গতকালের আমার পোষ্ট প্রয়োজনে একটু দেখে নেবেন।
' রামগঞ্জ তাম্রশাসনে ' র শুরুতেই ' বভূব রাঢ়াধীপ লব্ধজন্মা ' ইত্যাদি
অর্থাৎ তিনি রাঢ়ে র অধিপতি।
তাঁর রাজত্বের সীমানা? জানি না
তিনি ' ত্রিষষ্টি গড়ের ' অধিপতি।
ত্রিষষ্টি মানে কি ৬৩ সংখ্যক গড়ের অধিপতি
না কি তার গড়ের নামই তাই।
অতি প্রাচীন এক অশ্বত্থের তলে ' গড় বেড়ি ' এলাকায় ভগ্ন ধ্বংস প্রাপ্ত এক মন্দিরের নাম স্থানীয় প্রাচীন মানুষেরা বলতেন ' ষষ্ঠীতলা '
সমগ্র গড়বেড়ী এলাকা ছিল মোটা মাটির প্রাচীর ঘেরা। আর ছিল দুর্ভেদ্য কাঁটাবাঁশের বেড়া।
অনেক নীচে পরিখা।
কোথায় ছিল ' রাঢ়াপুরী '
বিখ্যাত ' রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির ' এর কেন্দ্র করে
এমন অনুমান অনেকের।
বিখ্যাত চোল রাজা রাজেন্দ্র চোল রাঢ় আক্রমন করেছিলেন। তাঁর তিরুমালাই গিরিলিপি থেকেই আমরা উত্তর রাঢ় আর দক্ষিণ রাঢ় এর কথা জানতে পারি। রণশূর ছিলেন দক্ষিণ রাঢ়ের রাজা।
বিজিত রাজাদের মধ্যে ঈশ্বরী ঘোষের নাম নেই
সময় কাল নিয়ে তো বিতর্ক আছে ই। থাকবেই
আবার ধঙ্গদেব আক্রমন করেছিলেন রাঢ়দেশ।
তাঁর আক্রমনেই কি শেষ হয়ে যায় ইছাই এর বংশ।
খর্জূরবাহক লিপি তে আক্রমনের কথা খোদিত।
রাণী কে ও না কি বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সেখানে ও রাঢ়াধীপ' এর নাম নেই।
অনেক আলো আঁধারী।
মধ্য রাঢ়ে র এই কেন্দ্রমধ্যে পণ্ডিত জনেরা আলো ফেলুন। আমরা আলোকিত হই।
( চলবে কি? )
1940 সালের ইছাইঘোষের দেউলের ছবিটি পেয়েছি ASI এর আধিকারিক মাননীয় শুভ মজুমদারের সৌজন্যে। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।
অনেক বিশিষ্ট মানুষ এসে দেখে গেছেন। যতটা পেরেছি সঙ্গ দিয়েছি। বারবার বলি সামান্য মানুষ।
আসবেন। দেখবেন এই অসাধারন পুরাকীর্তি।
বনকাটি। বনকাটি। থানা কাঁকসা। প বর্ধমান।
পানাগড় মোরগ্রাম হাইওয়ে। এগারো মাইলে নামুন। টোটো নিন। দেউল।
তবে এখন নয়। বিপদ কাটুক। এখন ঘরে থাকুন।
গতকালের পর দ্বিতীয় অংশ।
আর চালাব কি না বলবেন।
কথা বা কাহিনী র শেষ নেই।
ইছাই নেই। আছে তার স্মৃতি দেউল।
No comments:
Post a Comment