Friday, 3 January 2025

ভ্রমি বীরভূমে

আমি থাকি অজয়ের দক্ষিণে। পশ্চিম বর্দ্ধমান জেলা য়। অজয়ই প্রাকৃতিক  সীমারেখা। উত্তরে বীরভূম। দক্ষিণে বর্ধমান। সেই কবেকার এই সীমারেখা। অজয়ের উত্তরে উত্তর রাঢ়। বজ্রভূমি, বীরভূমি - বীরভূম। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী ১৮০৬ সালে অজয় কে  প্রাকৃতিক সীমারেখা হিসাবে গ্রহণ করে। 

ওপারে ইলামবাজার। বীরভূমের প্রবেশ দ্বার। 

আমাদের নিকটতম গঞ্জ। এপার ওপারের  নিত্য যাতায়াত। সীমান্তের এই অংশের মানুষ দের বরাবরের টান ওপারের প্রতি। পানাগড়, দুর্গাপুর

যাওয়া অপেক্ষা বোলপুর যাওয়ার প্রতি একটা প্রবণতা কাজ করে। এই এলাকার অনেক সম্পন্ন

মানুষ ওপারে চলে গেছেন। ইলামবাজার বা বোলপুরে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন। 

আমারও ইচ্ছা ছিল।কিন্তু নানা কারণে হয়নি।  ইলামবাজার হাইস্কুলে পড়েছি। 

কিছুদিন পড়িয়েছি। বোলপুর কলেজে পড়েছি। 

সামাজিক, সাংস্কৃতিক নানা কর্মকাণ্ডে বীরভূমে

অনেক গুলি বছর কাটিয়েছি। বীরভূমের প্রতি 

আলাদা এক ভালোবাসা কাজ করে। সেই ভালোবাসা থেকে ই আমার সামান্য বীরভূম চর্চা। 

আমার লেখালেখির বড় অংশ জুড়েই বীরভূম। 

তাই প্রথম বই টি করতে পেরেছি ইলামবাজার কে কেন্দ্র করেই।  কুঠিবাড়ি ভিত্তিক ব্যবসা বাণিজ্য। 

এবং ইলামবাজারের কথা ও কাহিনী। 

অন্যান্য যে সব লেখা এই সমাজমাধ্যমে, ফেসবুক পেজে বা ব্লগে রয়েছে বা নানা পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেই সব লেখা একত্রিত করার ইচ্ছা  আছে। ইচ্ছা ই - বুক করার ও। আমি চাই আমার সব লেখা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে। 

কিনে বই খুব কম জনেই পড়ে। আমার ধারণা আগামী তে মানুষ এখানেই পড়ে নিতে চাইবে। 

 কিন্তু বইমেলায় বেশ ভিড় হয়। বই এর একটা আলাদা মূল্য আছে অস্বীকার করিনা। বই, বই ই। 

তবু অনেক কথা আছে। আমার যা অভিজ্ঞতা সে না হয় আরেক দিন বলা যাবে। 

আজ বীরভূম বিষয়ক লেখালেখির একটা  তালিকা। 

  • বীরভূমের লোহা মহল 

  • মুলুটির মন্দির রাজি, 

  • গণপুরের মন্দির, ' ফুলপাথরের মহাকাব্য'

  • মল্লারপুর 

  • রাজনগর কথা 

  • রসা - বড়রা র প্রস্তর দেউল 

  • বীরভূমের বৈচিত্র্যময় মন্দির 

  • দুবরাজপুর কথা ও কাহিনী 

  • দুবরাজপুরের মন্দির 

  • হেতমপুর কাহিনী। চন্দ্রনাথ মন্দির। রাজবাড়ি 

  • কোটা - শীর্ষা 

  • টিকরবেতার পিতল শিল্পের কথা 

  • জয়দেব কেন্দুলী নিয়ে নানা লেখা 

  • রাধাবিনোদ মন্দির। মোহান্ত অস্থল এর পিতলের রথ, গীতগোবিন্দম এর জয়দেব 

  • মানুষ জয়দেবের খোঁজে 

  • ধর্মমঙ্গলের অন্যতম কবি নরসিংহ বসুএবং তাঁর  রাজনগর যোগ। 

  • ১৬৩৩ সালে নির্মিত ঘুড়িষার রঘুনাথজীর মন্দির এবং ১৬৩১ সালে মাসড়া গ্রামে তৈরি মন্দির। একটি তুলনামূলক আলোচনা। 

  • ঘুড়িষা গ্রামের দুই বিখ্যাত মন্দির 

  • ইলামবাজার। গঞ্জ ইলামবাজার কথা। 

  • ইলামবাজারের মন্দির 

  • ইলামবাজার কেন্দ্রিক নানা বিধ লেখা। 

  • 'তুলাপট্টিতে আর বসেনা নীলামের হাট '

আনন্দবাজার পত্রিকায় বড় প্রবন্ধ। 

  • সুরুল, রাইপুর, আদমপুর, চন্দনপুর, মির্জাপুর, সুপুর, ইটাণ্ডা নিয়ে নানা লেখা এবং ছবি। 

  • এছাড়াও যেখানের সম্বন্ধে হয়তো লেখা হয়নি সেখানের মন্দির টেরাকোটার ছবি। 

  • আপনারা জানেন মন্দির টেরাকোটা আমার অন্যতম প্রিয় বিষয়। বনকাটির মন্দির এবং ইলামবাজারের মন্দির দেখেই সেই বালক বয়সেই এই ভালোবাসার উন্মেষ। 

  • যেমন ইলামবাজারের আরস্কাইন সাহেবের কুঠিবাড়ির ভগ্নাবশেষ বা তাঁদের পরিবারের সমাধি ক্ষেত্র থেকেই,নীল ও গালা শিল্পের একদা বিখ্যাত কেন্দ্র সেই প্রাচীণ ইলামবাজার কে খোঁজা। ইলামবাজারের চারপাশ কে খোঁজা। যেমন ঊষহর, ধল্লা, দ্বারোন্দা, দেউলী, ইত্যাদি স্থান সম্পর্কে লেখা। 

  • এখনকার এই মাধ্যমের সুবিধা হচ্ছে 

দৃশ্য শ্রাব্য মাধ্যম। এখানে আছি দীর্ঘদিন। কয়েক হাজার ছবি নষ্ট হয়ে গেলেও, এখনও আছে কয়েক হাজার। 

  • বিরাট বিস্তৃত ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমার সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখেই আমি নির্দিষ্ট একটা ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চেয়েছি। 

  • প্রাচীণ গোপভূমের অন্তর্ভুক্ত পরগণা সেনপাহাড়ী এবং বীরভূমের সেনভূম তথা 

অজয় তীরের দুপারের মানুষের জীবন কথা। 

আমার সীমিত সামর্থে এই কাজটুকুই মাত্র করতে পেরেছি। 

আমার কোন উচ্চাভিলাষ নাই। আমি সামান্য এক আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চাকারী। ক্ষেত্রসমীক্ষক। কোন স্থান নিজের চোখে না দেখে, আমি কোন লেখা লিখিনা। 

আমি কোন 'মুখ' নই। যেমন " বীরভূমের মুখ "। কি "পুরুলিয়ার মুখ " বা "বাঁকুড়ার মুখ "। সে সামর্থ্য নেই। অনেক জ্ঞানী, পণ্ডিত, বিদগ্ধ লেখক  জনেরা আছেন। 

আমি আঞ্চলিক ইতিহাসের  গল্পকার, কথাকার। সমাজমাধ্যমের বন্ধুরা বলেছেন " সেনপাহাড়ীর কথাকার"

কেউ " সেনপাহাড়ীর কথক ঠাকুর " 

কেউ " জঙ্গলমহলের কথাকার "

এই রকম নানা অভিধা। যথেষ্ট। 

বাইরের বন্ধুরা জানেন আমি বীরভূমের। 

বীরভূম কি জানে কি জানি! 


যে সব সংকলন গ্রন্থে আমার বীরভূম বিষয়ক প্রবন্ধ গুলি প্রকাশিত হয়েছে 

তার একটা তালিকা যদি পারি, দেব। 

আপনাদের জ্ঞাতার্থে।  কিছু কাজ তো করেছি। ভবিষ্যৎ ই বলবে। 

অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার। 

------------ ------------ ------------ ------------ ©  প্রণব ভট্টাচার্য। 

** ইলামবাজার কেন্দ্রিক আমার ছোট্ট বই টি র 

 নাম " এলেমবাজার নিলামবাজার ইলামবাজার "

দাম মাত্র ২০০/ টাকা। বন্ধুরা ঘরে বসেই সংগ্রহ করতে পারেন। পরিবেশক অক্ষরযাত্রা প্রকাশনী র আনন্দ গোপাল হালদার। ফোন নং 9474907307. ফোনে অর্ডার দিলেই হল। 

------------ ------------ ------------ ------------ 

আমাকে ফেসবুকে ই পাবেন। অনুরোধ না জানালে কোথাও লিখিনা। ফেসবুক পেজে শুধু রিলের ভীড়। ওখানে লেখা কেউ পড়েননা। 

বাংলা ব্লগের তেমন চাহিদা নাই। তবুও একটা ব্লগ আছে। 

https:// matirpradip.blogspot.com 

ফেসবুক পেজ। Pranab's canvas 

ইউ টিউব চ্যানেল খুলেছিলাম। চালাতে পারিনি। 

এই। 

------------ ------------ ------------ ------------ ----






No comments:

Post a Comment