বঙ্কিম দুঃখ করে বলেছিলেন,"সাহেবরা যদি পাখি মারিতে যান, তাহারও ইতিহাস লিখিত হয়, বাঙ্গালার ইতিহাস নাই।"
একথা ঠিক যে বঙ্কিমের এই কথা বলার পর থেকে অনেক ইতিহাস লেখা হয়েছে বাংলার! কিন্তু সে ইতিহাস চর্চা আবর্তিত হয়েছে তার কেবল তার রাজধানীকে কেন্দ্র করে, সেখানকার রাজা,সুলতান,নবাবদের গল্প.... তাও সব রাজধানী সমান প্রচারের আলো পায় নি...বাঙালির এখনো এক বড় অংশের হাবভাব যেন রামমোহন এলেন আর বাংলা আকাশ থেকে পড়লো!
বাংলার কোনায় কোনায় ছড়িয়ে থাকা ইতিহাসের মণিমানিক্য থেকে গেল চরম অবহেলায়! আজও একটু পল্লীগ্রামের দিকে গাছতলায় পাল-সেন যুগের হাজার বছর আগেকার মূর্তি পড়ে থাকতে দেখাটা, খুব একটা দুর্লভ নয়! প্রত্ন চোরেরা এইটাই কাজে লাগায়! ভদ্র পোশাকে তারা আসে, গ্রামে এলে গ্রামের মানুষ মনে করে, এল বোধ হয় সরকার থেকে কেউ!খাতির করে, গ্রামের কোনায় পড়ে থাকা দুর্লভ মূর্তিটারও সন্ধান দিয়ে দেয়! নিয়ে গেলে ভাবে কোনো মিউজিয়ামে বোধ হয় সংরক্ষিত হল যথাযথ ভাবে! এটা ঠিক সংরক্ষণ মূর্তিগুলো পায়, কিন্তু বিদেশের কোনো শৌখিন প্রত্নসংগ্রাহকের বৈঠকখানায়, চড়া দামে নিলামে বিকবার পর!
বাংলার এই দৈন্য ঘুচানোর উপায় কি? বঙ্কিমই বাতলেছিলেন, "বাঙ্গালার ইতিহাস চাই, নহিলে বাঙ্গালার ভরসা নাই। কে লিখিবে? তুমি লিখিবে, আমি লিখিব, সকলেই লিখিবে। যে বাঙ্গালী, তাহাকেই লিখিতে হইবে। ......এই আমাদিগের সর্ব সাধারণের মা জন্মভূমি বাঙ্গালাদেশ, ইহার গল্প করিতে কি আমাদিগের আনন্দ নাই?"
কিন্তু আমার হচ্ছে 'মুখেন মারিতংজগৎ'.....দেশোদ্ধার আমার ফেসবুকুনিতেই সীমাবদ্ধ..... কিন্তু যারা সত্যি সত্যি অতুল পরিশ্রম করে বাংলার আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা করে যাচ্ছেন প্রণববাবু( Pranab Bhattacharyya ) তাঁদের একজন!
তাঁর ব্লগের ঠিকানা দিচ্ছি, যদিও সেই ব্লগ এখনও নির্মিয়মান তবুও সবাইকে বলবো একটু ঘুরে আসতে! লকডাউনে তো কত কিছুই আবোলতাবোল পড়ে চলেছি আমরা.....একটু বর্ধমানের দিককার অখ্যাত অনাদৃত রত্নভাণ্ডারগুলো সম্বন্ধে একজানলে তো ক্ষতি নেই....
একথা ঠিক যে বঙ্কিমের এই কথা বলার পর থেকে অনেক ইতিহাস লেখা হয়েছে বাংলার! কিন্তু সে ইতিহাস চর্চা আবর্তিত হয়েছে তার কেবল তার রাজধানীকে কেন্দ্র করে, সেখানকার রাজা,সুলতান,নবাবদের গল্প.... তাও সব রাজধানী সমান প্রচারের আলো পায় নি...বাঙালির এখনো এক বড় অংশের হাবভাব যেন রামমোহন এলেন আর বাংলা আকাশ থেকে পড়লো!
বাংলার কোনায় কোনায় ছড়িয়ে থাকা ইতিহাসের মণিমানিক্য থেকে গেল চরম অবহেলায়! আজও একটু পল্লীগ্রামের দিকে গাছতলায় পাল-সেন যুগের হাজার বছর আগেকার মূর্তি পড়ে থাকতে দেখাটা, খুব একটা দুর্লভ নয়! প্রত্ন চোরেরা এইটাই কাজে লাগায়! ভদ্র পোশাকে তারা আসে, গ্রামে এলে গ্রামের মানুষ মনে করে, এল বোধ হয় সরকার থেকে কেউ!খাতির করে, গ্রামের কোনায় পড়ে থাকা দুর্লভ মূর্তিটারও সন্ধান দিয়ে দেয়! নিয়ে গেলে ভাবে কোনো মিউজিয়ামে বোধ হয় সংরক্ষিত হল যথাযথ ভাবে! এটা ঠিক সংরক্ষণ মূর্তিগুলো পায়, কিন্তু বিদেশের কোনো শৌখিন প্রত্নসংগ্রাহকের বৈঠকখানায়, চড়া দামে নিলামে বিকবার পর!
বাংলার এই দৈন্য ঘুচানোর উপায় কি? বঙ্কিমই বাতলেছিলেন, "বাঙ্গালার ইতিহাস চাই, নহিলে বাঙ্গালার ভরসা নাই। কে লিখিবে? তুমি লিখিবে, আমি লিখিব, সকলেই লিখিবে। যে বাঙ্গালী, তাহাকেই লিখিতে হইবে। ......এই আমাদিগের সর্ব সাধারণের মা জন্মভূমি বাঙ্গালাদেশ, ইহার গল্প করিতে কি আমাদিগের আনন্দ নাই?"
কিন্তু আমার হচ্ছে 'মুখেন মারিতংজগৎ'.....দেশোদ্ধার আমার ফেসবুকুনিতেই সীমাবদ্ধ..... কিন্তু যারা সত্যি সত্যি অতুল পরিশ্রম করে বাংলার আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা করে যাচ্ছেন প্রণববাবু( Pranab Bhattacharyya ) তাঁদের একজন!
তাঁর ব্লগের ঠিকানা দিচ্ছি, যদিও সেই ব্লগ এখনও নির্মিয়মান তবুও সবাইকে বলবো একটু ঘুরে আসতে! লকডাউনে তো কত কিছুই আবোলতাবোল পড়ে চলেছি আমরা.....একটু বর্ধমানের দিককার অখ্যাত অনাদৃত রত্নভাণ্ডারগুলো সম্বন্ধে একজানলে তো ক্ষতি নেই....
সত্যি এই বাংলার মেঠো পথে ছড়িয়ে আছে মনি মাণিক্য। খুঁজে নেওয়ার দৃষ্টি লাগে।
ReplyDelete