এসব বলছি কেন জানেন অনেক মানুষ এখন এই এলাকায় বেড়াতে আসছেন। আমার লেখাপত্র পড়েই হোক আর যেভাবেই হোক না কেন একদল ইতিহাস প্রেমী ; মানুষ এলেন। গেলেন। কেউ কেউ থাকলেন। ইছাই ঘোষের দেউল ; অনবদ্য টেরাকোটা কাজ সমন্বিত বনকাটি র মন্দির রাজি; বিখ্যাত অলংকরণ সমৃদ্ধ পিতলের রথ তো আছেই। আর আছে ' গড় জঙ্গল'। দেবী শ্যামারূপা র থান ; গড় বেড়ী। এসব তো সব কিছু ৫-১০ কিমি র মধ্যেই। অযোধ্যা বনকাটি লাগোয়া গ্রাম। প্রায় গঞ্জ এলাকা। সব ই পাবেন। কোন অসুবিধে নেই। আচ্ছা জয়দেব - কেন্দুলী র ; ঘুড়িষার ; ইলামবাজার এর অনবদ্য মন্দির গুলি দেখবেন না। ইচ্ছে হচ্ছে না। " পাণ্ডুরাজার ঢিবি "। যে ঢিবি র নীচে লুকিয়ে আছে ৩৫০০ বছর আগের আদি বাঙ্গালীর ইতিহাস। সত্যি একবার পা ফেলতে ইচ্ছে করছে না। ",তুলাক্ষেত্র বর্ধমান স্তুপ"। পাল রাজাদের আমলে নির্মিত সেই বিখ্যাত ভরতপুরের বৌদ্ধ স্তুপ। যাবেন না একবার। সব ২০ কিমি ব্যাসার্ধ এর মধ্যে ই। যাবেন না কি " রাঢ়েশ্বর শিব মন্দির দেখতে। আর মৌখিরা কালিকা পুর না দেখলে কি চলে। ঐ মন্দির প্রাসাদ রাজি। সেই চাঁদনী। সরোবর। প্রকৃতি। ওই জন্যে বলি এখানে আসুন। সময় নিয়ে। তেপান্তর নাট্য গ্রামে থেকে সব ঘুরুন। দেখুন আমাদের বাংলাকে। জানুন তার ইতিহাস। আমি তো আছি। তেপান্তর এর সব রকমের ' প্যাকেজ ' আছে। আছে তেপান্তর কর্মী দলের আন্তরিকতা। এমন টি বোধ হয় অন্য কোথাও পাবেন না।
Friday, 15 November 2019
তেপান্তর। নাট্যগ্রাম। এক এবং অনন্য
এসব বলছি কেন জানেন অনেক মানুষ এখন এই এলাকায় বেড়াতে আসছেন। আমার লেখাপত্র পড়েই হোক আর যেভাবেই হোক না কেন একদল ইতিহাস প্রেমী ; মানুষ এলেন। গেলেন। কেউ কেউ থাকলেন। ইছাই ঘোষের দেউল ; অনবদ্য টেরাকোটা কাজ সমন্বিত বনকাটি র মন্দির রাজি; বিখ্যাত অলংকরণ সমৃদ্ধ পিতলের রথ তো আছেই। আর আছে ' গড় জঙ্গল'। দেবী শ্যামারূপা র থান ; গড় বেড়ী। এসব তো সব কিছু ৫-১০ কিমি র মধ্যেই। অযোধ্যা বনকাটি লাগোয়া গ্রাম। প্রায় গঞ্জ এলাকা। সব ই পাবেন। কোন অসুবিধে নেই। আচ্ছা জয়দেব - কেন্দুলী র ; ঘুড়িষার ; ইলামবাজার এর অনবদ্য মন্দির গুলি দেখবেন না। ইচ্ছে হচ্ছে না। " পাণ্ডুরাজার ঢিবি "। যে ঢিবি র নীচে লুকিয়ে আছে ৩৫০০ বছর আগের আদি বাঙ্গালীর ইতিহাস। সত্যি একবার পা ফেলতে ইচ্ছে করছে না। ",তুলাক্ষেত্র বর্ধমান স্তুপ"। পাল রাজাদের আমলে নির্মিত সেই বিখ্যাত ভরতপুরের বৌদ্ধ স্তুপ। যাবেন না একবার। সব ২০ কিমি ব্যাসার্ধ এর মধ্যে ই। যাবেন না কি " রাঢ়েশ্বর শিব মন্দির দেখতে। আর মৌখিরা কালিকা পুর না দেখলে কি চলে। ঐ মন্দির প্রাসাদ রাজি। সেই চাঁদনী। সরোবর। প্রকৃতি। ওই জন্যে বলি এখানে আসুন। সময় নিয়ে। তেপান্তর নাট্য গ্রামে থেকে সব ঘুরুন। দেখুন আমাদের বাংলাকে। জানুন তার ইতিহাস। আমি তো আছি। তেপান্তর এর সব রকমের ' প্যাকেজ ' আছে। আছে তেপান্তর কর্মী দলের আন্তরিকতা। এমন টি বোধ হয় অন্য কোথাও পাবেন না।
Sunday, 6 October 2019
কারিগর দের দুর্গাপুজো। বনকাটি।
ইংরেজ রাও তাই চেয়েছে। ' আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করো '। আর বনকাটি র বাবুরা করেছে। ব্যবসা করে অনেক টাকা। অনেক টাকা এলাকায় ঢুকেছে। বেনে ; ময়রা মোদক ; তাম্বুলী ; সদগোপ ; স্বর্ণ কার ; কর্মকার ; তাঁতী রা এখানে এসে বসেছে। নিজ নিজ বৃত্তিতে। ভালো ব্যবসা হচ্ছে। জমিদার ঘর গুলোতে ই দিয়ে পারা যায়না। আশেপাশে র জমিদার রাও মাল কেনার অন্য এখানে লোক পাঠায়। নদীর ওপার থেকেও অর্ডার আসে। পাহারা দার দের জন্য ; ডাকাত দলের জন্য ও মাল বানায়। চুরির সোনা বেনে রা কেনে। স্বর্ণকার দিয়ে মাল গড়িয়ে নেয়। থাকে ঘরের গুপ্তঘরে। মাঝে মাঝে ঝুড়িতে করে মুদ্রা পাকা দালান এর ছাদে রোদে দেয়। তখন বন্দুক ধারী পাহারা আনে ভাড়া করে। তাঁতী রা সবাই বেশ কাজ করছে। দালাল দের ভালো অবস্থা। দে দের ও ভালো। লোহার কর্মকার দের সোনার কর্মকার দের অবস্থা বেশ ভালো হয়েছে। দুর্গাপুজো চালু না করলে হয়। চালু হল। যথা রীতি সাড়ম্বরে।
Wednesday, 18 September 2019
কোঁড়া পাড়ার মনসা পুজো
Friday, 23 August 2019
যাপন চিত্র
এ সব নিয়ে ই তবু বাঁচতে হয়। উপায় তো না কিছুই নাই। এ যে কি বাঁচা। কে বুঝবে। নিজেরাই শুধু বুঝি। তাও কে কেমন ভাবে সে জানা যাবে না। স্বামী ; শাশুড়ি ; ছেলে ; নিজে। সবার অনুভব আলাদা আলাদা। আমি শুধু জানলার ধারে বসে ভাবি আমিকি না জমিদার বাড়ির বৌ। সামনের বাঁধানো ঘাটের দিঘী র সামনে দাঁড়িয়ে জল দেখি। জল। অবিরল। বয়ে যায় স্রোত গভীর ভিতরে। এ যে কি যাপন। চার দিক জুড়ে শুধু ভাঙা। আর ভাঙ্গনের শব্দ। সুতীব্র গভীর বিষাদ যাপন। একসাথে মিলে যায় মানকর কবিরাজ বাড়ি, কালিকাপুর রায় বাড়ি, বারুইপুর পাল বাড়ি কি গৌরবাজার পাণ্ডে বাড়ি । কালস্রোতে সব পুরোনো ধনী জমিদার বাড়ির প্রায় একই অবস্থা। আজ অসহায় বর্তমান প্রজন্ম। দুঃ সহ যাপনের অসহ্য বিষাদ বেদনা র স্রোত বয়ে যায় অবিচ্ছিন্ন ভাবে।
অমাবস্যা দিন
সাতকাহনিয়া বাবাজী আখড়া
আমার গ্রামের দশহরা উ ৎসব
Saturday, 17 August 2019
Wednesday, 12 June 2019
সাতকাহনিয়ার দশহরা উৎসব
Sunday, 12 May 2019
বসুধা। বসুধা থেকে মিরাস মৌখিরা
বসুধা। আহা। কি সুন্দর মধুক্ষরা নাম।
কে কবে রেখেছিল। তা কি আজ আর বলা যায়। নামের উৎপত্তি কিভাবে। আন্দাজ করা যায়। বৌদ্ধ দেবী বসুধারা নাম থেকে আসতে পারে। কেননা একদিন এই অজয় অববাহিকায় তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের যথেষ্ট
প্রসার ঘটেছিলো। আবার ধর্ম্মমঙ্গলের অন্যতম এক কবি নরসিংহ বসুদের পৈতৃক
ভিটা ছিল এই গ্রামে। বসুধাম থেকে বসুধা।
অনেক ছড়ানো বিস্তৃত মৌজা এই লাট বসুধা। অজয়ের দক্ষিণ পাড় থেকেশুরু করে একেবারে আউসগ্রামের জঙ্গলভূমি
পর্যন্ত। একদিন মাঝে তার বইত অজয়ের ই একটি জলধারা। বৃদ্ধ নদী। বেশ দহ ছিল সেই কালীদহ। পারাপার এর জন্য ছোট নৌকো চলত। চালাত চণ্ডালেরা। আবার শবদেহ দাহ ও করত। কাছে ই প্রাচীন শিব মন্দির। ওপারে ধর্মরাজ মন্দির। অনেক গুলি ছোট চারচালা শিব মন্দির ছিল।
কাছেই রূপাই চণ্ডী তলা। বিখ্যাত তার যাত্রা আসরের জন্য। একদিন ছিল ঘন অর্জুন পালাশের জঙ্গল। গালা বানাত লরি রা।
তারা খুব দুর্ধর্ষ ও ছিল শোনা যায়।
তখন এখানকার জঙ্গল ভূমিতে অনেক তান্ত্রিক ব্রহ্মচারীরা বিচরণ করেন। তাঁদের একজন বাবা দুলো রায়।
অনেকগুলো পাড়া। বাগুড়া। বাঘারায় নাম থেকে। কালু বীরের থান। সেখানে বেশ কয়েকটি জৈন এবং বৌদ্ধ ভগ্ন মূর্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। মেটে পাড়া।
জয়রাম নামের এক আদিবাসী নদীতীরে
নীল চাষ করে বেশ ধনী হয়েছিল।অনেক জমি জায়গা করেছিল। ওপার ইলামবাজার তখন নীল গালার বিখ্যাত গঞ্জ হয়ে উঠেছে। ইংরেজ দের সাথে তার ভালো সখ্য।
তার পরিবার বেশ ঘনিষ্ট হয়েছিল তাদের।
অজয়ের পলিমাটি দিয়ে গড়া। চাষের দারুন ক্ষেত্র। এখানকার সব্জী ছিল বিখ্যাত।
পূর্বপাড়ায় শাকদ্বীপি গ্রহবিপ্র দের পাড়া।
এঁরা বেশ প্রাচীন। এঁদের পরিবারের দুর্গাপূজার আয়োজন কমপক্ষে তিনশত বছর এর পুরনো। পূর্ব ঘোষ পাড়া। সেখানে ও আছেন কয়েক ঘর নিম্ন শ্রেণীর ব্রাহ্মণ। আর মেটে। সদগোপদের ই প্রাধান্য।
এই পাড়া এবং অন্য পাড়াগুলি থেকে ও অনেক পরিবার বন্যা র ভয়ে উঠে উঁচু ডাঙ্গা জমিতে গিয়ে গ্রাম পত্তন করেন। গ্রামের নাম তাই ডাঙ্গাল। এখানকার সদগোপ ঘোষ বাবুরা একদিন যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন।
অনেক আদিবাসী মানুষ আছেন এখানে।
কোঁড়া ; মাহালী ; সাঁওতালরা। একদিন চাষাবাদ এবং নীলকুঠীর কাজের জন্য এঁদের আনা হয়েছিল বা এসেছিলেন।
ডাঙ্গাল গ্রামের দু টি অংশ। একটি আদিবাসী
পাড়ার নাম রাজাপোতা ডাঙ্গা। ইতিহাস আছে তার। রূপাই চণ্ডী তলায় নবমী পুজার দিন ছাগ বলি দেওয়া হত। সদগোপ দের পক্ষ থেকে। আচার্য পদবীর ব্রাহ্মণ রা ছিলেন পুরোহিত। এঁদের আনানো হয়েছিল। পরে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার এর দায়িত্বে যায়।
ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর সময় দশঘরার জমিদার রা বসুধা র জমিদারী কিনেছিলেন। তাঁদের ছিল কাছারী বাড়ি। সামনে ' রঙ বাগান '.।
এক সময় টোল শিক্ষায় বসুধা র খুব খ্যাতি ছিল। জ্যোতিষ চর্চা বা শিক্ষায় গ্রহবিপ্র গণৎকার ব্রাহ্মণ ভট্টাচার্য পরিবারের খুব নাম যশ খ্যাতি ছিল।
পশ্চিম পাড়া বা রূপুটে পাড়ার ঘোষ ; ভাণ্ডারী সদগোপ দের প্রতিপত্তি ছিল।
কামার ; কুমোর ; মাল ; কোঁড়া রা ও ছিলেন।
বসুধা র বিখ্যাত সব্জী গোরুর গাড়িতে করে যেত নানা হাটে। ইলামবাজার ; বোলপুর ; সগড়ভাঙ্গা র হাটে বাজারে।
অনেক অনেক কথা এই বসুধা - মিরাস এর। মিরাস কে চেনা যাচ্ছেনা। কবি নরসিংহ বসু র সময়ের নাম। আজকের মৌখিরা।
বসুধার একেবারে দক্ষিণে বিরাট বিল।তার পাড়ে হত ব্যাপক নীল চাষ। ছিল নীলকুঠি।
সেখানের জঙ্গলের নাম তাই নীলকুঠি র জঙ্গল। মৌখিরা কালিকাপুরের রায় জমিদার বাবুদের সাথে তাদের ওঠাবসা।
বিশাল ধনী জমিদার হয়ে উঠেছিলেন রায় বাবুরা। বসুধা থেকে মৌখিরা কালিকাপুর পর্যন্ত পুরো এলাকা জুড়ে তাদের দাপট ; কর্তৃত্ব। বিশাল বিশাল জমিদার বাড়ি ; সহ অনেক মন্দির তাঁরা নির্মান করিয়েছিলেন।
সে অনেক কথা। আলাদা পর্বে লিখব।
----------------৷৷৷৷৷৷৷ ------------------৷৷৷৷৷ -----