বসুধা।
মধুক্ষরা নাম।
এই বসুধায় ছিল ধর্মমঙ্গল কাব্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
নরসিংহ বসুর পূর্বপুরুষ দের আদি বাসস্থান।
নরসিংহ এর পিতামহ মথুরা বসু বসুধা ত্যাগ করে
পূর্ব বর্ধমান এর দক্ষিণ দামোদর এলাকার শাঁখারী
গ্রামে চলে যান। সেখানেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে থাকেন।
" বসুধা - মিরাস ছাড়ি শাঁখারিতে ঘরবাড়ি
করিলেন মথুরা বসুজা।
সত্যবাদী সদাচার সদাই সাপক্ষ যার
আপনি শঙ্করী অষ্টভুজা।।
আবার লিখছেন নরসিংহ
' দিনে দরবার করি রাতে রচি গীত।
ধর্মের কৃপায় পূর্ণ হইত সঙ্গীত।।
অনাদ্যের মায়া কিছু বুঝা নাহি যায়।
ধর্মের আজ্ঞায় বসু নরসিংহ গায়।।
দিনে দরবার করি।
বীরভূমের পাঠান রাজা আসাদুল্লাহ খানের পক্ষে
কবি নরসিংহ বসু আঠারো বছর হিসাবরক্ষক তথা ওকালতির কাজ করতেন।
মুর্শিদাবাদ নবাব দরবারে নগরের রাজার প্রতিনিধি হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন।
ঐতিহাসিক রজতকান্ত রায় কবির কাব্য রচনাকাল উল্লেখ করেছেন ১৭৬৪ খ্রিঃ.
আমি তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি বসুধা গ্রামে কোথায় ছিল সেই ' বসুধাম '। বসু পরিবারের আদি নিবাস।
বসুধা খুবই বিস্তৃত।
বৃদ্ধনদীর দক্ষিণে যে বসুধা। আজকের ভাণ্ডারী পাড়া বা আরও পশ্চিমে যার রূপাই চণ্ডী তলা ;
রূপুটে পাড়া সেখানে যে অতি প্রাচীন ভগ্ন শিব মন্দির বা পাশেই ধর্মরাজ তলা
সেখানেই কি ছিল বসু পরিবারের আদি বাসস্থান?
সম্ভবতঃ।
খুঁজে যাই তবু -
এই বসুধা কোথায়?
No comments:
Post a Comment