এ গ্রামে র কোঁড়া পাড়ার মনসা পুজো। ' সে অনেক দিনের ভাই ' বলতো বুড়ো বাণেশ্বর কোঁড়া। তার বৌ গৌরী দিদি কি সুন্দর দেখতে ছিল। দিদিমা বলত ' কোঁড়া ঘরে এমন দেখতে - '।
এই বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই ; রাতে এই মনসার পুজো। আমাদের গ্রাম সাতকাহনিয়া ছাড়া আর কোঁড়া রা আছে নিমটিকুড়ি ; ডাঙ্গাল ; গ্রামে। বনকাটিতে দু এক ঘর। ও উঠে যাওয়া।
কিন্তু এই কোঁড়া রা কখন এল এদেশে।
সেই বীরভূম সীমান্তে র লাগোয়া সাঁওতাল পরগনার বন পাহাড়ের দেশ থেকে। শাল পলাশের দেশ ছেড়ে।
এসেছে কি সাধে। কাজের খোঁজে। পরিশ্রমী জাত।
ফাঁকি দিতে জানেনা। গতর ঢালে। বাবুরা আনিয়েছে ও বটে। চাষবাসের জন্যে। তারপর
নীল বাবু সাহেবদের নীল কারখানায় কাজের জন্যে। এখানকার বাবুরাও তখন তাঁদের সাথে ব্যবসা করছেন।
এ গায়েঁ ও নীল বাড়ি আছে। একদিন নদী ধারে র জমিতে নীল চাষ হতো। নামো পাড়ায় বড় বড় মোটা মোটা ইঁটের চৌবাচ্চা ছিল।
তখন ই কি এসেছে এ গাঁয়ে কোঁড়া রা। নিশ্চিত করে বলার কোন উপাদান নাই।
আছে অনুমান। আর কোঁড়া শ্রমিক চাই এই মর্মে নীলকুঠি র বাবুদের রিপোর্ট
পুজোর ঢাক বাজছে। গোটা কোঁড়া পাড়া একজায়গায় আজ। বাইরে যারা চলে গিয়েছে তারা এসেছে। গাঁয়ের বিয়ে হয়ে চলে যাওয়া মেয়ে গুলো এসেছে।