Sunday, 6 October 2019

কারিগর দের দুর্গাপুজো। বনকাটি।

এলাকার দুর্গাপুজো। বনকাটি অযোধ্যা। থানা কাঁকসা। প বর্ধমান দুর্গাপুজো চালু করা তো আর সহজ ব্যাপার নয়। অবস্থা ভাল না হলে কি আর বামুন রা তো সবাই অনেক জমি জায়গার মালিক। বন জঙ্গল কেটে সাফ করিয়ে চাষের জমি বের করে তার উপরে চাষী বসিয়ে ধান চাষ। তারপর জমির খাজনা। ফসলের ভাগ নেওয়া। রাজাকে তো কর দিতে হবে। আর রাজারা বামুন দিকে ই সবচেয়ে বিশ্বাসী মনে করেছে। এদের কে ইংরেজ রাও তাই মনে করে। এদের সঙ্গে ভালো ব্যবসা করা যায় ওরা নিজে মুখেই বলেছে। তাই বামুন রা অনেক জঙ্গল জায়গা পেয়েছে ভেঙ্গে আবাদি করার জন্য। এরাই জমিদার হয়েছে। অনেক টাকা খাজনা আদায় করেছে। টাকা জমেছে। সেই টাকায় নানা ব্যবসা করেছে।


 ইংরেজ রাও তাই চেয়েছে। ' আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করো '। আর বনকাটি র বাবুরা করেছে। ব্যবসা করে অনেক টাকা। অনেক টাকা এলাকায় ঢুকেছে। বেনে ; ময়রা মোদক ; তাম্বুলী ; সদগোপ ; স্বর্ণ কার ; কর্মকার ; তাঁতী রা এখানে এসে বসেছে। নিজ নিজ বৃত্তিতে। ভালো ব্যবসা হচ্ছে। জমিদার ঘর গুলোতে ই দিয়ে পারা যায়না। আশেপাশে র জমিদার রাও মাল কেনার অন্য এখানে লোক পাঠায়। নদীর ওপার থেকেও অর্ডার আসে। পাহারা দার দের জন্য ; ডাকাত দলের জন্য ও মাল বানায়। চুরির সোনা বেনে রা কেনে। স্বর্ণকার দিয়ে মাল গড়িয়ে নেয়। থাকে ঘরের গুপ্তঘরে। মাঝে মাঝে ঝুড়িতে করে মুদ্রা পাকা দালান এর ছাদে রোদে দেয়। তখন বন্দুক ধারী পাহারা আনে ভাড়া করে। তাঁতী রা সবাই বেশ কাজ করছে। দালাল দের ভালো অবস্থা। দে দের ও ভালো। লোহার কর্মকার দের সোনার কর্মকার দের অবস্থা বেশ ভালো হয়েছে। দুর্গাপুজো চালু না করলে হয়। চালু হল। যথা রীতি সাড়ম্বরে।


No comments:

Post a Comment