Monday, 31 October 2022

বীরভূমের লোহামহল ৩ নং পাতা


।। বীরভূমের লোহামহল।।  ৩ নং পাতা আরম্ভ।
  প্রস্তর যুগের মানুষ তো নানা রকমের প্রস্তরের সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গেছে। একদিন সে ভারী লোহাপাথর যেমন পেয়েছে তেমনই তামাপাথর ও পেয়েছে।
তাকে ভেঙ্গেছে। কিন্তু গলানোর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে অনেক পরবর্তী সময়ে। লাল ল্যাটেরাইট মাটির স্তরের নীচে
ল্যাটেরাইট বোল্ডারের স্তরে সে খুঁজে পেয়েছে লোহাপাথর।
প্রাচীন " অসুর সম্প্রদায় " তাকে গলানোর কায়দা আবিষ্কার করেছে। যে কথা আগেই বলা হয়েছে।
আধুনিক মানুষ কিন্তু সেই প্রাচীন পদ্ধতিই অনুসরণ করেছে।
কাঠ ; কাঠকয়লা র স্তরের উপরে লোহাপাথর এর সাজিয়েছে স্তরে স্তরে। তারপর বিশেষ ধরনের মাটি দিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে দিয়েছে। বাতাস চলাচলের জন্য ব্যবস্থা রেখেছে। গলিত লোহা বেরিয়ে আসার জন্য ও পোড়া মাটির নল রেখেছে।
পাথরের ভিত্তির উপরে পাথর সাজিয়ে ঘিরে দিয়েছে। প্রায় আধুনিক চুল্লির মতো। এই বহিঃ স্তরের পাথরের উপর ও কাদা মাটি দিয়ে গেঁথে ঢেকে দিয়েছে। বিশেষ ধরনের মাটি অর্থাৎ
আজকের ফায়ার ক্লে সে খুঁজে নিয়েছে। এই মাটি ছাড়া আস্তরণ তৈরি যে ভালো হবেনা তা সে অভিজ্ঞতা য় বুঝেছে।
কোথাও কোথাও মাটির ভিতরে নির্দিষ্ট আকারের চতুষ্কোণ
গর্ত খুঁড়ে  তার দুটি প্রকোষ্ঠ তৈরী করে ; একটি প্রকোষ্ঠ
ঠিক পূর্ব পদ্ধতিতে সাজানো হয়েছে লোহাপাথর এবং জ্বালানী কাঠে। কখনও ঘুটিং ও মেশানো হয়েছে। তারপর সেই একই পদ্ধতিতে পুরো টা ঢেকে দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত মাটি দিয়ে। প্রকোষ্ঠে র নীচে  র কয়েকটি নলের সাহায্যে পরের প্রকোষ্ঠে র সাথে যোগ রাকা হয়েছে। অনেক উঁচু চালা তৈরি করে তার উপর থেকে
দুজন ব্যক্তি অবিরাম হাপরের সাহায্যে বাতাস সরবরাহ করে গেছে চুল্লির নীচে দিয়ে। প্রায় চারদিন চার রাত সমানে পরিশ্রম করে  উপযুক্ত তাপ তৈরী করে সেই লোহাপাথর থেকে লোহা গলিয়ে বের করা হয়েছে । এই চারদিন চাররাতের জন্য উপযুক্ত এবং বেশী সংখ্যায় পরিশ্রমী মজুর দরকার হয়েছে।
------------ ------------ ------------ ------------ ------------ -৩ নং পাতা শেষ
 

No comments:

Post a Comment