Saturday, 18 June 2022

১লা আষাঢ়। ভক্তি ভবন। গীতগোবিন্দ দিবস উদযাপন।

।। ১ লা আষাঢ়। ভক্তি ভবন। জয়দেব কেন্দুলী।। 
  " গীতগোবিন্দ দিবস " 
 ১ লা আষাঢ়। 
 " আষাঢ়স্য প্রথম দিবস " 
 " মেঘৈর্ম্মেদুরম্বরং বনভুবঃ শ্যামাস্তমালদ্রুমৈ - "
  মেঘে মেঘে ছাইল আকাশ। 
 এই তো সেই কাল  যখন কবিমন থেকে উৎসারিত হয়  কাব্যরস ধারা। 
 এমনই দিনে প্রত্যেক বৎসর জয়দেব কেন্দুলী র  সাংস্কৃতিক 
 ভবন " ভক্তি ভবনে " উদযাপিত হয় " গীতগোবিন্দ " দিবস। 
 জয়দেব  অঞ্চল সংস্কৃতি সেবা  সমিতির আন্তরিক উদ্যোগে। বিশিষ্ট গুণীজনদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আনা হয় 
 সভাপতি এবং প্রধান অতিথি হিসাবে। 
 এবার এসেছিলেন মাননীয় দুই অধ্যাপক শ্রী তপন গোস্বামী 
 মহাশয় এবং শ্রী অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়। 
   মাননীয় শ্রী শান্তি রজক মহাশয়ের গীতগোবিন্দম থেকে গান দিয়ে শুরু। তারপর কৃতী দুই ছাত্রের সংবর্ধনা। 
 ব্যক্তিগত ভাবে তাদের পুরস্কৃত করলেন মাননীয় শিক্ষক 
 শ্রী দেবকুমার দত্ত মহাশয়। 
 আমন্ত্রিত কবিদের কবিতাপাঠ। 
 বীরভূম  জেলার চার বিশিষ্ট কবিকে সংবর্ধনা। মানপত্র প্রদান। সংবর্ধিত চার কবি সর্বশ্রী প্রভাত সাহা ; নীলোৎপল ভট্টাচার্য ; ফাল্গুনী ভট্টাচার্য ; এবং আব্দুল বাসার খান। 
  টিকরবেতার ঐতিহ্যমণ্ডিত কাঁসা পিতল শিল্পকে মাথায় রেখে 
 এঁদের মানপত্র  কাঁসার থালায় খোদাই করা। চমৎকার। 
 
প্রধান অতিথি র ভাষণে পুঁথি সংগ্রাহক ; বিশেষজ্ঞ ; বাঁকুড়া 
 বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক শ্রী অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের  গীতগোবিন্দ এর পুঁথি তথা সামগ্রিক আলোচনা আমাদের সমৃদ্ধ করে। তিনি ভক্তি ভবনে সংরক্ষণের জন্য একটি প্রাচীন গীতগোবিন্দ এর পুঁথি দান করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। 
 স্বল্প কথায় কবি অধ্যাপক শ্রী তপন গোস্বামী র বক্তব্য অত্যন্ত 
 মনোমুগ্ধকর। 
  এই এলাকা তথা অজয়ের এপার ওপার নিয়ে যে এলাকা 
  তার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল কে রক্ষা তথা বিকশিত করার কাজে ভক্তি ভবনে র এই দীর্ঘ দিনের নিরলস  উদ্যোগ 
 খুবই প্রশংসনীয়। জয়দেব  অঞ্চল  সংস্কৃতি সেবা  সমিতি এবং তাঁদের সাহায্য সহযোগিতা কারী সকলেই ধন্যবাদার্হ। 
 ভক্তি ভবন  হয়ে উঠেছে আমাদের সকলের মিলনক্ষেত্র। 
 কত গুণী জনের সান্নিধ্য এখানে মেলে। দেখা সাক্ষাৎ ; গল্প ;
 আড্ডা ; দুপুরের চমৎকার খাওয়া দাওয়া ; বিকেল শেষের 
 ঘরোয়া গল্প সব মিলিয়ে এক 'মুক্ত বাতাসে র শ্বাস। 
 ১৪০৩ সালের ১লা আষাঢ় শুরু হয়েছিল এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। গেষ্ট হাউসের হলঘরে হয়েছিল সে অনুষ্ঠান। সেদিন সেখানেও ছিলাম। একে বাঁচিয়ে রাখতে হলে তরুণ প্রজন্মকে সাথে চাই। তারা কই। তাদের কে তো আগিয়ে  আনতে হবে। 
 আমার মনে হয়। এলাকায় আরও অনেকে আছেন 
 যাঁদের কে সমিতির সাথে যুক্ত করা যায়। সে প্রচেষ্টা নিতে হবে। সংস্কৃতি মনস্ক সকলকে যদি একত্রিত করা যায়। রণজিৎ দা ; আনারুল ভাই ; উত্তম দা ; শান্তি দা  সহ 
 সকলে ভেবে দেখবেন। 
 ভীষণ রকমের এক শূণ্যতা তৈরী হতে যাচ্ছে নিকট ভবিষ্যতে। 
 " ভক্তি ভবনে র " এই সাধু উদ্যোগ কে যে বাঁচিয়ে রাখতে হবেই। দায়িত্ব আমাদের সকলের। 
 ------------ ------------ ------------ ------------ ------------ 
 বামপন্থী নেতা ; বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী ভক্তি ভূষণ মণ্ডলের 
 নামে এই " ভক্তি ভবন "। 
 
  
 
 
  ------------ ------------ ------------ ------------ ------------ ------------

No comments:

Post a Comment