অজয়ে খেয়া চলে। এপারে সাতকাহনিয়া র ঘাট। ওপারে নারানপুর - উদয়পুরের ঘাট। এপারে সাতকাহনিয়া র হাঁড়ি রা ; ওপারে বাগদী রা খেয়া বায়। নদী তে মাছ ধরা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মাঝেমাঝে ঝগড়া ঝাঁটি ; লাঠালাঠি ও হয়। আবার ভাবও খুব। ওপারের মানুষ জনের তো এপারে না এলে চলেনা। হাট বাজার কেনা বেচা সবই এপারে। অযোধ্যা - বনকাটির হাট। খুব জমে ওঠে পুজোর আগে। ওপারের ঘুড়িষার বেণে পাড়া থেকে শাঁখারী রা আসে এপারে।
সাতকাহনের ঘাট থেকে বাঁশবন ; তালবন ; ডেঁয়ো মাদার তলা দিয়ে পথ চলে গেছে অযোধ্যা পর্যন্ত।
সেদিন ও শাঁখারী এসে নেমেছে। পথ আরও কম করার জন্যে ও বটে আবার বনকাটির বামুন পাড়া হয়ে যাবার জন্যে ও বটে। মনে আশা এখানে তার ভালো বেচা কেনা হবে। অনেক গুলো বামুন ঘর। আবার বড়লোক ও বটে। নানা রকম ব্যবসা আছে। বিরাট সব দালান বাড়ি। মেয়ে বৌ দের ফর্সা হাতে শাঁখা পরাতে শাঁখারী র খুব ভালো ও লাগে। সব মেয়ের মতো।
শাঁখারী আপনমনে হাঁটছে। এমন সময় আম বাগানের ভিতর থেকে যে রাস্তা গাঁ য়ে ঢুকেছে সেই রাস্তা দিয়ে দহে চান করে এক অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে এসে দাঁড়াল শাঁখারী র সামনে। ' আমাকে শাঁখা পরিয়ে দাও '। বিমুগ্ধ বিস্ময়ে অভিভূত শাঁখারী শাঁখা পরিয়ে দিল উজ্জ্বল হাত দু খানি তে।
' যাও অযোধ্যার ঘটক পাড়ার অভয়ের ঘরে। দাম নিয়ে নিও। আমি তার মেয়ে '। শাঁখারী পথ ধরতেই - সে মেয়ে যে কোথায় গেল!
অভয়পদ বললেন তাঁর যে কোন মেয়ে নেই।
শাঁখারী তাঁকে সব ঘটনা বললেন।
তারপর শাঁখারী কে সাথে নিয়ে অভয়পদ
চললেন সেই স্থানে।
অতি নির্জন সেই স্থান। আম অর্জুন জাম চাকলতা আর নানা লতা পাতায় ঢাকা। পাশেই ' দহ '। গভীর তার জল। কাজল কালো। নামতেই ভয়।
সেখানে গিয়ে ই শাঁখারী ডাকতে লাগলেন। মা মা বলে।
দেখা দাও মা। তা না হলে যে মিথ্যাবাদী হয়ে যাই।
ব্রাহ্মণ কে যে আমি বলেছি হ্যাঁ তুমি সত্যি আমার কাছে শাঁখা পরেছ মা '।
আমাকে মিথ্যাবাদী সাজিও না মা।
অভয়পদ র অন্তর ডেকে উঠল।
সে ও উচ্চস্বরে মা মা বলে কেঁদে কেঁদে ডাকতে লাগল।
হঠাৎ ই দহের মাঝখানে কোথা থেকে ভেসে এলো এক রক্তিম শতদল। আর শাঁখা পরা দু খানি হাত তুলে তিনি দেখা দিলেন বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত দুই ভক্ত কে।
পাষাণ মূর্তি তার।
তিনি ' পাষাণ চণ্ডী। দেবী চণ্ডিকা ভগবতী।
আজ ও তাঁর পূজা হয়। নবমী পুজা এখানে এই পাষাণ চণ্ডী থানে।অভয়পদ বৃদ্ধ হলেন। মা এতটা হেঁটে আর তোর পুজো করতে আসতে পারছি না। আমার ঘর কে চল মা '
অনুমতি মিলল অন্তরে তার ধ্বনি তে
দুর্গামূর্তি তে তার পুজার আয়োজন আজ ও অযোধ্যা ঘটক পাড়ায় হয়ে চলেছে।
প্রায় সাতপুরুষ ধরে।
---------------------------------------------------------------------
( অনেক কথার ভাণ্ডারী ; পৌরোহিত্য ই যার প্রধান পেশা ;
কথা বলেছি সেই হারু ঘটকের সাথে.)
কিছু ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। যাঁদের পোষ্ট থেকে নেওয়া তাঁদের পরিচিতি দিতে না পারার জন্য দুঃখিত
সাতকাহনের ঘাট থেকে বাঁশবন ; তালবন ; ডেঁয়ো মাদার তলা দিয়ে পথ চলে গেছে অযোধ্যা পর্যন্ত।
সেদিন ও শাঁখারী এসে নেমেছে। পথ আরও কম করার জন্যে ও বটে আবার বনকাটির বামুন পাড়া হয়ে যাবার জন্যে ও বটে। মনে আশা এখানে তার ভালো বেচা কেনা হবে। অনেক গুলো বামুন ঘর। আবার বড়লোক ও বটে। নানা রকম ব্যবসা আছে। বিরাট সব দালান বাড়ি। মেয়ে বৌ দের ফর্সা হাতে শাঁখা পরাতে শাঁখারী র খুব ভালো ও লাগে। সব মেয়ের মতো।
শাঁখারী আপনমনে হাঁটছে। এমন সময় আম বাগানের ভিতর থেকে যে রাস্তা গাঁ য়ে ঢুকেছে সেই রাস্তা দিয়ে দহে চান করে এক অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে এসে দাঁড়াল শাঁখারী র সামনে। ' আমাকে শাঁখা পরিয়ে দাও '। বিমুগ্ধ বিস্ময়ে অভিভূত শাঁখারী শাঁখা পরিয়ে দিল উজ্জ্বল হাত দু খানি তে।
' যাও অযোধ্যার ঘটক পাড়ার অভয়ের ঘরে। দাম নিয়ে নিও। আমি তার মেয়ে '। শাঁখারী পথ ধরতেই - সে মেয়ে যে কোথায় গেল!
অভয়পদ বললেন তাঁর যে কোন মেয়ে নেই।
শাঁখারী তাঁকে সব ঘটনা বললেন।
তারপর শাঁখারী কে সাথে নিয়ে অভয়পদ
অতি নির্জন সেই স্থান। আম অর্জুন জাম চাকলতা আর নানা লতা পাতায় ঢাকা। পাশেই ' দহ '। গভীর তার জল। কাজল কালো। নামতেই ভয়।
সেখানে গিয়ে ই শাঁখারী ডাকতে লাগলেন। মা মা বলে।
দেখা দাও মা। তা না হলে যে মিথ্যাবাদী হয়ে যাই।
ব্রাহ্মণ কে যে আমি বলেছি হ্যাঁ তুমি সত্যি আমার কাছে শাঁখা পরেছ মা '।
আমাকে মিথ্যাবাদী সাজিও না মা।
অভয়পদ র অন্তর ডেকে উঠল।
সে ও উচ্চস্বরে মা মা বলে কেঁদে কেঁদে ডাকতে লাগল।
হঠাৎ ই দহের মাঝখানে কোথা থেকে ভেসে এলো এক রক্তিম শতদল। আর শাঁখা পরা দু খানি হাত তুলে তিনি দেখা দিলেন বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত দুই ভক্ত কে।
পাষাণ মূর্তি তার।
তিনি ' পাষাণ চণ্ডী। দেবী চণ্ডিকা ভগবতী।
আজ ও তাঁর পূজা হয়। নবমী পুজা এখানে এই পাষাণ চণ্ডী থানে।অভয়পদ বৃদ্ধ হলেন। মা এতটা হেঁটে আর তোর পুজো করতে আসতে পারছি না। আমার ঘর কে চল মা '
অনুমতি মিলল অন্তরে তার ধ্বনি তে
দুর্গামূর্তি তে তার পুজার আয়োজন আজ ও অযোধ্যা ঘটক পাড়ায় হয়ে চলেছে।
প্রায় সাতপুরুষ ধরে।
---------------------------------------------------------------------
( অনেক কথার ভাণ্ডারী ; পৌরোহিত্য ই যার প্রধান পেশা ;
কথা বলেছি সেই হারু ঘটকের সাথে.)
কিছু ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। যাঁদের পোষ্ট থেকে নেওয়া তাঁদের পরিচিতি দিতে না পারার জন্য দুঃখিত
অনেক দিন আগের এক সিনেমাতে, সম্ভবত "রামপ্রসাদ" এই কাহিনীর চলচ্চিত্রায়ন দেখেছিলাম। এই কাহিনী আবার সেই স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে।
ReplyDelete