কোথায় 'রামগঞ্জ ' আর কোথায় 'রাঢ়াপুরী '
বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার রাণীসঙ্কৈল থানা র অন্তর্গত একটি গ্রাম রামগঞ্জ।
সেখানে পাওয়া গেল এই তাম্রশাসন। মানে তামার প্লেটে উৎকীর্ণ লিপি। ভাষা তার সংস্কৃত। লিপি সেন পূর্ব যুগের।
অক্ষয়কুমার মৈত্র মশাই ; বারেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি র মুখপত্রে ননীগোপাল মজুমদার মশাই এটি প্রকাশ করেন।
বাচ্চা ঝা মশাই ও পাঠোদ্ধার করেছিলেন কিন্তু প্রকাশ করেননি। স্থানে স্থানে পাঠে ভিন্নতা আছে। তা থাক কিন্তু মূল কথা বোঝা গেছে।
এটি সেই সময়ের এক অমূল্য ঐতিহাসিক নিদর্শন।
এক ব্রাহ্মণ নির্বোক শর্মা কে কিছু ভূমি দান করা হচ্ছে।
মহাপরাক্রমশালী ঈশ্বরী ঘোষ বংশপরিচয় দিচ্ছেন।
'ঘোষ কুলোদ্ভব '। নানা বিশেষণে বিভূষিত তাঁর পূর্বপুরুষ গন। মহা কীর্তি মান ধূর্ত ঘোষ ; তাঁর পুত্র নানা যুদ্ধে শত্রু দের পরাস্ত কারী বাল ঘোষ ; তাঁর পুত্র ধবল ঘোষ সূর্যকিরণে র মতো যাঁর খ্যাতি প্রচারিত হয় ।
সীতা ও পদ্মা র মতো তাঁর স্ত্রী সদ্ভাবার গর্ভে ঈশ্বরী ঘোষের জন্ম।
অবাক লাগে পাল রাজাদের আমলে যত রাজকর্মচারী পদ আছে ; প্রায় তেমনই পঞ্চাশ এর অধিক রাজ কর্মচারী পদের নাম। অর্থাৎ এঁরা সব ঈশ্বরী ঘোষের অধীনস্থ। রাজ কার্যে এঁদের প্রয়োজন হয়।
অর্থাৎ ছোটখাটো রাজা নয়। তাবলে এতো বড়। একেবারে ' গোপভূম ' থেকে আসাম কামরূপ পর্যন্ত?
স্বাভাবিক সন্দেহ জাগে।
অনেকে মানতেই চাননা।
যেমন ঈশ্বরী ঘোষ ই যে ইছাই ঘোষ তা মানতেও আপত্তি।
এই তাম্রশাসনে কোন সন তারিখ নাই। তবে ঈশ্বরী ঘোষ তাঁর ৩৫ তম রাজ্যাঙ্কে অর্থাৎ তার আগে তিনি ৩৫বছর রাজত্ব করেছেন।
সে টা ও কম কথা নয়। তিনি পরাক্রান্ত।
মার্গ শীর্ষ সংক্রান্তি তে ' জটোদয়া ' নদীতে স্নান করে তিনি
এই পুণ্য কর্ম সম্পাদন করছেন
No comments:
Post a Comment