Sunday, 12 December 2021

জয়দেব কেন্দুলী ভক্তি ভবন।

।।  জয়দেব - কেন্দুলী। 
 ভক্তি ভবন। এই এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। 
  বামফ্রন্ট সরকারের মাননীয় মন্ত্রী প্র‍য়াত ভক্তি ভূষণ মণ্ডলের
  নামাঙ্কিত এই ভবন। 
  সারা বছর ধরেই নানা বিধ অনুষ্ঠানে মুখরিত থাকে এই কেন্দ্র। 
  বীরভূম আর বাউল গান হবে না। তা তো হয়না। বাউল গান তো আছেই। কেন্দুলীর বাউলরা অনেকে ই আমন্ত্রিত থাকেন। 
  আর এ মাটি " গীতগোবিন্দম্"  এর সাধক প্রেমিক কবি 
  জয়দেব এর জন্মস্থান। এর বাতাসে " দেহি পদ পল্লব মুদারম
     এর সুর ধ্বনি। 
  সামনে বয়ে যাচ্ছে অজয়। প্রাচীনা " অজাবতী "।
  ওপারে সেনপাহাড়ী পরগনা। বাংলার সেন রাজাদের আদি বাসভূমি । দেখা যাচ্ছে ইছাই ঘোষের স্মৃতি দেউল। আমাদের এক পা ওপারে আর এক পা যে এপারে। 
  আজ ভক্তি ভবনে বসেছিল " জয়দেব অঞ্চল সংস্কৃতি সেবা 
সমিতির  ৪৬ তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 
  এত গুণী মানুষের সমাগম ঘটেছিল আজকের এই অনুষ্ঠানে। 
   বীরভূমএর  কবি সাহিত্যিক রা তো ছিলেন ই। ছিলেন বর্ধমানের অনেক বিশিষ্ট মানুষ। পুলিশ আধিকারিক। জেলা শাসক স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এসেছিলেন। সকলের অনুরোধে কথার পর 
 " তুমি কেমন করে গান করহে গুণী - গেয়ে শোনালেন। 
 চমৎকার গলা বা গায়কী। 
 কে না ছিলেন কবি অরুন চক্রবর্তী যাঁকে ছাড়া জয়দেবের কোন অনুষ্ঠান হয়না। কবি মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় ;  তৈমুর খান ; অসিকার রহমান ; ফজলুল হক ; দেবকুমার দত্ত ; ডাঃ অরুনাভ সেনগুপ্ত ;  কবি শিল্পী নীলোৎপল দা ; সরোজ কর্মকার ; সন্তোষ কর্মকার ; মোল্লা কামাল 
  তারাপদ হাজরা  তরুন কবি নিজামুদ্দিন এবং 
 প্রবীর দাস  ; মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ; সাধন ভট্টাচার্য ; চূণীলাল মুখোপাধ্যায় সহ অনেক পত্রিকা সম্পাদক। প্রবীণ নবীন 
অনেক কবি সাহিত্যিক।  ভর্তি সারা হলঘর। কবিরা তাঁদের কবিতা পড়লেন। 
  জয়দেব অঞ্চল সংস্কৃতি সেবা সমিতির পরিচালক রা তো ছিলেন ই। শান্তি দা ; রণজিৎ দা ; সুভাষ  কবিরাজ ; আনারুল হক ; উত্তম দা রা। শান্তি দা র  " গীতগোবিন্দম্ " এর গান ছাড়া 
 তো অনুষ্ঠান শুরুই হয়না। 
 এই মহতী অনুষ্ঠানে  চার জন আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চাকারী কে  সংবর্ধনা দেওয়া হল। এঁদের মধ্যে  শ্রী সিদ্ধেশ্বর মুখোপাধ্যায় এবং মহঃ আয়ুব হোসেন তো দুই প্রত্ন প্রদীপ। 
 স্বনাম খ্যাত। এঁদের সাথে আমাকে এবং  মইনুদ্দিন অশোক কে ও সংবর্ধিত করা হল। ঐ দুই বিশিষ্ট ইতিহাস চর্চাকারী র 
 সাথে আমাদের মতো মানুষ এর  একই মঞ্চ থেকে সংবর্ধিত হওয়া -  সে বড় শ্লাঘা র বিষয়। 
  সংবর্ধনা র শেষে কিছু কথা। সকলের কথার সুর প্রায় এক। 
  উদ্ধার করতে হবে আমাদের নিজেদের মাটির ইতিহাস। অজয় অববাহিকা সহ 
- রাঢ় মাটি র ইতিহাস। চিনতে হবে নিজের মাটি কে ; মানুষ কে  ; খুঁজতে হবে মানুষের ইতিহাস। পরবর্তী প্রজন্ম কে এই বার্তা পৌঁছে দিতে অনুরোধ জানালেন মহঃ আয়ুব হোসেন সাহেব। 

পুনঃ। অনেকে তাঁদের লেখা বই দিয়েছেন। সে গুলি বিশেষ প্রাপ্তি। 
 মনের মাধুকরী - নারায়ণ কর্মকার ; অবরুদ্ধ চেতনা  - পরিমল সাধু। আমার কলম - প্রদীপ মণ্ডল। হৃদয়তান্ত্রিক বর্ণমালা - বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। 
  পত্রিকা। ঋত্বিক ; প্রতিদ্বন্দ্বী ; কবিতার কলম। অবশেষ। কুনুর কথা। 
 আর সংস্থার পক্ষ থেকে জজন্মশতবর্ষের আলোকে ভক্তি ভূষণ মণ্ডল।  দাস রাধাময়ের গান। 
 উত্তরীয় ; পুষ্পস্তবক ছাড়া মন কাড়া মানপত্র টি। জয়দেব কেন্দুলী নিকট বর্তী টিকরবেতা র বিখ্যাত কাঁসা পিতল শিল্পের 
 কথা মাথায় রেখে কাঁসার থালায় উৎকীর্ণ মানপত্র। 
     প্রণাম এ মাটিকে। 
জয়দেব কেন্দুলী। তাং ৯/১১/২১।
উপস্থিত ছিলেন আগেই বলেছি অনেক বিশিষ্ট মানুষ। সকলের নাম এখানে উল্লেখ করতে না পারার জন্য আন্তরিক দুঃখিত।

No comments:

Post a Comment