে হবে।
আমার সাথে ছিল ইলামবাজারের সুখ্যাত গৃহ শিক্ষক শ্রী সুবল কর্মকার।
ইলামবাজার আমাদের অনেকের ই প্রায় দ্বিতীয় ঘরের মতো। আমি প্রায়ই বলি আমাদের একপা অজয়ের এপারে আর এক পা ওপারে।
প্রতিদিনের পারাপার।
ইলামবাজার দেবীপুর পায়ের গঙ্গাপুর বারুইপুর ভগবতী বাজার ; শুকবাজার খয়েরবুনি নবগ্রাম এই সকল
গ্রামকে নিয়ে আজকের যে বৃহত্তর ইলামবাজার
তার এক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা র চেষ্টা করে যাচ্ছি। নানা সময়ে এখানে বা মুদ্রন মাধ্যমে ইলামবাজার সম্পর্কে নানা প্রবন্ধ লিখেছি। এখানে
ফেসবুকে র পাতায় আমার অনেক পোষ্ট।
শুধু টেরাকোটা র কাজের অনবদ্য উদাহরণ স্বরূপ
এখানের
তিনটি মন্দির নিয়েই আমার অনেক পোষ্ট। এছাড়াও আছে। দেবীপুর ; শুকবাজার ; ঘুড়িষা ; জয়দেব কেন্দুলী ; ঊষার ডিহি ; দেউলী; ধল্লা প্রভৃতি
জায়গার সম্বন্ধে নানা পোষ্ট।
কিন্তু প্রাচীণ জনপদ ইলামবাজারের যে অনেক কথা। আজকের ইলামবাজার - সে তো আকৃতি তে মিউনিসিপ্যাল এলাকার মতোই। সেই মর্যাদা তার পাওয়া উচিৎ। যে ভাবে " বীরভূমের প্রবেশ দ্বার " শুধু নয় বরং বলা ভালো " উত্তরে র দুয়ার "
এই ইলামবাজার বেড়েই চলেছে। মিউনিসিপাল মর্যাদা না পেলে মানুষ কে নাগরিক সুবিধা দেওয়া
গ্রামপঞ্চায়েতের পক্ষে সম্ভব নয়।
যাই হোক নিশ্চয়ই এসব বিষয় উপযুক্ত স্তরে আলোচিত হচ্ছে। আমার আলোচনা র বিষয় নয় তবু এ কথা বলতেই হয়। নানা প্রবন্ধে বলেছি।
আমার একান্ত ইচ্ছা ইলামবাজারের এই গড়ে ওঠার একটা আনুপূর্বিক ইতিহাস লেখা।
আমার এই কাজে অনেকের সহযোগিতা দরকার।
বন্ধুরা যদি সহযোগিতা করেন -।
আপনারা জানেন আমি ক্ষেত্র সমীক্ষা ভিত্তিক কাজ করি। এবং তা করতে হলে পরিশ্রম ; খরচ
সবই আছে। ইলামবাজার ব্লক প্রশাসন কি আমাকে একটু সাহায্য করবেন।
অনেক ছাত্র রা রয়েছো। তোমরা আমাকে ভালোবাস তাও জানি। তার বহিঃপ্রকাশ এখনও অনুভব করি। শিক্ষক হিসাবে এ পাওয়া যে কত বড় পাওয়া! তোমরা অনেকে রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় এবং প্রভাব আছে। তোমরা একটু দেখো।
ইলামবাজার এর কাছে অনেক ঋণ গো। আবার
জমে আছে ভিতরে অনেক অভিমান।
সকলের সাহায্যে যদি আরব্ধ কাজ টা করতে পারি!
সকল কে অনুরোধ জানালাম।
আর একটা কথা ইলামবাজারের বন্ধুদের কাছে
No comments:
Post a Comment