।। সুমন্ত কোথায় যাবে যেন! ।।
সুমন্ত কোথায় যাবে যেন!
কেন - যাবে সন্তোষপুর।
সুমন্ত যাবে সন্তোষপুর।
তো সে কোন সন্তোষপুর।
এই বাংলাদেশে কি কম সন্তোষপুর আছে!
শান্তিনিকেতনের আশেপাশে আছে না কি কোন?
পায়ে হেঁটে যেতে হবে । পথে ধুলো। দুপুরের রোদ।
ছাতা চাই।
তিনি জানতেন হয়তো।
তাই ন্ত কে মাঝে নিয়ে তাঁর প্রথম মনে পড়েছে সন্তোষপুর
অজয়ের ধারে। একেবারে গা য়ে গা লাগিয়ে। আগে যখন
রাঢ় ভূখণ্ডে বৃষ্টি হত - অজয় দিয়ে নেমে আসত বান।
মাটি গোলা জল। উপছে ভাসিয়ে দিত মাঠ ঘাট, ঘরবাড়ি।
আবার অনেক আগে এই অজয়ের বুকেই প্রাকৃতিক ভাবেই
সৃষ্টি হয়েছিল এক বিশাল দহ। হ্রদ। গাঁয়ের মানুষের মুখে হদের ' ঘাট। অজয় তখন যথেষ্ট নাব্য। জলপথে বাণিজ্য।
সন্তোষপুর তখন এক জলপথ বাণিজ্য কেন্দ্র।
ছিল বিরাট জনবসতি। শোনা যায় হাজার বারো মানুষের না কি বাস ছিল।
অঢেল দোআঁশলা উর্বর জমি।
অতএব এ জমিতে নীলের চাষ হবে চমৎকার।
ইংরেজ রা চলে এলো। তাদের সাথে স্থানীয় বাবুরা। গ্রামের প্রভাবশালী, ভূস্বামী সব। মাঠের তিল ভেঙে দিয়ে চাষি কে দিয়ে করালো নীলের চাষ। জোর করে।
গড়ে উঠল নীল কুঠি। নীলের কারখানা । আশেপাশেই।
এখনও তার ভাঙ্গা দেয়াল দেখা যায়। মারাত্মক ঝোপে ঢেকে আছে সেই এলাকা।
গ্রামটিকে দেখলে তার প্রাচীণত্বের কোন নিদর্শন ই মেলেনা।
ছোট্ট কয়েকঘরের একটা গ্রাম।
আছে সেবাইত চট্টোপাধ্যায় পরিবারের হাতে প্রাচীন এক মন্দির গুচ্ছ। তিনটি মন্দিরের সমাবেশ এক স্থলে। দুটি
দেউল রীতি র। পীড়া যুক্ত। একটি পঞ্চরত্ন।
দক্ষিণে র টির শীর্ষ দেশ মারাত্মক রকম ক্ষতিগ্রস্ত।
চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ক্ষমতা নাই উপযুক্ত সংস্কারের।
বলছিলেন " বাবুরা আসেন। হ্যাঁ কলকাতা থেকেও আসেন।
ফটো তুলে নিয়ে চলে যান " । কেউ কিছুই তো করেনা।
তিনটি মন্দিরের সামনেই চমৎকার টেরাকোটা অলংকরণ।
পরিবার সহ দুর্গা। ন্যাংটা শিববাবাজী বর। আর রামসীতা।
আর বটবৃক্ষের বাহু বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছে অনতি প্রাচীণ
এক কালীমন্দিরের ভগ্ন দালান মন্দিরের দেয়াল।
পশ্চিমে জয়দেব কেন্দুলী বেশী দূরে নয়।
সেখান থেকে প্রকাশিত হয় এমন একটি পত্রিকা, নাম তার
" দেউল "। তার শারদ সংখ্যায় থাকবে আমার একটি প্রবন্ধ। বন্ধু সম্পাদক সুভাষ কবিরাজ এর অনুরোধ লিখতে হবে টেরাকোটার উপর একটি প্রবন্ধ।
সে চমৎকার একটা টপিক দিয়েছে।
ইলামবাজার এর পশ্চিমে গঙ্গাপুর, ভরতপুর, নারানপুর,
ক্ষুদ্রপুর, উদয়পুর, সন্তোষপুর, বালারপুর, ভুবনেশ্বর,
মন্দিরা, জনুবাজার, সুগড়, ভরাঙ্গী, রামপুর, জয়দেব কেন্দুলী।
কত কথা এ মাটির!
------------ ------------ ------------ ------------ ------------ ------------
No comments:
Post a Comment