Monday, 8 March 2021

ও পলাশ! পলাশ রে

বুঝলি পলাশ 
এখন তো তোরই দিন বটে 
আর কদিন পরে রঙের পরব। 
কত গলায় যে ঝুলবি। আহা 
ফাগুন লেগেছে বনে বনে 
আগুন আগুন রঙের আগুন 
যাক সবাই বনে যাক। খোয়াই এর ভিতরে ভিতরে কোপাই এর ধারে যাক 
পলাশথলী তে যাক। বিহারীনাথ হয়ে হালদা পাহাড়ের রাঢ়মাটির দেশে যাক

বুঝলি পলাশ 
আমি একটু অন্য কথা বলি 
তোকে দেখলে আমার মনেপড়ে পলাশ পাতার ঠোলায় আঁকুড়  বেরুনো  বুটকলাই ভেজা পুরুলিয়া বা দুশো বছর আগের 
আমাদের এই জঙ্গলমহলের শাল পলাশের বন - যার নামই হয়ে গিয়েছিল সেন পাহাড়ি র লা - মহল। মানে লাক্ষা মহল। 
এত লাক্ষা গুটি পোকার বাস চাষ ঐ পলাশ বনে বনে । ইলামবাজারের ইংরেজ কোম্পানী র রমরমা গালার ব্যবসা। 
এখান থেকেই মণ মণ গালা যায় কুঠি তে। কত মানুষের জীবিকা ছিল। খেয়ে পরে বাঁচত গরীব মানুষেরা । বেশির ভাগ মানুষ তো বনবাসী সাঁওতাল আদিবাসী।  তারাই বনে বনে সংগ্রহ করত গালা কাঠি গুলো। 
তাদের কাছ থেকে কিনে নিত স্থানীয় বাবুরা। তারপর তারা বেচত ইংরেজ কুঠি তে। তাতেই  এত বড়লোক। কলকাতায় থেকেছে। আরও রোজগার। আরও। আরও। 
আমাদের এই বনকাটি র মুখুজ্জে বাবুরা 
বিরাট প্রাসাদ বানিয়েছে। মন্দির তৈরী করিয়েছে। পিতলের রথ বানিয়েছে। 
কলকাতা থেকে মিস্ত্রি এনে। খোদাই কার এনে। দেখার মত বটে সে সব ছবি। 
কত মানুষ দেখে গেছে। 
আর কত দেখতে আসছে এখন। 
বুঝলি পলাশ।
ক টা দিন থাকিস।

No comments:

Post a Comment