।।।। কি খাদ্যাভাব এদের ।।
এরাও জীব। এদের ও খিদে আছে। খাদ্য নেই।
না খেয়ে মরে যাওয়াই কি ভবিতব্য!
এরা কি ভবিতব্য বোঝে!
কোন বোধ কাজ করে হয়তো।
লোকালয়ে চলে আসছে। সন্ধ্যা হতেই কাতর চিৎকার।
সারা দিনে পেটে কিছু পড়েনি।
সহজে মানুষের মতো বিপজ্জনক প্রাণী র কাছে এরা আসেনা। একেবারে নিরুপায় না হলে।
জানে মানুষ সবচেয়ে উঁচু প্রাণী।
যদি কিছু করে কেউ! না খেয়ে মরে যাবার আগে শেষ মরিয়া চেষ্টা।
আজ ঘরের পিছনে পুকুর পাড়ে কাতর চিৎকার।
সন্ধ্যা একটু ঘনিয়েছে মাত্র।
খাবারের খোঁজে মানুষের দুয়ারে আসছে।
এদের কথা ভেবেই বুঝি কোন কোন মন্দিরে ' শিবা ভোগের ' কথা ভাবা হয়েছিল।
এখনও কোন কোন মন্দিরে সেই রীতি চালু আছে।
খিচুড়ি ভোগ যথারীতি তারা খেয়ে যায়।
এই কয়েক বছরে তাদের সংখ্যা বেড়েছে।
একেবারে প্রায় শেষ হয়েই যাচ্ছিল।
গম্ভীর টার্ম আছে বই এর পাতা তেও।
যেমন শকুন হারিয়েই গেছে।
আরও কত জীব।
হাতির পাল নেমে আসছে। পাহাড়তলী তে। ধান খাবার জন্যে। পাহাড়ে কোন খাবার নাই। মানুষ তাড়াচ্ছে। মানুষের ও উপায় নাই। তার পেটের ভাতের জোগাড় শেষ করে দিচ্ছে যে।
বানর গুলো র কি উৎপাত! অসহ্য। সংখ্যায় যথেষ্ট বেড়েছে। প্রকৃতি কেন যে নিয়ন্ত্রণ করছেনা।
এত উৎপাতের কারণ তো সেই খিদের জ্বালা।
সহ্য করতে পারছেনা। ক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। জঙ্গলে কোন, খাওয়া যায়, এমন গাছের পাতা নাই, ফুল নাই, ফল নাই।
তা না হলে আকন্দের পাতা খায়।
মানুষের মাঠে সব্জি নাই। মাঠের পর মাঠ পড়ে আছে। কোন সব্জি চাষ নেই। শুধু ধান। আর কিছু আলু।
গ্রাম আছে। থাকবে। কিন্তু সেই গ্রাম নয়। গ্রামের চারপাশের দোমাঠের শস্য, সব্জি ভরা সেই ক্ষেত শুধু ছবি হয়ে যাবে।
চাষ করবে কে! চাষ করার লোক নাই। চাষির ঘরের ছেলেরা চাষ জানেও না। চায়ও না চাষ করতে।
আর চাষের খরচ যা বেড়েছে, সব জমি চলে যাবে শেষ পর্যন্ত কর্পোরেট এর হাতে। সেই পরিকল্পনা নিয়েই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই।
প্রসঙ্গ ভিন্ন হলেও সম্পর্কিত। অনেক কথা বলা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অনেক অনেক কথা থেকে যাচ্ছে।
চড়ুই, মৌমাছি, প্রজাপতি, জোনাকি সব হারাবার পথে।
দায় তো আমাদের। আমাদের সভ্যতার। কিন্তু দায় স্বীকার তো করবনা।
এতো পাপ। শেষ হয়ে গেল মাটি। নিজেরাই শেষ করে দিলাম।
------------ ------------ ------------ ------------ ---------১ ম পর্ব
আরও কয়েকটি পর্ব নিয়ে এক বড় প্রবন্ধ হবে।
এখানে দেব কি না জানাবেন। ভালো না লাগলে দেবনা।
আমি মাত্র একটি ছোট্ট এলাকা কে মডিউল ধরে কথা বলছি। একই অভিজ্ঞতা সবার না হওয়াই স্বাভাবিক।
পশ্চিম বর্ধমান এর কাঁকসা থানার অযোধ্যা - বনকাটি এলাকা। ৭১৩১৪৮।
No comments:
Post a Comment