' জটোদয়া '।
ননীগোপাল মজুমদার মশাই এর পাঠে ' জটোদায়াং'।
অক্ষয় কুমার মৈত্র মশাই বলেছেন যা গঙ্গার নামান্তর।
কালিকাপুরাণ এ ' জটোদা ' নদীর উল্লেখ আছে।
বসু মশাই আসাম বা প্রাচীন কামরূপে এই নদীর ধারে ' ঢেক্করী ' র অবস্থান বলেছেন।
এই রকমের আর এক মতের উল্লেখ করছি।
আমার পোষ্টে র মন্তব্যে মাননীয় মলয়শংকর ভট্টাচার্য মশাই বলেছেন ' এই স্রোতস্বিনী জলপাইগুড়ি র ময়নাগুড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। নিকটেই বিখ্যাত শৈবতীর্থ জটেশ্বর।
গ্রীয়ারসন সাহেবের ' লিঙ্গুইস্টিক সার্ভে তে ' কোচবিহার ; রংপুর ; ধুবড়ি ; জলপাইগুড়ি ; দিনাজপুর এলাকা নিয়ে যে জোন তার নাম ' ঢেক্করী '।
এই ঢেক্করী র ' Chieftain 'ঈশ্বরী ঘোষ রাজা রামপাল কে সাহায্য করেছিলেন। (কৈবর্ত বিদ্রোহের সময়?)
রাজধানী রামাবতীর ( উত্তর দিনাজপুর) নিকটবর্তী রামগঞ্জ।
যেখানে পাওয়া গিয়েছিল ' ঢেক্করী থেকে প্রচারিত ঈশ্বরী ঘোষের তাম্রশাসন '।
নীহাররঞ্জন এর মতো ঐতিহাসিক আবার ঢেক্করী র অবস্থান বলেছেন কাটোয়া নিকটবর্তী।
ভুলে যাচ্ছি তিনি ' রাঢ়াধীপ'। ' বভুব রাঢ়াধীপ' লব্ধজন্মা '।
ভুলে যাচ্ছি রামচরিত এর প্রতাপসিংহ ' ঢেক্করী রাজ '।
এবং ' মহামাণ্ডলিক'ঈশ্বরী ঘোষ এই ঢেক্করী থেকেই তাম্রশাসন খানি প্রচার করেন। উভয় ঢেক্করী এক এবং অভিন্ন।
ধর্মমঙ্গল কাব্যে ইছাই এর গড়ের নাম ঢেকুর গড়।
আর আজও মানুষ পৌষ সংক্রান্তি তে ' অজয় ' এ স্নান করেন।
মনে করেন ওই দিন গঙ্গা আসেন অজয়ে।
আর এই দক্ষিণ অজয় তীরে উচ্চভূমি তে ' ইছাইঘোষের গড়বেড়ী '।
আর অদূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ' ইছাইঘোষের দেউল '।
ইছাই এর স্মৃতি সহজে মুছে যাওয়ার নয়।
কেননা তাঁর সময়কালের কয়েক শতক পরে ও তাঁর স্মৃতি বেঁচে থাকে। যা অবলম্বন করে কবিরা রচনা করেন ধর্মমঙ্গল।
-------------------------------------------------------------------