Monday, 25 January 2021

মাটির প্রদীপ। আঞ্চলিক ইতিহাস। প্রণব ভট্টাচার্য এর লেখালেখি https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=769140770358503&id=115854079020512ফেসবুক পেজ। একই নাম। মাটির প্রদীপ। আঞ্চলিক ইতিহাস। প্রণব ভট্টাচার্য এর লেখালেখি। এখানেও আমার অনেক লেখা। সবই আঞ্চলিক ইতিহাস এর কথা ও কাহিনী। ভালো লাগলে পড়বেন। আর তেপান্তর নাট্য গ্রামে এলে আমার খোঁজ নেবেন। যদি গল্প শুনতে ভালোবাসেন। শুনবেন। একটা সেশন থাকে। আবার যেতে যেতেও হয়। সবাই কে সঙ্গ দিতে আর পারিনা। চেষ্টা করি। যাঁরা তেপান্তর নাট্য গ্রামে এসে থাকেন। চারপাশ ঘুরে দেখেন। অনেক কিছু দেখার। আর আমি সঙ্গে থাকলে দেখাটা যে অন্য রকম হবে - সে টা পেশাদার ট্যুর অপারেটর বা যাঁরা আমার সাথে ঘুরেছেন তাঁরা ভালোই জানেন। আসুন। আমাদের এই এলাকায়। অযোধ্যা বনকাটি। থানা কাঁকসা। প বর্ধমান। কাছের বাসস্ট্যান্ডের নাম ' এগারো মাইল ' পানাগড় মোরগ্রাম হাইওয়ে র উপর। আসুন তেপান্তরে। থাকুন এখানে। চারপাশ ঘুরুন। আশা করি আপনার অন্য রকম অভিজ্ঞতা হবেই হবে।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=769140770358503&id=115854079020512

ফেসবুক পেজ। 
একই নাম। 
মাটির প্রদীপ। আঞ্চলিক ইতিহাস। প্রণব ভট্টাচার্য এর লেখালেখি। 
এখানেও আমার অনেক লেখা। 
সবই আঞ্চলিক ইতিহাস এর কথা ও কাহিনী। 
ভালো লাগলে পড়বেন। 
আর তেপান্তর নাট্য গ্রামে এলে আমার খোঁজ নেবেন। যদি গল্প শুনতে ভালোবাসেন। 
শুনবেন। একটা সেশন থাকে। আবার যেতে যেতেও হয়। 
সবাই কে সঙ্গ দিতে আর পারিনা। 
চেষ্টা করি। যাঁরা তেপান্তর নাট্য গ্রামে এসে থাকেন। 
চারপাশ ঘুরে দেখেন। 
অনেক কিছু দেখার। 
আর আমি সঙ্গে থাকলে দেখাটা যে অন্য রকম হবে - সে টা পেশাদার ট্যুর অপারেটর বা যাঁরা আমার সাথে ঘুরেছেন তাঁরা ভালোই জানেন। 
আসুন। আমাদের এই এলাকায়। 
অযোধ্যা বনকাটি। থানা কাঁকসা। প বর্ধমান। 
কাছের বাসস্ট্যান্ডের নাম ' এগারো মাইল ' 
পানাগড় মোরগ্রাম হাইওয়ে র উপর। 
আসুন তেপান্তরে। থাকুন এখানে। চারপাশ ঘুরুন। 
আশা করি আপনার অন্য রকম অভিজ্ঞতা হবেই হবে।

সে ;মাতামা ; আর এক দীর্ঘ প্রাচীন একাকী খেজুর

একাকী সেই দীর্ঘ প্রাচীন খেজুর  একা দাঁড়িয়ে থাকে। 
 পশ্চিমে মোরাম চাতাল। উঁচু নীচু খোয়াই। ছোটো খাটো ঢিবি নিয়ে গড়িয়ে যায় পুরো দক্ষিণ পশ্চিমে। 
'পাষাণ চণ্ডী' বাগানের ওপারে পশ্চিমে র সূর্য পাটে নামে। 
 একেলা ছেলেটি দাঁড়িয়ে থাকে মোরাম চাতাল এর উপরে পশ্চিমে র ঐ অস্তগামী সূর্যের দিকে তাকিয়ে। 
 সে জানেনা কেন তার মন হু হু করে। 
 আবার তো ঘরে ফিরতে হবে বাবাজী বটতলা র নীচ দিয়ে। 
 ফেরার পথে সে ঐ খেজুরের নীচে দাঁড়ায়। সেখানে তখন ছাতিম গাছের পাতার ঝোপে পাতলা আঁধার নেমেছে। 
 খেজুরের নীচে একটা ত্রিশূল গাঁথা। কয়েক টা মাটির ঘোড়া। 
 কারা যে রেখেছে সে জানেনা। 
 জানে এটা গোঁসাই থান। 
 সে কোন গোঁসাই?  মাতামা কে জিজ্ঞেস করে। 
 মাতা কেমন উদাস হয়ে যায়। 
 তারপর বলে সে ছিল রে বাবা এক গোপাল দাস বাবাজী। 
 পিছনে র জলাটা র নাম গোপাল সায়ের। এখন মজে গেছে।
 আর?  আর কিছু জানিনা বাবা। এ তো অনেক পুরনো গাঁ বাবা। ছিল সনাতন বাবাজী র আখড়া। আর নদী ধারে ঐ যে তমাল গাছটা র পাশে ছিল বুড়ো বাবাজীর আখড়া। ঐ যে 'বোরেগী গোড়ে ' পাড়ে। এখন পাড়ে বাবুরা বসিয়েছে  কোঁড়াদের। 
 হ্যাঁ মা ওর নাম ছিল বুড়ো। 
না রে। অন্য কি যে নাম ছিল তা কেউ জানে না বাবা। 
 ও। তুমি তাকে দেখনি। 
 আমি কেন রে এ গাঁয়ের কেউ তাকে দেখেনি। 
আরও ছিল। একদম নদী ধারে  কলাবাগানের ঘাটের কাছে। সাহেব দের নীল চাষ হত ওই যে 
 নীল বাড়িতে তার এক ধারে ছিল আর এক বাবাজী র আখড়া। 
 তার মানে এ গাঁয়ে অনেক বাবাজী র আখড়া ছিল। 
  যা। ঘরে যা এবার। পড়তে বসগা। দাদু বকবে তা না হলে। 
 চ। আমি দিয়ে আসি। আমার কাজ আছে। ও অন্নপূর্ণা কোথা গেলি। লণ্ঠন  টা দে।  
 হালদার দের ডুমুর গাছ তলায় এলে মাতামা তার গা য়ে ফুঁ দিত। একটা বাতাসের স্রোত বইত কোনাকুনি। অগ্নি থেকে বায়ুর দিকে। মাতামা অস্ফুটে বিড়বিড় করত। 
 ও মা কি বলছ। 
 কিছু না। কিছু না। ওনারা যাচ্ছেন। হাত জোড় করে প্রণাম করতেন  মাতামা। বালক দাসী। 
 ( ক্রমশঃ)
--------------------   -------------------    ----------------
  © প্রণব ভট্টাচার্য

Sunday, 24 January 2021

সাতকাহনিয়া শতাব্দী প্রাচীন নবীন দাস বাবাজী র আখড়া। বালক মাতা এবং অন্নপূর্ণা দেব্যা

মাটির প্রদীপ। আঞ্চলিক ইতিহাস। প্রণব ভট্টাচার্য এর লেখালেখি।
আঞ্চলিক ইতিহাসের কথা ও কাহিনী

Home
Friday, 23 August 2019
সাতকাহনিয়া বাবাজী আখড়া
সাতকাহনিয়ার বাবাজী আখড়া। অনেক পুরোনো গ্রাম। অজয়ের দক্ষিণ তীরে। একদিন ছিল অনেক গুলো বৈষ্ণব আশ্রম বা আখড়া। গাঁয়ের মাঝ খানে বিরাট পুরোনো বট জানান দিচ্ছে তার প্রাচীনত্ব।। নাম তার বাবাজী বটতলা। কোন বাবাজী যে রোপণ করেছিলেন -। বটতলার পাশেই বৈষ্ণব সমাধি স্থল । পাশেই নবীন দাস বাবাজীর আখড়া। সে অনেক পুরনো। শতবর্ষের ও বেশী। আরও ছিলেন বুড়ো বাবাজী ; সনাতন বাবাজী ; গোপাল বাবাজীর মতো সহজ সাধকেরা। আজ যদিও আর তাদের আশ্রমের চিহ্ন নাই। আছে কেবল এই নবীন দাস বাবাজীর আশ্রম। সে ও টিকে গেছে এই আশ্রমে একদিন এসে ঠাঁই পেয়ে ছিল বালকমাতা দাসী। গৃহী বোষ্টম ঘরের বাল্যবিধবা। আবার তাঁর কাছে ঠাঁই পেয়েছিলেন বামুন ঘরের প্রায় বাল্যবিধবা অন্নপূর্ণা দেব্যা। বালকমাতা কে আমি মাতামা বলেই ডাকতাম। মা ও বলতাম। কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন। প্রায় কোলে চাপিয়ে নিয়ে যেত ওপারে ভিক্ষা বা মাধুকরী করতে। বনে জঙ্গলে নানা লতা পাতা তুলতে। কেন্দুলীর মেলায় নিয়ে যেত আমাকে। নানা আখড়ায় ঘুরতাম। ছোট থেকেই সহজ সাধনার নানা গুহ্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে আগ্রহ তৈরী হয়ে গিয়েছিল। কত সাধক বাবাজী বাউল বোষ্টম যে এই সাতকাহনিয়ার আশ্রমে এসেছেন। কত জনের গান শুনেছি তাদের কোলে বসে। আমি যে ছিলাম বালক মাতার পালিত ছেলের মতো। সবাই খুব ভালোবাসতেন। পরিণত বয়সে মানে ১০১ বছর বয়সে মারা যান। কানে ভাসে তাঁর গুরু র সেই কথা " ওরে আমাদের গুরুর কোন শিষ্য ১০০র নীচে দেহ রাখবেনা রে " তোর মাতার বয়েস ১০১ " আশ্রমের বাইরে এই তমাল টি হলুদ ফলে ফলে ভরে গেছে। বুড়ো বাবাজী তলার তমাল টি ২০০ বছরের কাছাকাছি। আহা কি শীতল তার ছায়া।
pranab bhattacharyya at 23:39
Share
No comments:
Post a comment
Home
View web version
Powered by Blogger.

Friday, 22 January 2021

ক্ষত The Wounds। ক্রন্দন The Cry

ক্রন্দন। The Cry 
ক্ষত। The Wounds 
ঘুরে ফিরে মনে পড়ে  সেই সব মুখ
ক্ষত আর ক্রন্দনের গভীর অন্ধকার মাখা 
আর অন্ধকার উচ্চারিত হলেই 
যিনি এসে বসেন সামনে
 জীবন তৃষার সেই অমোঘ  কবি
 অবধারিত ভাবেই

রূপ তার কবেকার ঘণ অন্ধকার 
শত সহস্র বৎসরের ওপার থেকে 
ভেসে আসে ক্রন্দন রোল 
দেখা দেয় সেই সব ক্ষত বিক্ষত দেহ

তিনি আর ' পাইন ' দেখেছিলেন 

সে কি  মাত্র  শুধু ছবি ; ভাস্কর্য বা কবিতা 

গভীর ভিতরে তার নিরুপায় রক্ত ক্ষরণ।  
বুকের ভিতরে একটা ভাঙ্গা দেয়াল পুরেই 
যার জন্ম 
 সে কি না দেখে পারে হায়

চির বিস্মৃতির অন্ধকারে চলে যাবে জানি একদিন 
 আমি তার আগে দেখি শুধু জ্বালা ধরা চোখে

Monday, 18 January 2021

রাজকুসুম কথা

।  রাজকুসুম। 
 পাথর প্রতিমা ; বা ফুলকুসমা এই সব নাম উচ্চারণ করলেই যেমন মনের ভিতর থেকে একটা ' আহা ' উঠে আসে - ঠিক তেমনই আমাদের এই 'রাজকুসুম '। 
 কি সুন্দর নাম বলুন। কে বা কারা রেখেছিল এই নাম। 
 কে বলবে। এই বাঙ্গলার অসংখ্য গ্রাম নামে এই ধরনের লালিত্য। যেন কবিতার স্পর্শ।  
 পূর্বে শালের জঙ্গল। সে জঙ্গলের ওপারে পানাগড় - মোরগ্রাম হাইওয়ে। সে জঙ্গলের নাম আছে ' সাতকাটার জঙ্গল '। কিন্তু অনেক খোঁজে র পরও জানতে পারিনি সেই সাতজন কারা। তাদের হত্যাকারী ই বা কে। তবে চোর ; ডাকাত দের উপদ্রব তো ছিলই এক সময়। তা দমনের চেষ্টা ও হয়েছে। যাক সে কথা। 
 উর্বর ভূমির বিস্তৃত ক্ষেত গ্রামের তিনদিকেই। অঢেল ফসল ফলে। কৃষিপ্রধান সম্পন্ন গ্রাম। পশ্চিমে রাস্তা চলে গেছে বাঁদরা - গোপালপুরের দিকে। দক্ষিণে পানাগড় এর দিকে। উত্তরে ত্রিলোকচন্দ্রপুরের দিকে। 
 এখন চমৎকার পাকা রাস্তা। গ্রামকে ঘিরে। 
 তবে গ্রামের সম্পন্ন পরিবার গুলি গ্রাম ত্যাগ করে চলে গেছেন অন্যত্র। আসানসোলের গঁড়াই পরিবার। সেখানে এক রাস্তার নামই এস বি গড়াই রোড। ব্যবসায়ী পরিবার। তাদের পরিবারের সরস্বতী পূজা বিখ্যাত। পূজার সময় বংশের মানুষেরা গ্রামে আসেন। 
 গ্রামে তৈরী করিয়েছেন বিরাট আধুনিক মন্দির। 
 গ্রামের বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা ও তাঁরা। এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তেমনই 'রায় ' পরিবার। পানাগড়ে থাকেন। 
 আসলে সেই ১৮৫৫ তে হাওড়া - রাণীগঞ্জ রেল লাইন পাতার পর ই গঞ্জ হিসাবে গড়ে উঠতে থাকে পানাগড় ; রাজবাঁধ    দুর্গাপুর  ইত্যাদি জায়গা।আর্থিক ভাবে সবল ; দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষেরা ব্যবসার জন্য চলে যান বাইরে। সেখানে তাঁরা প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। গ্রামের সাথে সংযোগ ধীরেধীরে কমে যায়। তবু ক্ষীণ হলেও সংযোগ একটা থাকে ই। মাটির টান। 
 মারাত্মক কলেরার সময় এবং বর্ধমান জ্বরের সময় ও অনেক মানুষ গ্রাম ত্যাগ করেন। যেমন অনেকে গোপালপুরে যান। 
 গ্রাম ও সেই সময় দক্ষিণ থেকে সরে আসে উত্তরে। এখন যেখানে গ্রাম। আগে ছিল না কি শ্মশান। 
গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার একসময় ছিলেন খুবই প্রতাপশালী। জমিদার। সেই পরিবারের ভগবতী প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় মশাই এই গ্রামে নাচন গ্রাম থেকে এনে হরগৌরী মূর্তি এবং মন্দির স্থাপন করেন। এখানে সব দেবদেবী র পূজা হয়। এই ভগবতী প্রসাদের সাথে তাঁর মেয়ে পরিচয় দিয়ে   'মায়ের শাঁখা পরার কাহিনী ' জড়িয়ে আছে। শাঁখারী ছিলেন গোপালপুর গ্রামের। দীর্ঘ দিন সেই পরিবার থেকে মায়ের পূজার সময় শাঁখা আসত। 

 গ্রামের উগ্রক্ষত্রিয় ( আগুড়ী)  রা ও যথেষ্ট সম্পন্ন ছিলেন। 
 স্থাপন করেছিলেন এখানকার বিখ্যাত শিবমন্দির টির। 
প্রতিষ্ঠাতা মদনমোহন রায়। সামান্য টেরাকোটা র কাজ আছে। প্রতিষ্ঠা লিপি নাই। মাঝে সংস্কার হয়েছে। তবে মূল আকৃতির ক্ষতি হয়নি। 
হরগৌরী মন্দিরের সামনে মুখোমুখি ছোট আকৃতি র শিব মন্দির দুটি ভগ্ন প্রায়। মুখোপাধ্যায় পরিবার ও যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন। রাজকুসুম মৌজার একটা বড় অংশে র খাজনা বর্ধমান রাজবংশের আনুকুল্যে পেতেন গোপালপুর এর গোস্বামী স্থানের জগজ্জীবন গোস্বামী। খাজনা আদায় করতেন মুখোপাধ্যায় পরিবার এর ভূধর মুখোপাধ্যায়। 
 আর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সম্পত্তির খাজনা বছরে দুবার জমা হত বর্ধমান কালেক্টর অফিসে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সাথে মুখোপাধ্যায় পরিবার এর বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। আবার রাজবাঁধে ব্যবসা করার জন্য শ্রীরামপুর থেকেও এক মুখোপাধ্যায় পরিবার এখানে এসেছেন। 
  আবার এই গ্রামের কিছু অংশের জমিদারী ক্রয় করেছিলেন বৈদ্যনাথ দত্ত এবং সরজুবালা দত্ত। 
 একসময় হাজরা পদবী র ব্রাহ্মণ রা ছিলেন। ' হাজরা বাঁধ ' সেই স্মৃতি বহন করছে। জঙ্গলে র মধ্যে রয়েছে ভগ্ন দালান। 
 ইজ্জৎগঞ্জ প্রসঙ্গে এখানে পরে আসব। 
 গ্রামে আছেন ' সামন্ত পরিবার ; আগুড়ি ; সদগোপ  এবং শ্রমজীবী সম্প্রদায়ের  অন্যান্য  মানুষ জন। সবাই পরস্পর মিলে মিশে আছেন। তাই তো একদিন ছিল   গ্রাম। 
 কাঁকসা র জঙ্গল মহলের একদিনের বিখ্যাত গ্রাম এই রাজকুসুম। এই রাজ আর অন্য কোন রাজ নয় আমাদের বর্ধমানের রাজাদের জমিদারী র অংশ। একটু দূরেই ত্রিলোক চন্দ্রপুর। বর্ধমান রাজ ত্রিলোকচন্দ্রের নামে ই। আবার এই রাজবংশের রাজা চিত্রসেন ১৭৪০-৪৪ এর মধ্যে এই সেনপাহাড়ী পরগণা র পুনর্গঠনের কাজ করেছিলেন। 
  গোপালপুর এর বিখ্যাত গোস্বামী স্থলে র স্থাপনা ও সেই বর্ধমানের রাজাদের ই অর্থানুকূল্যে। এবং সেই বৈষ্ণব মঠ মন্দিরের পূজার্চনা এবং  সারা বছরের বৈষ্ণবী য় অনুষ্ঠানাদি পরিচালনা র জন্য পুজার অর্ঘ্য হিসাবে এই  মৌজার খাজনা আশ্রমকে দান - তাই ' রাজকুসুম ' নাম। 
আরও কিছু কথা থাকল বাকী। 
দেখি সংযোজিত করা যায় কি না। 
 @প্রণব ভট্টাচার্য 
তথ্য সহায়তা। গ্রামবাসী প্রবীণ শ্রী রাম শঙ্কর মুখোপাধ্যায়

অষ্টভুজ নটরাজ

কোথায় যে ছিল তোমার আলয় 
 এই পথিপার্শ্বে 
 নবীন পবিত্র বোধিদ্রুম তলে 
আসন বিছানো আজ 
 ' সভাপতি হে  ' 'নটেশ' ' নটরাজ '
 অষ্টভুজ কমনীয় দেহচ্ছন্দ 
গভীর গম্ভীর আনত আনন  মন্ডল
 আত্মসমাহিত মগ্নচৈতন্য 

সে কি কোন আগামীর সংকেত - -

হে রুদ্র  মহাকাল 
' মহাপ্রলয়ের হে নটরাজ '

বহুদূর ইলোরার কৈলাসে র এই রূপ নিয়ে 
কখন এখানে এলে আমার এ রাঢ়ভূমে

Thursday, 7 January 2021

ইলামবাজার। গৌরাঙ্গ মন্দির। হাটতলা

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2243511282446744&id=100003636821328কিছু বলছিনা।
নীল বোর্ড আছে - কিন্তু 
আর কি বলব। কাকে 
এই মন্দির নিয়ে তো অনেক প্রশ্ন। 
বলব অন্য কোন সময়। 
আছে অসামান্য টেরাকোটা র কাজ। 
ইলামবাজার গৌরাঙ্গ মন্দির 
কি ভাবে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে। 
হায়রে   আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক উদাসীনতা

তেপান্তর সাংস্কৃতিক উৎসব

হয়তো তেপান্তর এ আসছেন।  পানাগড় স্টেশন এ নেমেছেন। ছোট্ট স্টেশন। একটু চোখ বুলিয়ে নিন।  মনে করুন সেই১৮৫৫ সাল। এই রেল পথেই প্রথম রেল গাড়ি চলেছিল। হাওড়া- রানীগঞ্জ।স্টেশন - পানাগড়। ' পানাগড় ' নিজেই এক বড় গল্পকথা। তার গড়ে ওঠার ইতিহাস। যাইহোক বাসস্টপ এ আসুন। দুর্গাপুর- বোলপুর বাসে চাপুন।সবচেয়ে ভালো  দার্জিলিং মোড় এ চলে আসুন। পানাগড় - মোরগ্রাম হাইওয়ে। স্টেট  বাসে চাপুন।১১ মাই ল স্টপেজ এ নামবেন।মজার নাম। কি বলুন।এগারো মাইল। পানাগড় থেকে এগারো মাইল দূরে।   পানাগড় পার হয়ে কিছু পরেই জংগল শুরু। ধোবারুর জংগল। আর একটা নাম ; সাত কাটার জংগল।  এক সময়  তো চোর ডাকাত ঠ্যাঙারে দের উৎপাত ছিল ই আবার জঙ্গলে র মধ্যে আছে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কিছু স্মৃতি চিহ্ন।জংগল এর  ভিতর  পশ্চিম দিকে গ্রাম গাড়াদহ; রাজ কুসুম । কি সুন্দর নাম বলুন রাজকুসুম। পুবে গ্রাম ধোবারু।সব নামের মানে আছে।ইতিহাস লুকিয়ে আছে। এরপর গ্রাম ত্রিলোকচন্দ্রপুর। বর্ধমানের রাজার নামে।দোমড়া। সুন্দিয়ারা।প্যারীগঞ্জ। বর্ধমানের এক রানী র নামে। তেলিপাড়া। বেলডাঙা।আবার একটু জংগল। মাজুরিয়া- রঘুনাথপুর ব্রাহ্মণ গ্রাম। তারপর ১১ মাইল।সে এখন এক গঞ্জ। পানাগড় থেকে ১১ মাইল দূরে।সেই ১১ মাইল।  অনেক গল্প আছে। আসুন তেপান্তর এ।
আসছেন না কি ৮ - ৯ - ১০ জানু য়ারী ২০২১ তেপান্তর সাংস্কৃতিক উৎসবে। 
আসুন। থাকুন। ঠান্ডা বেশ জমিয়ে পড়েছে। 
 উপভোগ করতে পারবেন। 
 আসুন নতুন বছরে একসাথে সবাই মিলে একটু 
 আনন্দ করি। 
 আমার সাথে বসে এই এলাকার কথা ও কাহিনী 
 শোনার যদি অবসর হয় -

সকলকে ২০২১ এর প্রীতি । শুভেচ্ছা। ভালোবাসা।

Wednesday, 6 January 2021

গাণ্ডাদহ। গাঁড়াদহ। থানা কাঁকসা। প বর্ধমান।

হারিয়ে তো যাবেই। 
 দিন গুনছে। 
আজ হোক আর কাল। 
 রক্ষা কি করা যেতনা 
 যেত বৈ কি 
 কিন্তু কি  হবে একে রক্ষা করে 
 অথচ একদিন ছিল 
 এগুলি ই আমাদের সব গাঁ ঘরের 
 অলংকার 
ঝোঁপ ঝাড় গুলো কে ও পরিষ্কার 
 করে দিতে বড় গা য়ে বাজে 
 তার চেয়ে বরং ওর দেয়ালে ঘুঁটে দিই 
 
 এক প্রবীন বললেন ' কার গরজ '
 গাণ্ডাদহ। এখনকার গাঁড়াদহ গ্রাম
 পানাগড় থেকে ইলামবাজারের দিকে যাচ্ছেন 
 জঙ্গল শুরু হল। ধোবারুর জঙ্গল 
 ' সাত কাটার জঙ্গল ' ও বলে লোকে 
 চোর ডাকাত ঠ্যাঙাড়ে দের উৎপাত তো 
 ছিল সে একসময় 
 তবে সে অনেক দিন আগের কথা 
 আছে যেমন থাকে অনেক গল্পকথা 
 জঙ্গলের গা য়ে গা লাগিয়ে সুন্দর গ্রাম
সম্পন্ন কৃষকেরা আছেন 
হিন্দু মুসলমানের মিলিত বাস 
 সুন্দর এক আদিবাসী পাড়া
 শান্ত নিরিবিলি জীবন 

 সেখানের এক বিষ্ণু দালান 
 শেষ বিকেল  সন্ধ্যা নেমে আসছে 
 না  বাজবে না কোন শাঁখ এর চাতালে

গালা শিল্পী সেখ ইউসুফ। সুরুল। শ্রীনিকেতন

আজ না হয় একটু অন্য কথা বলি
 বেশ ভালো লাগলো আজ। 
বীরভূম আর্টিজানি আমন্ত্রণ জানিয়েছিল 
 এক দক্ষ গালা শিল্পী আগ্রহীদের হাতে কলমে কাজ শেখাবেন। এই ওয়ার্কশপ চলবে ৭ তারিখ পর্যন্ত। আজ ছিল উদ্বোধনী দিন। 
স্থান সুরুল। শ্রীনিকেতন। গালা শিল্পী সেখ ইউসুফ আলী। কাজ শিখেছেন তাঁর গুরু ইলামবাজারের  
 অজিত গুঁই মশাই এর কাছে। 
 আহা কি সুন্দর তাঁর হাতের কাজ। বিকেল পর্যন্ত 
 দেখলাম। আমার সাথে ছিলেন আরেক শিল্পী 
 বিধান বিশ্বাস বাবু এবং শিল্প শিক্ষার্থী বেশ কিছু 
 ছেলে মেয়ে। কেউ কলাভবনে র মাস্টারস করা। 
 কেউ বাটিক নিয়ে কাজ করে। বাটিকের মাষ্টার মশাই  সিউড়ি র যুবক অভিষেক সেনগুপ্ত। শুনলাম 
 শীঘ্রই বাটিকের দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং সিংহল 
 যাচ্ছে। আরও ভালো কাজ দেখার শেখার জন্য। 
বেশ গুণী ছেলেমেয়ে সব। ভালো লাগে এদের সাহচর্য। এরাই ভবিষ্যৎ। আমি এদেরই জয়গান গাই। 
 
ইলামবাজার স্কুলে পড়তে গেছি। পিছনের পুকুর টার নাম   ডাঙা' লরি পুকুর'।  তার বেশ কিছু টা পিছনে আর একটা সেটা ও ' লরি পুকুর ' 
 মনে প্রশ্ন ' লরি ' কথা টা। কারা 'লরি '। বাস লরি না হয় ; জানি। কিন্তু তা তো নয়। তবে - 
 তারপর মাস্টার মশাই কিরীটীবাবু বললেন। 
 এই লরি বা নুড়ি রা একদিন গালা র কাজ করতেন। তাঁরা ছিলেন ' গালা শিল্পী '। 
 আজ আর কেউ নিজেদের লরি বলে পরিচয় দেয়না। কেন যে দেয়না - কি জানি। 
 তারপর আমার শুরু হল খোঁজ নেওয়া। 
একদিন যে ইলামবাজার ছিল গালা শিল্পের এক প্রধান কেন্দ্র। 
 নানা জায়গায় লিখেছি এখানের গালা শিল্পের কথা। এখানেও লিখেছি। অনেকেই জানেন। 
 শেষ হয়েই গিয়েছিল এই শিল্প। শেষ দুই শিল্পী 
 নেপাল আর গোপাল গুঁই কে প্রশিক্ষক করে 
 নিয়ে গিয়েছিলেন আর কেউ নন - রবীন্দ্রনাথ। 
 শিল্পসদনে শ্রীনিকেতনে। তাঁদের ই বংশধর অজিত গুঁই মশাই। তাঁর কাছে ই কাজ শিখেছেন 
 আমাদের এই ইউসুফ ভাই। যাক বেঁচে আছে 
আমাদের বীরভূমের মাটিতে। 
খুব খুশী হলাম তাঁর কাজ দেখে। আর যাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন এই লুপ্ত শিল্পকে বাঁচানোর জন্য। 
 ধন্যবাদ  বীরভূম আর্টিজানি কে। 
অনেক কথা আছে এই গালা বা লাক্ষা নিয়ে। 
অজয়ের এপার ওপার দুপারের অনেক কথা আছে। অনেক বলেছি। খুঁজছি।আবার বলব। 
এপারে বসুধা থেকে পশ্চিমের জঙ্গল মহল। 
সেনপাহাড়ী র জঙ্গল মহলের নাম ই হয়ে গেছে তখন ' লা - মহল '। বসুধার লরী দের জমজমাট ব্যবসা।  এই বসুধার লরিরাও বানিয়েছিল দু তিনটি শিবমন্দির। আর সেই প্রায় দু শো বছর আগে আমাদের বনকাটি র সেই সময়ের বিখ্যাত লাক্ষা ব্যবসায়ী ধনী জমিদার রামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় 
 বানিয়েছিলেন বনকাটির বিখ্যাত গোপালেশ্বর শিব মন্দির। অসামান্য তার টেরাকোটা র অলংকরণ। আর তারপর বনকাটির বিখ্যাত পিতলের রথ। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত তার পিতলের পাতের উপর এনগ্রেভিং 
এর কাজ। অনুপম সে অলংকরণ। যে কোন শিল্পরসিকের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে 'আহা'। 
 ©প্রণব ভট্টাচার্যhttps://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2253070371490835&id=100003636821328

Sunday, 3 January 2021

ইলামবাজার। নীলামবাজার। এলেমবাজার

। ।এলেমবাজার। নীলামবাজার। ইলামবাজার।।। 

না। তুলাপট্টিতে কোন নীলামের বাজার আর বসেনা আজ। 
  তুলাপট্টিতে একদিন সুতা ; তুলা ; তসরের থান ; সুতী বস্ত্রের নীলামের বাজার বসত। কত এলেমদার মানুষ দের আনাগোনা। আজ যদি  বলেন যে তুলাপট্টি জায়গাটি কোথায় - ইলামবাজার এর আজকের যে কোন মানুষ চুপ করে থাকবেন। কে আর খোঁজ রাখে। কি হবে সে অতীত কে জেনে।
পুরানো থানার পাশে বিস্তৃত মাঠে সে হাট বসত একদিন।
জেলা গেজেটিয়ারে  ও' ম্যালি বলছেন। ১৯১০ সালে।
গুরুসদয় দত্ত মশাই তখন বীরভূমে র জেলা কালেক্টর।
ইলামবাজারে উদ্বোধন করছেন একটি দাতব্য চিকিৎসা লয়।
সেই মার্বেল ফলকটি কি আজকের গ্রামীন হাসপাতালে র কোন কক্ষে সংরক্ষিত হয়েছে কি না  জানিনা।
আজকের পোষ্ট অফিস গড়ে উঠেছে আরস্কিন সাহেবের কুঠি বাড়ির কিছুটা জায়গা নিয়ে। আর সেই বিরাট চারদিক খোলা বারান্দার ডাকবাংলো। আরস্কিন সাহেবের আউটহাউস।
নিশ্চিহ্ন। সেই উঁচু মোটা ভিতের মোটা থামের খোলা বারান্দার আরামদায়ক বাংলো বাড়ি। যেখানে কেন্দুলীর মেলা দেখতে যাবার পথে একরাত্রি বিশ্রাম নিয়েছিলেন সস্ত্রীক সিলভা লেভী র মতো পণ্ডিত। শান্তিনিকেতন থেকে এসেছিলেন।
সংলগ্ন এলাকার উত্তর দিকে ছিল আরস্কিন পরিবারের সমাধি স্থল। ছোট্ট কিন্তু সুন্দর। প্রত্যেকটি সমাধি। সাদা মার্বেল ফলকে লেখা নাম ; জন্ম সাল ; জন্ম স্থান ; মৃত্যু তারিখ।
কোথায় জন্ম ইংল্যান্ড এর কোন শায়ারে। আর মৃত্যু এই ইলামবাজারে। 
ছোটবেলায় ইলামবাজার হাইস্কুলে পড়তে গেলাম। ক্লাস নাইন থেকে। আমাকে কেউ বলেনি। কেউ দেখায় নি। একদিন খুঁজে পেয়েছিলাম।
কোথায় জন্ম আর কোথায় মৃত্যু!  আমার মন কেমন করত।
মাঝে মাঝে গিয়ে কবরস্থানে বসে থাকতাম।
পাশেই উত্তরে ফরাসী কুঠির একটা ভাঙ্গা দেওয়াল। দেওয়াল টি বেশ উঁচু। নিশ্চিত ভাবেই দোতালা ছিল।
  আজ সব নিশ্চিহ্ন। নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্যই নিশ্চিহ্ন। 
না আমরা রক্ষা করিনি। করার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে ই করিনি। সব ইঁট ; কাঠ ; পাথর ; সাদা মার্বেল ফলক সব ছাড়িয়ে দিনের পর দিন নিয়ে চলে গেছি।
আজকের ইলামবাজারে সেদিনের ইলামবাজার কে খোঁজা মূর্খামি।
  আজ সে এক বিরাট গঞ্জ। মিউনিসিপালিটির মতো বিস্তৃতি।
চারপাশের গ্রাম থেকে অবস্থাপন্ন মানুষেরা এখানে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। মূল ইলামবাজার কে আজ খুঁজে পাওয়া দায়।
আমাদের ছোটবেলায় ভূগোল বইয়ে কি কোথায় কিজন্য বিখ্যাত এই পর্বে লেখা থাকত- ইলামবাজার। বীরভূম জেলায়।লাক্ষা বা গালা শিল্পের জন্য বিখ্যাত কেন্দ্র।
এলেমবাজার। বাজারে এলাম গো। যে বাজারের ' এলেম ' মানে দাম আছে। কত সম্ভ্রান্ত মানুষজনের আনাগোনা।
নীলাম বাজার। হাঁকডাকের বিরাট বাজার। হতে পারে নীলাম থেকে ইলামবাজার।
আর ইলম বা ইলাম মানে ই তো লাক্ষা বা গালা। তার বাজার।
  আর আজ একঘর ' নুড়ি ' বা লরি নেই যারা গালার কাজ করেন। সব পদবী বদলে নিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই পেশাও। 
শেষ দুই ভাই ছিলেন নেপাল আর গোপাল গুঁই।ঘাড় গুঁজে অবসন্ন চিত্তে টুকটাক কাজ করতেন। মলিন বেশ। ম্লান আলো চোখে। 
রবীন্দ্রনাথ এই দুই ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রশিক্ষক হিসাবে শ্রীনিকেতনের শিল্প সদনে। শেষ চেষ্টা করেছিলেন।( চলবে)

আরস্কিন সাহেবের সিমেট্রি র ছবি সত্যশ্রী উকিল দার কাছ থেকে পেয়েছি। মুকুল দে মশাই এর তোলা। এ ছবি অন্য আর কারোও কাছে বোধহয় নাই।

Saturday, 2 January 2021

ইলামবাজার। গৌরাঙ্গ মন্দির। টেরাকোটার বিস্ময়

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2247066768757862&id=100003636821328অসামান্য টেরাকোটার কাজ 
আর সে জন্যই বিখ্যাত এই মন্দির 
একদিন এই কাজ করেছিলেন আমাদের 
কারিগর সূত্রধর গন 
কি অসাধারণ ছিল তাঁদের শিল্প জ্ঞান 
আমাকে অবাক করে 
ছোট থেকে হাট করব কি 
এই মন্দির টা র দিকে অবাক বিস্ময়ে 
তাকিয়ে থাকতাম 
ইলামবাজার হাটতলার গৌরাঙ্গ মন্দির 
অনেক কথা আছে এই মন্দির নিয়ে 
অনেক আলোচনা হয়েছে 
আবারও হবে 

গত পোষ্টে দেখিয়েছিলাম কি ভাবে ক্ষয়ে 
যাচ্ছে এই মন্দির গাত্র

গাণ্ডাদহ। গাঁড়াদহ। থানা কাঁকসা। প বর্ধমান। ভগ্ন এক বিষ্ণু দালান।

হারিয়ে তো যাবেই। 
 দিন গুনছে। 
আজ হোক আর কাল। 
 রক্ষা কি করা যেতনা 
 যেত বৈ কি 
 কিন্তু কি  হবে একে রক্ষা করে 
 অথচ একদিন ছিল 
 এগুলি ই আমাদের সব গাঁ ঘরের 
 অলংকার 
ঝোঁপ ঝাড় গুলো কে ও পরিষ্কার 
 করে দিতে বড় গা য়ে বাজে 
 তার চেয়ে বরং ওর দেয়ালে ঘুঁটে দিই 
 
 এক প্রবীন বললেন ' কার গরজ '
 গাণ্ডাদহ। এখনকার গাঁড়াদহ গ্রাম
 পানাগড় থেকে ইলামবাজারের দিকে যাচ্ছেন 
 জঙ্গল শুরু হল। ধোবারুর জঙ্গল 
 ' সাত কাটার জঙ্গল ' ও বলে লোকে 
 চোর ডাকাত ঠ্যাঙাড়ে দের উৎপাত তো 
 ছিল সে একসময় 
 তবে সে অনেক দিন আগের কথা 
 আছে যেমন থাকে অনেক গল্পকথা 
 জঙ্গলের গা য়ে গা লাগিয়ে সুন্দর গ্রাম
সম্পন্ন কৃষকেরা আছেন 
হিন্দু মুসলমানের মিলিত বাস 
 সুন্দর এক আদিবাসী পাড়া
 শান্ত নিরিবিলি জীবন 

 সেখানের এক বিষ্ণু দালান 
 শেষ বিকেল  সন্ধ্যা নেমে আসছে 
 না  বাজবে না কোন শাঁখ এর চাতালে