ঘুড়িষা রঘুনাথ জী র মন্দির। জেলার প্রাচীণতম মন্দির বলে কথিত। এটির স্থাপনাকাল ১৫৫৫ শকাব্দ। ১৬৩৩ খ্রীস্টাব্দে। অসামান্য এর টেরাকোটা অলংকরণ। এরও ক্ষয় হচ্ছে। কালের নিয়মে। আগে একবার সংস্কার হয়েছে। তবে আনন্দের বিষয় যে সিন্থেটিক রঙের প্রলেপ পড়েনি।
কিন্তু রামপুরহাট থানা অন্তর্গত মাসড়া গ্রামের শিবমন্দির টি ১৫৩৩ শকাব্দে অর্থাৎ ১৬৩১ খ্রীস্টাব্দে নির্মিত।
মাসড়া তখন মুলুটির রাজাদের অধীনস্থ।
মন্দির টি ' রাজলোহাপাল ' সিতবদাস তাঁর মা সিদ্ধেশ্বরী র নামে প্রতিষ্ঠা করেন।
এই মন্দিরের অলংকরণ ছিল ফুলপাথরের।
ফুলপাথর স্থানীয় ভাবে প্রাপ্ত নরম লাল পাথর। জলে ভিজিয়ে রেখে এতে ভালো খোদাই এর কাজ করা যায়। এই এলাকার প্রায় সব মন্দিরে ই ফুল পাথরের কাজ।
সংস্কারের নামে সিন্থেটিক রঙের প্রলেপে ঢেকে গেছে প্রাচীণ কারুকার্যের সৌন্দর্য।
এই মন্দিরের প্রাচীণ প্রতিষ্ঠা লিপি টি এইরূপ -
শ্রী শ্রী রামাই ১৫৫৩ সেবক রাজলোহাপাল। ৪২৩ ××× সিতবদাস কর্মকারের মাতা শ্রী মতী সিদ্ধর শ্রী ঈশ্বর শিব স্থাপনাকারি ××× ×××
মুলুটি নিকট বর্তী এই মাসড়া গ্রাম ছিল লোহা কেনাবেচা র এক কেন্দ্র। প্রাচীণ পদ্ধতিতে লোহা গলানো হত। কর্মকার রা প্রভূত ধনী হয়ে উঠেছিলেন।
পরবর্তী তে এই সকল এলাকা ' লোহামহল ' নামে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর ইজারার মধ্যে আসে।
গ্রামে ঝামার স্তুপে এখনও অনেক লোহামল বা slag পাওয়া যায়।
মাসড়া গ্রামের এই ছোট্ট শিবমন্দির টি প্রতিষ্ঠাকালীন হিসাব অনুযায়ী বীরভূম জেলার প্রাচীণতম মন্দির।
তথ্য সহায়তা। প্র্য়াত গোপালদাস মুখোপাধ্যায় এর বই। ' নানকার মলুটী '।
প্রথম ছবি। ঘুড়িষা রঘুনাথ জী র মন্দির। এবং শেষ ছবি ও তাই।
No comments:
Post a Comment