ঐ যে
নদী বাঁক নিয়ে হারিয়ে যায় দূর পশ্চিমে
শিমূল তলার ঘাট একেবারে চুপচাপ হয়ে যায়
চল ঘরে চল জল জলের মতো বয়ে চলে
মোরাম চাতালের ওপারে পাষাণচণ্ডী থানের
আমবাগানের উপর থেকে লাল সূর্য টা নীচে নেমে গেলে
বেণে পুকুরের উঁচু পাড় থেকে ধীরে নেমে আসে সে
শেষ বাস চলে এলো রথ তলার ডাঙ্গায় আজ আর
দাঁড়ালো না হর্ণ দিয়ে জানান দিল এলাম কাল আবার যাব
না কেউ তো এলো না চল ফিরে চল
বাবাজী বটতলায় রাতের পাখি গুলো গুছিয়ে নিচ্ছে বাসা
উড়ে গেল বাদুড়ের দল একঝাঁক প্যাঁচা রা বের হবে
বটতলার নীচে আঁধার ঘণাবে এবার
গাছের কোটর টা তার গুহা মানুষের কোটর গাঢ় রহস্য অন্ধকার জমে থাকে সেখানে
শাঁখ বেজে ওঠে টিমটিম লণ্ঠন হ্যারিকেন জ্বলে ওঠে কোথা
গরীব গাঁয়ে সন্ধ্যের উনুনের পাশে বসে লাল গুড়ের চা
খায় সন্ন্যাসী ফণী
আখড়ার মাতামার গুনগুন নাম গান করতাল বাজে
মাটির কুটির খড় পচে জল পড়ে বারান্দার খাটিয়ায়
বিছানা ভিজে যায় তালাই ঢেকে দেয় তার ননু মা
গঙ্গা কোথা গেলি লণ্ঠন টা তোল দেখি
পনা ঘর এলি চল ডুমুর তলাটা তোকে পার
করে দিয়ে আসি গায়ে তার কেন যে ফুঁ দেয় মাতামা
কেন যে দেরী করিস মুখ আঁধারী সাঁঝের বেলা কেন গো মা কি হবে
সে কাউকে বলতে পারেনা অস্তগামী সূর্য্য টার দিকে সে
তাকিয়েই থাকে জানেনা কেন তার মন
কেমন করে ছোট্ট বুকের গোপন কুলুঙ্গি তার
খোঁজ জানে হয়তো বা
তবু সে পশ্চিম ই দেখে প্রতিদিন দেখে আর
খালি হাতে ফেরে দু হাতে মাখা ধোঁয়া রঙ বিষাদ নিয়ে
আজও সে পশ্চিম আকাশে তাকায়
এক পশ্চিম তার বিদায় বেলা নিয়ে জেগে থাকে