।। বাকী তো অনেক।।
বাকী রয়ে গেল অনেক
যেমন পথ বা পথ চলা
নক্ষত্র ভরা গোটা আকাশ টা দেখাও হয়নি
আমাদের দালান ছিলনা দূর দিগন্ত দেখার
পুকুরের পাড় ছিল আমার পাহাড়
সেখান থেকে সূর্যোদয়
পশ্চিমের মোরাম চাতাল আমার পামির মালভূমি
সেখান থেকে সূর্যাস্ত দেখতাম
সেই চাতাল আর নেই
নদী বাঁধের গায়ের বিরাট যজ্ঞ ডুমুর
পলাশ ঝোপের তারা তিতলি গুলো যে কোথায় গেল
আর করঞ্জার ঝোপে জোনাকের দল
গুঞ্জার কাছে ধার করেছি তারা তিতলি
নাই রে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে যেন
বর্ষা নাই সারারাত আখড়ার ডোবায়
ব্যাঙেদের গান
একঘেয়ে সুরে ঝালাপালা কান
নাই হয়ে যাবে হয়তো একদিন
কত প্রজাপতি উড়ে বেড়াত, গঙ্গাফড়িং লাল ভেলভেট পোকা , কুলঝোপে সোনাপোকা
কোথা গেল সব
আমরা পঞ্চাশ ডিগ্রি তে পৌঁছে যাচ্ছি
আবার শুনছি বনদপ্তর জঙ্গল কাটাচ্ছে
রাঢ়বঙ্গে কতদিন ভালো বর্ষা হয়নি
অজয়ে জল আসেনি বান নামেনি
সব নদী মরে গেছে
শুধু চর , মানা, কাশবন, নদীগর্ভে বোরো ধান চাষ
নদী ধারে কত দেশী ঘি করলার লতা ছিল
কি তার স্বাদ। ঝাল দিয়ে একথালা ভাত
কত শতমূল, অনন্তমূল নানা ভেষজ
নীলকুঠির জঙ্গলে কি ছাতু হত মাটির নীচে
কুরকুরে নাম মাতামার সাথে সাথে যেতাম
আদাড়েবাদাড়ে আতা ঝোপ সব যে কোথায় গেল
পুকুর পাড়ে র ধারে ঘৃতকুমারী র ঝাড়
রাতে রাতে কারা সব গোড়া সমেত তুলে নিয়ে গেল
এলোভেরা হল এখন মাখি, খাই,
ধব, গাব, চালতে মাদার, ভেলা, আরও কত কি
কেমন নিঃশব্দে নাই হয়ে গেল
আহা, ছিল কত পিয়ালের গাছ
জঙ্গলে জঙ্গলে কোন রকমে দু একটা টিঁকে আছে
আমাদের গাঁয়ে ঢোকা বা বেরোনোর রাস্তা টা
যেখানে দুভাগ হয়েছে সেখানে ছিল
ছোট খাটো এক সুন্দরী পিয়াল
আমরা তার ডালে দোল খেতাম
একদিন সেও নাই হয়ে গেল
এক রাস্তা ধরে গেলাম ' যা গেছে তা যেতে দাও 'এর কাছে
আর এক রাস্তা ধরে
নিজের নিয়তি জানা
গাধার স্থির চোখ নিয়ে
মরা অজয়ের দিকে তাকিয়ে
------------ ------------ ------------ ------------ © প্রণব ভট্টাচার্য
গুঞ্জাকে দিলাম।
গুঞ্জা শান্তিনিকেতনে থাকে
No comments:
Post a Comment