Friday, 15 November 2019

তেপান্তর। নাট্যগ্রাম। এক এবং অনন্য



তেপান্তর। তেপান্তর নাট্যগ্রাম। গ্রাম সাতকাহনিয়া। পোষ্ট বনকাটি। থানা কাঁকসা।জেলা পবর্ধমান। এসেছেন না কি। না এলে আসুন। সবার আমন্ত্রন। প্রস্তুতি চলছে এবারের সাংস্কৃতিক উৎসবের। যদি আসতে চান কথা বলুন নাট্যগ্রাম কর্ণধার কল্লোল ভট্টাচার্য র সাথে। ফোন ৯৪৩৪৬৪৬৯৮২। অন্য সময়েও আসতে পারেন। তুলনায় ফাঁকা সময়ে। তুলনায় বললাম এই জন্যে যে সারা বছর ই কিছু না কিছু হচ্ছে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। ওদের রান্নাঘর সারা বছর ই খোলা থাকে। কেউ না কেউ আছেন ই প্রায়। আপনারা তখন ও আসতে পারেন। আমি বলি থাকুন। আর এখন আমাদের সবার ই অবস্থা প্রায় একরকম ই। সব দেখে টেখে যত রাত ই হোক ঘরে ফিরি। আর থাকতে যদি হয় ই তো কাছেই তো বোলপুর শান্তিনিকেতন। থাকলে ওখানেই থাকব। খোয়াই সোনাঝুরি র হাটে জিনিষ কেনা কাটা করে ফিরব।

 এসব বলছি কেন জানেন অনেক মানুষ এখন এই এলাকায় বেড়াতে আসছেন। আমার লেখাপত্র পড়েই হোক আর যেভাবেই হোক না কেন একদল ইতিহাস প্রেমী ; মানুষ এলেন। গেলেন। কেউ কেউ থাকলেন। ইছাই ঘোষের দেউল ; অনবদ্য টেরাকোটা কাজ সমন্বিত বনকাটি র মন্দির রাজি; বিখ্যাত অলংকরণ সমৃদ্ধ পিতলের রথ তো আছেই। আর আছে ' গড় জঙ্গল'। দেবী শ্যামারূপা র থান ; গড় বেড়ী। এসব তো সব কিছু ৫-১০ কিমি র মধ্যেই। অযোধ্যা বনকাটি লাগোয়া গ্রাম। প্রায় গঞ্জ এলাকা। সব ই পাবেন। কোন অসুবিধে নেই। আচ্ছা জয়দেব - কেন্দুলী র ; ঘুড়িষার ; ইলামবাজার এর অনবদ্য মন্দির গুলি দেখবেন না। ইচ্ছে হচ্ছে না। " পাণ্ডুরাজার ঢিবি "। যে ঢিবি র নীচে লুকিয়ে আছে ৩৫০০ বছর আগের আদি বাঙ্গালীর ইতিহাস। সত্যি একবার পা ফেলতে ইচ্ছে করছে না। ",তুলাক্ষেত্র বর্ধমান স্তুপ"। পাল রাজাদের আমলে নির্মিত সেই বিখ্যাত ভরতপুরের বৌদ্ধ স্তুপ। যাবেন না একবার। সব ২০ কিমি ব্যাসার্ধ এর মধ্যে ই। যাবেন না কি " রাঢ়েশ্বর শিব মন্দির দেখতে। আর মৌখিরা কালিকা পুর না দেখলে কি চলে। ঐ মন্দির প্রাসাদ রাজি। সেই চাঁদনী। সরোবর। প্রকৃতি। ওই জন্যে বলি এখানে আসুন। সময় নিয়ে। তেপান্তর নাট্য গ্রামে থেকে সব ঘুরুন। দেখুন আমাদের বাংলাকে। জানুন তার ইতিহাস। আমি তো আছি। তেপান্তর এর সব রকমের ' প্যাকেজ ' আছে। আছে তেপান্তর কর্মী দলের আন্তরিকতা। এমন টি বোধ হয় অন্য কোথাও পাবেন না।